যে সকল আমল দ্বারা গোনাহ মাফ হয়
ঋণগ্রহিতাকে ক্ষমা করলে বা ছাড় দিলে...
ক্ষমার প্রতিদান ক্ষমা। যেমন আল্লাহ সূরা আররাহমানে বলেছেন- ‘ইহসানের প্রতিদান তো ইহসানই।’ আল্লাহ হলেন, ‘গাফফার’-মহা ক্ষমাশীল। তিনি ছোট থেকে ছোট বাহানায়ও বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
এমন রবের বান্দা যদি অপর বান্দাকে ক্ষমা করে তিনি কি বান্দাকে ক্ষমা না করে পারেন? আর যদি বান্দা ক্ষমাই করে এই আশায় যে, (এই ক্ষমার বিনিময়ে) আল্লাহ যেন তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে!
আসুন, সবাইকে ক্ষমা করে দিই; এভাবে- আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিলাম। আখেরাতে আমার কারণে আর কেউ পাকাড়াও হবে না; সবাইকে মাফ করে দিলাম, সব হক ছেড়ে দিলাম। তাহলে হতে পারে- এর বিনিময়ে আল্লাহ্ও আখেরাতে আপনাকে ঠেকাবেন না। আপনার সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। এমনকি আশা করা যায়, আপনার উপর যদি কারো হক বাকি থাকে তো আল্লাহ তার জামিন হয়ে যাবেন; আপনার পক্ষ থেকে আল্লাহ তাকে খুশি করে দেবেন।
সুতরাং ক্ষমা পেতে ক্ষমা করুন। এমনকি ঐ চোরকেও, যে আপনার সখের কোনো বস্তু চুরি করেছে। কারণ, ক্ষমা না করলেও আপনি ঐ বস্তু আর ফিরে পাচ্ছেন না; কিন্তু ক্ষমা করার কারণে তার চেয়ে আরো দামি জিনিষ-‘ক্ষমা’ লাভ করা সম্ভব। সুতরাং এটা তো লাভেরই সওদা!
দুনিয়ার ছোট ছোট বিষয়ে ক্ষমা করার দ্বারা আপনি লাভ করতে পারেন মহা ক্ষমা। হতে পারে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে ক্ষমা করে দেবেন; জাহান্নাম থেকে পানাহ দেবেন; ছোট্ট কোনো বিষয়ে ক্ষমার কারণে। শুনুন নবীজীর বাণী-
كَانَ رَجُلٌ يُدَايِنُ النَّاسَ، فَكَانَ يَقُولُ لِفَتَاهُ: إِذَا أَتَيْتَ مُعْسِرًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ، لَعَلَّ اللهَ يَتَجَاوَزُ عَنَّا، فَلَقِيَ اللهَ فَتَجَاوَزَ عَنْهُ.
এক ব্যক্তি লোকদের ঋণ দিত বা বাকিতে পণ্য দিত। সে তার খাদেম বা কর্মচারীকে বলত, যদি ব্যক্তি অস্বচ্ছল হয় তাহলে ছাড় দিও (বা মাফ করে দিও); আশা করা যায়, এর বিনিময়ে আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। এরপর যখন সে (ইন্তেকাল করল এবং) আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাৎ করল আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৬২; সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪৮০