জীবন-নদীর বাঁকে বাঁকেঃ সিলেট জেলার ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
Mawlana Abdullah Bin Sayeed Jalalabadi
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
বৃহত্তর সিলেট জেলা তথা বর্তমান সিলেট বিভাগে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠান সম্ভবত দারুল ইহসান মাদরাসা, যা হযরত শাহজালাল রাহ.-এর মাজারের সাথেই প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে এখানে ইমারত নির্মিত হয়। হোসেনশাহী শিলালিপিতে এর প্রমাণ পাওয়া যায় বলে দেওয়ান নূরুল আনোয়ার উল্লেখ করেছেন। তিনি লেখেন, শিলালিপি ও সনদসূত্রে জানা যায় যে, মৌলবীবাজারের মোস্তফাপুরে ইমামবাড়া এবং লংলাতে একটি বড় মাদরাসা ছিল। (শিলালিপি ও সনদে আমাদের সমাজচিত্র, পৃ. ৫৭ ও ৬৩) শতাধিক বছরের পুরনো ফুলবাড়ির আজীরিয়া মাদরাসা ১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঝিঙ্গাবাড়ি মাদরাসা ও গাছবাড়ি আলিয়া মাদরাসাও প্রাচীন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্বনাথ থানার সহীফাগঞ্জেও একটি মাদরাসা সম্ভবত হাজীবিবি নামে খ্যাত হাসান রাজার বৈমাত্রেয় বড় বোন সহীফা খাতুনের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯১৩ সালে সিলেট জেলার বিখ্যাত ইসলামী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসা সৈয়দ আবদুল মজিদ সিআইই ওরফে কাপ্তান মিয়ার উদ্যোগে এবং এককভাবে সিলেটের মুসলিম মৎস্যজীবী সমাজের প্রদত্ত চাঁদার টাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কাপ্তান মিয়া যেহেতু আসাম সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন তাই তার প্রচেষ্টায় সাথে সাথেই এটি সরকারী মাদরাসার রূপ পরিগ্রহ করে। গুণে মানে এবং যশ ও খ্যাতিতে এটি ছিল কোলকাতা আলিয়া মাদরাসার পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম মাদরাসা। উপমহাদেশের বিখ্যাত আলিমগণ এখানে শিক্ষকতা করেছেন। সিলেটের মাওলানা সাখাওতুল আম্বিয়া (১৮৯৪-১৯৬৯) মাওলানা আবদুর রশীদ টুকের বাজারী (১৮৯৬-১৯৮৭) বিশিষ্ট লেখক আলিম কোলকাতা আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও পশ্চিমবঙ্গ জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ তাহির (ইনি মাওলানা মাদানীর খলীফাও ছিলেন), বিশিষ্ট সীরাতবিদ, ঢাকা আশরাফুল উলূম বড় কাটারা মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইন, পূর্বোক্ত মাওলানা হরমজুল্লাহ শায়দা (১৯০০-১৯৮০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফখরে বাঙ্গাল মাওলানা তাজুল ইসলাম, বরিশালের বিশিষ্ট জামাত-নেতা এবং ঢাকা সোহরাওয়ার্দী কলেজ (পূর্বতন কায়েদে আজম কলেজ) এর অধ্যাপক হেলালুদ্দীন, আলইসলাহ-সম্পাদক মৌলবী নূরুল হক, বিশিষ্ট লেখক আলেম মাওলানা অলিউর রহমান প্রমুখ এই সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসারই ছাত্র ছিলেন।
১৯৩০ সালে মাওলানা মাদানী ও আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রাহ.-এর অন্যতম শাগরিদ মাওলানা রিয়াসাত আলী প্রতিষ্ঠিত রানাপিং হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদরাসা সিলেট বিভাগের অন্যতম ইসলামী জ্ঞানপিঠ। এটি একটি কওমী মাদরাসা। বিগত আশি বছরে এখান থেকে শত শত আলিম বের হয়ে দেশ বিদেশে দ্বীনের খেদমতে রত রয়েছেন। এর স্বল্পকাল পরে মাওলানা মাদানীর অন্যতম খলীফা মাওলানা বদরুল আলম শায়েখে রেঙ্গ প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটিও একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১৯৫০ এর দশকে বিশ্বনাথ থানাধীন সৎপুরে মাওলানা গোলাম হুসাইন মরহুম সৎপুর আলিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি টাইটেল মাদরাসারূপে ইসলামী শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখছে। এর স্বল্পকাল পরেই ফতেহপুর গ্রামের বিশিষ্ট বুযুর্গ পীর হযরত মাওলানা আবদুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন ফতেহপুর তাঈদুল ইসলাম মাদরাসা। এটিও একটি টাইটেল মাদরাসা এবং এর সাথে বিজ্ঞান বিভাগও চালু রয়েছে। উভয় মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতাই সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসায় পড়াশুনা করে কর্মজীবনে অবতীর্ণ হয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবীরূপে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
সমসাময়িক কালে সুনামগঞ্জ জেলার সুদূর ভাটি অঞ্চলে মাওলানা মাদানীর অন্যতম খলীফা মাওলানা আবদুল হক গাজীনগরী (গত বছর হজ্বের সময় তিনি ইন্তিকাল করেছেন এবং মক্কা শরীফে সমাহিত হয়েছেন।) প্রতিষ্ঠা করেন গাজীনগর মাদরাসা। জগন্নাথপুর থানায় আঞ্জুমানে হেফাযতে ইসলাম এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার নেতা বিশিষ্ট বুযুর্গ আলিম মাওলানা আমীনুদ্দীন মুদ্দা যিল্লুহুল আলী প্রতিষ্ঠা করেন কাতিয়া অটলতলী মাদরাসা। এর কিছু আগে পঞ্চাশের দশকে মাওলানা নূরুদ্দীন গহরপুরী প্রতিষ্ঠিত গহরপুর মাদরাসা এবং ষাটের দশকে শাহজালাল রাহ.-এর মাযার-প্রাঙ্গনে মাওলানা আকবর আলী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা এবং পরবর্তীকালে কাজীর বাজারে মাওলানা হাবীবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত কাজির বাজার মাদরাসা উল্লেখযোগ্য খিদমত করে যাচ্ছে।
বিশ্বনাথ থানাসদরে দারুল উলূম এবং সরকারী আলিয়া নেছাবের দুটি মাদরাসাও জমজমাট। সিলেটের জকিগঞ্জ থানার লামার গাওয়ে বিশিষ্ট বুযুর্গ আলেম মাওলানা মুহাম্মাদ আলী রায়পুরী রাহ. প্রতিষ্ঠিত লামারগ্রাম মাদরাসা খুবই জমজমাট। এ মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মুহাম্মাদ আলী রাহ. ছিলেন বরিশালের মাওলানা আবদুল গফুর (খলীফায়ে আবু বকর সিদ্দীক ফুরফুরা)-এর খলীফা এবং পূর্বোক্ত ফতেহপুর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুর রহমান রাহ.-এর পীর ও মুর্শিদ।
মাওলানা ফুলতলীর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত মাজেদিয়া মাদরাসা এবং এতীমখানা কমপ্লেক্সও বহুমুখী খিদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত রমযান মাসে কিরাআতের ক্লাসে শত শত শিক্ষার্থী প্রতি বছর যোগ দিতেন।
মৌলভীবাজার জেলার বরুনার পীর সাহেব হযরত মাওলানা লুৎফর রহমান বর্নবী প্রতিষ্ঠিত বরুনা হামিদিয়া মাদরাসা কেবল একটি মাদরাসাই নয়, হেফাযতে ইসলাম নামক একটি মাসিক পত্রিকা এখান থেকে প্রকাশিত হয় এবং রোগীদের জন্য এম্বুলেন্স সার্ভিসও এখান থেকে দেওয়া হয়ে থাকে।
মৌলভীবাজার শহরেও একটি কওমী মাদরাসা এবং একটি সরকারী আলিয়া মাদরাসায় দ্বীনী শিক্ষার উচ্চতর ক্লাসসমূহ চালু রয়েছে।
এছাড়া কেরামতনগরে দানবীর হাজী কেরামত আলী প্রতিষ্ঠিত সরকারী আলিয়া মাদরাসা একটি সুপরিচালিত টাইটেল মাদরাসা।
বৃহত্তর সিলেট জেলার দেওলগাম মাদরাসা, আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদরাসা, মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী প্রতিষ্ঠিত কানাইঘাট দারুল হাদীস মাদরাসা, জগন্নাথপুর থানার সৈয়দপুর শামসিয়া মাদরাসা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সমপ্রতি সিলেটের পাঠানটুলায় প্রতিষ্ঠিত জামিয়া মাদরাসাও সুদক্ষ পরিচালনা ও পরীক্ষার ভালো ফলাফলের দিক থেকে সরকারী মাদরাসাসমূহের মধ্যে বেশ এগিয়ে রয়েছে।
হাড়িকান্দি কওমী মাদরাসা, ছাতকের হাসনাবাদ কওমী মাদরাসা, হবিগঞ্জের উমেদনগর কওমী মাদরাসা, দিনারপুর কওমী মাদরাসা, মৌলবীবাজার বড়লেখা থানায় অবস্থিত আমিজনগর মাদরাসা, রাজনগর কওমী মাদরাসা, কানাইঘাট থানাধীন বুধবারী মাদরাসা, হেমু কওমী মাদরাসা, খাটলহাট কওমী মাদরাসা প্রভৃতি দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বীনের প্রসারে নিয়োজিত রয়েছে। এ লেখকের সুদীর্ঘ অর্ধশতাব্দী ধরে রাজধানীতে অবস্থানের ফলে বৃহত্তর সিলেট জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অনেক নব্যপ্রতিষ্ঠিত মাদরাসার বিবরণ দেওয়া সম্ভব হল না।
মাদরাসা না হয়েও ইসলামী উলূম-ফুনূনের প্রচার প্রসারে সিলেট শহরস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য-সংসদ এবং জাতীয় শিক্ষা-সংস্থা (প্রাক্তন আনজুমান তরক্কীয়ে উর্দু লাইব্রেরি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। মাসিক আলইসলাহর সুদীর্ঘ অর্ধশতাব্দীর খেদমত গোটা বাংলাদেশের ও বাংলা ভাষার উল্লেখযোগ্য সম্পদ।
আমার জন্মভূমি জালালাবাদ সিলেটের যেসব কৃতি সন্তান দেশে বিদেশে দ্বীনের খেদমতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং আজো রেখে যাচ্ছেন তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গড়ে উঠেছেন। আমাদের ভাবী প্রজন্মও এগুলোর সাহায্যেই গড়ে উঠবে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক ও শিক্ষকমণ্ডলীর কাছে গোটা জাতিই ঋণী। সেই ঋণবোধ থেকেই নিজের সম্পর্কে কিছু লেখার আগে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জরুরি বিবেচনা করেছি। এ আলোচনাটা কিছু দীর্ঘ হলেও আমাদের নতুন প্রজন্মের এদের সম্পর্কে জানা থাকা উচিত মনে করি।
আলেম না হওয়া সত্ত্বেও দুজন মনীষীর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। তাদের একজন হলেন গাভুরটেকীর ডাক্তার মুর্তজা চৌধুরী যিনি খিলাফত আন্দোলনের যুগ থেকে আজীবন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদান করে গেছেন। আমাদের গোটা আলেমসমাজ এই কর্মবীরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তিনিও আজীবন আলেম উলামার সাথে জীবন অতিবাহিত করে বৃটিশ সরকারের হাতে জেলজুলুম সহ্য করে গেছেন। অপর মনীষী হলেন সিলেট শহরস্থ শেখঘাটের শেখ সিকান্দার আলী ১৮৯১-১৯৬৪)। জীবনে কোনোদিন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যাভ্যাস না করেও যিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত একজন সমাজগত প্রাণ মনীষী, একজন লেখক ও সমাজসেবক। বেগম রোকেয়ার ১৯২৪ সালে কোলকাতার সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠার মাত্র আট বছরের মাথায় ১৯৩২ সালে তিনি শেখঘাটে মুঈনুন্নেছা গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। বিংশ শতকের চতুর্থ দশকেই তিনি বাংলা ও আমাদের বঞ্চিত অবহেলিত মৎস্যজীবী সমাজের মুখপত্ররূপে সাপ্তাহিক আলজালাল প্রকাশ করেছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার স্বপক্ষে একপর্যায়ে ঐ পত্রিকাটি মুসলিম লীগের স্বপক্ষে জনমত গঠনেও বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। পশ্চাৎপদ মৎস্যজীবী সমাজকে অধিকার-সচেতন করে তোলার জন্য তার চেষ্টার অন্ত ছিল না। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য-সংসদের কাজে তিনি মৌলবী নূরুল হকের একজন অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
আমার মাতৃভূমি জালালাবাদের আরো দুজন সংগ্রামী মনীষীকে স্মরণ না করলে অন্যায় হবে মনে করি। তারা দুজনই সুনামগঞ্জের লোক এবং দু’জনই জাতীয় কবি নজরুলের সাথে তুল্য। তাদের প্রথমজন হচ্ছেন চিরকুমার চিরসংগ্রামী ফযলুল হক সেলবর্ষী (১৮৯০-১৯৬৮) আর অপরজন মুজাহিদ আলী (বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা মাহমুদ আলীর পিতা।)
ফযলুল হক সেলবর্ষী, শেরে বাংলা এ.কে. ফযলুল হক ও জাতীয় কবি নজরুলের ঘনিষ্ট বন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। উচ্চ মার্গের লেখক/সম্পাদক/কবি রূপে তাদের কারো চাইতে কম প্রতিভাসম্পন্ন ছিলেন না। তার অনলবর্ষী বৃটিশ বিরোধী অনেক বক্তৃতা বিবৃতি ও রচনার জন্য অনেক সময় শেরে বাংলা এ.কে. ফযলুল হক নামের মিলের কারণে অসুবিধায় পড়তে হত। তাই নামের ফারাক সৃষ্টির জন্যে তাকে সেলবর্ষী শব্দটি নামের সাথে যোগ করতে হয়েছিল।
বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের ব্যস্ততার জন্য তিনি জীবনে বিয়ে শাদির সময় করে উঠতে পারেননি। একজন অমিততেজী বলবীর্যশালী লোকের জন্য এটা কত বড় ত্যাগ তা সহজেই অনুমেয়। এ দেশপ্রেমিক বৃটিশসরকার কর্তৃক বন্দী হওয়ার পর সিলেট জজকোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালিত হয়েছিল। সে মামলায় তিনি রাজবন্দীর যে জবানবন্দী দিয়েছিলেন তা সেকালের সিলেটের সাপ্তাহিক জনশক্তিতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল বলে বর্ষীয়ান কবি মাহমুদ লশকরের মুখে শুনেছি। লশকর সাহেব তার একটি জীবনীও লিখেছেন, যা ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
কবি মুজাহিদ আলী স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসায় অধ্যাপনা করতেন। তার ঝঙ্কার কাব্যগ্রন্থ ইসমাঈল হোসেন শিরাজীর অনলপ্রবাহ-এর মতোই অনলবর্ষী বক্তব্যে ভরপুর থাকায় শিরাজীর মতো তার কাব্যগ্রন্থখানাও বৃটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল এবং তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিল।