একটি ভিত্তিহীন আমল
আখেরী চাহার শোম্বার নামায
মকছুদোল মুমিনীন ও বার চান্দের ফযীলত বিষয়ক যেসব অনির্ভরযোগ্য পুস্তক-পুস্তিকা এক শ্রেণির মানুষের মাঝে প্রচলিত এর কোনো কোনোটাতে সফর মাসের শেষ বুধবার কেন্দ্রিক বিশেষ ধরনের নামাযের কথা রয়েছে। সেখানে আছে-
(একটি বইয়ে যেভাবে রয়েছে) তাযকিরাতুল আওরাদ নামক গ্রন্থে সফর মাসের শেষ বুধবার প্রভাতে গোসল করে সূর্য উঠার পর দুই রাকআত নফল নামায আদায় করার কথা উল্লেখ আছে। নামাযের নিয়ম নিম্নরূপ :
দুই রাকআতের নিয়ত করে এ নামায আদায় করতে হয়। উভয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর এগার বার সূরা ইখলাস পাঠ করতে হয়। নামায শেষে সত্তর বার নিম্নের দরূদ শরীফ ও দুআটি পাঠ করে মুনাজাত করতে হয়। ...।
এটি একটি ভিত্তিহীন আমল। আবদুল হাই লখনবী রাহ. ‘আলআসারুল মারফূআহ ফিল আখবারিল মাওযূআহ’ কিতাবে (পৃ. ১১১) ভিত্তিহীন নামায ও দুআর শিরোনামে তা উল্লেখ করেছেন। তবে সেখানে সূরা ইখলাসের পরিবর্তে অন্য আয়াতের উল্লেখ এসেছে। আসল কথা হল, এ দিবসটিই আবিষ্কৃত; তো সে কেন্দ্রিক আবিষ্কৃত আমলের কী হুকুম হবে!
উল্লেখ্য, সফর মাসের শেষ বুধবারকে কতক লোক আখেরী চাহার শোম্বাহ নাম দিয়েছে। এই নামকরণ এবং যার ভিত্তিতে এ দিবস ও এর বিশেষ আমল আবিষ্কার করা হয়েছে সবই অমূলক। এ দিবস সম্বন্ধে ইতিপূর্বে প্রচলিত ভুল বিভাগে (রবিউল আউয়াল ১৪২৯=মার্চ ২০০৮/ ‘প্রচলিত ভুল’ বই-এর ১১৮-১২২ পৃ.) বিস্তারিত লেখা হয়েছে।