Zilqad 1441   ||   July 2020

একটি ভিত্তিহীন কথা

২৩ বছরে জিবরীল আ. নবীজীর কাছে এসেছেন ৪০,০০০ বার আর নূহ আ.-এর ৯৫০ বছরে মাত্র ৫ বার!

কিছু কিছু মানুষকে বলতে শোনা যায়, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওতের ২৩ বছরের যিন্দেগীতে জিবরীল আ. নবীজীর কাছে এসেছেন ৪০,০০০ বার আর নূহ আ.-এর ৯৫০ বছরে এসেছেন মাত্র ৫ বার।

এটি ভিত্তিহীন মনগড়া একটি কথা। জিবরীল আ. কোন্ নবীর কাছে কতবার এসেছেন সেটা আল্লাহ্ই ভালো জানেন। এ বিষয়টি যেহেতু আমাদের জানার বিষয়ই নয় তাই তা আমাদের জানানো হয়নি। ফলে হাদীস বা সীরাতের নির্ভরযোগ্য কোনো বর্ণনায় তা পাওয়া যায় না।

অবাক হলাম যখন দেখলাম, একটি জাতীয় দৈনিকে এজাতীয় মনগড়া কথা ইসলামী তথ্যকণিকাশিরোনামে ছাপা হয়েছে। আবার তথ্যসূত্র হিসেবে লেখা হয়েছে-আলইতকান ফি উলূমিল কোরআন’! সেখানে লেখা হয়েছে-

জিবরাইল (আ.) আদম (আ.)-এর কাছে ১২ বার এসেছেন। ইদরিস (আ.)-এর কাছে চারবার এসেছেন। নুহ (আ.)-এর কাছে ৫০ বার এসেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর কাছে ৪২ বার এসেছেন। মুসা (আ.)-এর কাছে ৪০০ বার এসেছেন। ঈসা (আ.)-এর কাছে ১৩ বার এসেছেন। ইয়াকুব (আ.)-এর কাছে চারবার এসেছেন। আইয়ুব (আ.)-এর কাছে ৩০ বার এসেছেন। আর হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে ২৪ হাজার বার এসেছেন। (সূত্র : আলইতকান ফি উলুমিল কোরআন)” [দ্র. দৈনিক কালের কণ্ঠ (অনলাইন সংস্করণ) ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ‘ইসলামী তথ্যকণিকাশিরোনামে এবং  ৫ জানুয়ারি ২০১৮ জিবরাইল আ. কোন নবীর কাছে কতবার এসেছেন?’ শিরোনামে]

আরো কিছু বিষয়সহ উপরের কথাগুলো ছাপা হয়েছে। আলোচ্য বিষয়ের সূত্র হিসেবে লেখা হয়েছে আলইতকান-এর নাম। আলইতকান-এ অনেক খোঁজ করেও আমরা তা পাইনি।

উক্ত লেখায় অন্যান্য বিষয়ের হাওয়ালার ক্ষেত্রে কিতাবের নামের সাথে সাথে খÐ-পৃষ্ঠা উল্লেখ করা হলেও আলইতকানের ক্ষেত্রে শুধু কিতাবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, Ð-পৃষ্ঠা উল্লেখ করা হয়নি। এ থেকেও অনুমিত হয় যে, লেখক কিতাব দেখা ছাড়াই কিতাবের নাম উল্লেখ করে দিয়েছেন।

যাইহোক, এটি একটি ভিত্তিহীন কথা। তেমনি আলইতকান কিতাবেও তা নেই।

 

advertisement