Zilhajj 1440   ||   August 2019

পা র্শ্ব ব র্তী : ধর্ম-নিরপেক্ষতা, সংবিধান ও মৌলিক অধিকার

আব্দুল্লাহ আবু মুহাম্মাদ

এবার ভারতের রাজস্থানে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেলেন একজন মুসলিম পুলিশ কনস্টেবল আবদুল গনী। রাজস্থানের রাজসামান্দ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ৪৮ বছর বয়েসী এই পুলিশ সদস্য জমিজমা-সংক্রান্ত একটি বিরোধের তদন্ত করতে ওখানে গিয়েছিলেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে একদল লোক তার উপর হামলা চলালে তিনি গুরুতর আহত হন। নিকটবর্তী কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর ওখানেই তার মৃত্যু হয়। এনডিটিভির বরাতে সংবাদটি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় উল্লেখিত হয়েছে।

বলা হচ্ছে যে, একজন পুলিশ-কনস্টেবলের গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যটির পুলিশ-বিভাগ স্তম্ভিত হয়ে গেছে, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজস্থানসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে প্রকাশ্যে নানা অজুহাতে মুসলিম হত্যার ঘটনা একের পর এক ঘটছে তাতে এ ঘটনা ওদের জন্য স্তম্ভিত হওয়ার মতো ঘটনা মনে করা কঠিন।

গত বছর ২৮ বছর বয়সী এক মুসলিম রাকবার খান গরু পাচারকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন। পরে পুলিশের হেফাযতে তার মৃত্যু হয়। ২৩ জুলাই ১৮ঈ. তারিখে রাকবার খানের মৃত্যুর উপর বিবিসির শুভজ্যোতি ঘোষের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল যে, হরিয়ানার মেওয়াট অঞ্চলের এই মুসলিমরা মূলত পশু-খামারি। গরু-মোষের দুধ বেচেই তারা সংসার চালান। রাকবার খানও এক সঙ্গীকে নিয়ে সে কাজেই আলোয়াড় থেকে দুটো গরু আনতে গিয়েছিলেন। তারা যখন গরু দুটিকে হাঁটিয়ে নিয়ে রামগড়ের লালওয়ান্ডি জঙ্গল দিয়ে আসছিলেন তখন মাঝরাতের দিকে সেখানে আগে থেকে বসে থাকা ছ-সাতজনের বাহিনী তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ও ফায়ারিং করতে শুরু করে।

‘গত কয়েক বছর ধরেই এভাবে ওঁত পেতে থাকা কথিত গোরক্ষক বাহিনী খামারিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে একের পর এক অভিযোগ আসছে।’

ঐ ন্যক্কারজনক ঘটনার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা রাজস্থানের একজন বিজেপি বিধায়ক নিজের গোশালায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘গরু বাঁচাতে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে মিডিয়া এমন ভাব করে যেন ভূমিকম্প হয়ে গেছে, কিন্তু রাকবার খানের মত লোকদের হত্যা কেন করা হচ্ছে সেটা কেউ ভেবে দেখে না! এখন তো আমরা জানছি তার বিরুদ্ধে আগেও গরু পাচারের অভিযোগ ছিল!

বিবিসির ঐ প্রতিবেদক বলেন, ‘যে দেশে নির্বাচিত এমএলএ-রা প্রকাশ্যে এভাবে একটা হত্যাকাণ্ডের হয়ে কার্যত সাফাই দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সেটাকেই বর্ণনা করেছেন ‘মোদীর নতুন ভারত’ বলে।’

ঐ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছিল যে, রাজনীতিবিদদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে যেটা দেখা যাচ্ছে, তা হল রাজস্থান-হরিয়ানা সীমান্তের ওই এলাকায় একের পর এক মুসলিমকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। প্রথমে শুরু হয়েছিল পেহলু খানকে দিয়ে। তারপর জুনেইদ, ওমর, আর এখন এই রাকবর খানকে পিটিয়ে মারা হল। আলোয়াড় থেকে ফিরে একথাগুলো বলছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা সালমান রাভী।

  এর আগে ২০১৭ সালে রাজস্থানেই প্রকাশ্যে রাস্তার উপরে পেহলু খানকে নির্দয়ভাবে পেটানো হয়। তিনি তার দু’সন্তানসহ রাজস্থানের এক মেলা থেকে গরু কিনে হরিয়ানায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। ঐ ঘটনায় পেহলু খানের মৃত্যু ঘটে। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, পেহলু খান ছিলেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। তিনি আহত হয়ে দু’দিন হাসপাতালে বেঁচে ছিলেন। ঐ সময় হামলাকারী ৬ জনের নাম নির্দিষ্ট করে বলেছিলেন। কিন্তু পরে পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা তদন্তে দেখেছে, অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলেই ছিল না। অভিযোগ আছে ঐ ছয়জনের তিন জন একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকায় ছাড় পেয়ে গেছে। (দ্রষ্টব্য. ১৫ সেপ্টেম্বর ১৭, বিবিসি কলকাতা, অমিতাভ ভট্টশালীর প্রতিবেদন- ‘ভারতে গণপিটুনিতে এক মুসলিম হত্যায় অভিযুক্ত গোরক্ষকরা খালাস।’)

এরও আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশের দাদরি শহরে মুহাম্মাদ আখলাককে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয় গোহত্যার মিথ্যা অভিযোগে।

অতি সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে নিহত হন আরেক মুসলিম যুবক, তাবরেজ আনসারী। তাবরেজ পুনেতে কাজ করতেন। ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি এসেছিলেন। তাকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে নির্দয়ভাবে প্রহার করা হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় পুলিশ হেফাযতে নেয়া হলেও পুলিশ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে কয়েদখানায় ফেলে রাখে। ঐ অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

রাকবর খান হত্যাকা-ের ঘটনায়ও পুলিশের উপর একই অভিযোগ ছিল। ঐ ঘটনায় বিবিসির সংবাদদাতা সালমান রাভী বলেছিলেন, আমার কাছে এফআইআরের প্রতিলিপি আছে। তাতে পুলিশ নিজেই লিখেছে, গণপিটুনির খবর পেয়ে তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তখন রাত ১২টা বেজে ৪১ মিনিট। রাকবর খান অচেতন হয়ে পড়ে থাকলেও তখনও তার দেহে প্রাণ আছে। পুলিশ সেখান থেকে দুজন হামলাকারীকে আটকও করে। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যখন রাকবর খানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ততক্ষণে ভোর চারটে বেজে গেছে। মাত্র চার কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে যেতে কেন প্রায় চার ঘন্টা লাগল তার কোনও উত্তর নেই। অথচ ঐ হাসপাতালের ডাক্তাররাই বলেছেন, আরও আগে আনা হলে রাকবর খানকে হয়ত বাঁচানো যেত।’

তাবরেজ আনসারীর নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতটুকু দুঃখ প্রকাশ করেছেন তার চেয়েও বেশি দুঃখ প্রকাশ করেছেন একারণে যে, তাবরেজ আনসারীর মৃত্যুর কারণে পুরো ঝাড়খ-ের নিন্দা কেন করা হচ্ছে! তার ইঙ্গিত ছিল বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদের একটি বক্তব্যের দিকে- ‘ঝাড়খ- গণপিটুনির কেন্দ্রে পরিণত হতে যাচ্ছে!’

গোলাম নবী আজাদের এই বক্তব্যের কারণ ছিল ঝাড়খ-ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর নির্ভরযোগ্য তথ্য মোতাবেক ১৮ জন নিরপরাধ ব্যক্তিকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দায় একের পর এক মুসলিম নিহত হওয়ার চেয়েও  সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বড় ব্যাপার হয়ে গেল- কেন সে কারণে ঐ অঞ্চলের নিন্দা করা হচ্ছে! আসলে তার এই বক্তব্যও যে ন্যায়বিচারের রাজনীতির পরিবর্তে লোকরঞ্জনবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চর্চারই একটি উদাহরণ তা কারো বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়।

সংবিধানিকভাবে ‘সেক্যুলার’ ও ‘সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র’-এর অধিকারী রাষ্ট্রটিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের জানমালের নিরাপত্তা কোন্ পর্যায়ে রয়েছে তা উপরের দৃষ্টান্তগুলো থেকেই অনুমান করা যায়।

সম্প্রতি আরো দেখা যাচ্ছে, এই ‘সেক্যুলার’ রাষ্ট্রটির পরিচয়-চিহ্ন হয়ে উঠতে যাচ্ছে একটি বিশেষ ধর্মীয় শ্লোগান- ‘জয় শ্রীরাম’! এ শ্লোগান এতই ব্যাপক হয়ে গেছে যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে গেলে ওখানের প্রবাসী ভারতীয়রা তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলেই অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। এর আগে পার্লামেন্টেও এই শ্লোগান দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি ‘জয় হিন্দের’ পরিবর্তে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানটিই এখন ভারতীয় ধর্ম-নিরপেক্ষতার প্রতীক?!

উদ্বেগের বিষয় এই যে, এই শ্লোগান-ধারীরা ভারতের ভিতরে-বাহিরে নিজেরাই শুধু শ্লোগান দিচ্ছেন তা নয়, ভারতের মুসলিমদেরকেও এই শ্লোগানে বাধ্য করছেন। চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে দিল্লি, কলকতা, ঝাড়খ-, বিহারসহ বিভিন্ন এলাকায় দাড়ি-টুপিওয়ালা মুসলমানদের মারধর করার এবং ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দিতে বাধ্য করার অনেক ঘটনা ঘটেছে। ১০ জুলাই ২০১৯ঈ. বিবিসির একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘জয় শ্রীরাম’ : হিন্দু দেবতার জয় ধ্বনি যেভাবে পরিণত হল মুসলিম হত্যার হুংকার।’ ঐ প্রতিবেদনে তাবরেজ আনসারীকে জয় শ্রীরাম শ্লোগানে বাধ্য করার সংবাদটি দেয়া হয়েছে। তাতে আরো বলা হয়েছে, ‘তাবরেজ আনসারীই একমাত্র মুসলিম নন, যার ওপর এভাবে হামলা করা হল। জুন মাসটি ছিল ভারতীয় মুসলিমদের জন্য বেশ রক্তাক্ত একটি মাস। আরও অনেক মুসলিম একই ধরনের হামলার শিকার হয়েছিলেন ভারতের নানা জায়গায়। আসাম রাজ্যের বড় পেটা জেলায় একদল মুসলিম তরুণের ওপর একইভাবে হামলা চালানো হয়। তাদেরকেও ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং পাকিস্তান মুর্দাবাদ ধ্বনি দিতে বাধ্য করা হয়।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে ফয়সাল ওসমান নামক ২৫ বছর বয়েসী এক মুসলিম ট্যাকসি ড্রাইভারকে মারধোর এবং অপমান করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলা হয়।

একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। মাদারাসা শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মাদ শাহরুখ হালদারকে ট্রেনে নাজেহাল করা হয় এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলা হয়।

সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, ‘হামলাকারীরা তার কাপড়-চোপড় এবং দাড়ি নিয়ে বিদ্রুপ করে এবং জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিতে বলে। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও শরীরে আঘাত পেয়েছেন।’

ঐ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘হিন্দুদের কাছে রাম হচ্ছেন ন্যায়বিচার ও দয়াশীলতার প্রতিক বলে পরিচিত একজন দেবতা। কিন্তু জয় শ্রীরাম যেন এখন হত্যার হুংকারে পরিণত হয়েছে।’

বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক শ্লোগান হিসেবে এর ব্যবহার প্রথম শুরু হয় আশির দশকের শেষের দিকে। বিজেপি তখন অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে আন্দোলন শুরু করেছে, এর পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। দলের তৎকালীন সভাপতি লালকৃষ্ণ আদভানী রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে এক পদযাত্রা শুরু করলেন। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে এরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়েই বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলল।’

দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতনের বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ হতে জারি করা রিপোর্টে ২০১৮ সালের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ভারত-সম্পর্কিত অধ্যায়ে গণপিটুনি ও অন্যান্য সমস্যাও উল্লেখিত হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ভারতে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে হত্যা, মামলা, দাঙ্গা-ফাসাদ, পক্ষপাত, উগ্রতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শাসকদল বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী উসকানীমূলক বক্তব্য প্রদান করে থাকেন। কিছু বেসরকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ বিচারক অপরাধীদের আইনী কার্যক্রম থেকে খালাস করে দিয়েছেন। (সূত্র : নয়া দিগন্ত, ১৩ জুলাই ২০১৯, ঈ. পৃ. ১০)

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ হতে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে যে, রিপোর্ট প্রস্তুতকারীদের দৃষ্টিতে ঐ কাজগুলো ‘সন্ত্রাসের’ আওতায় পড়ে কি না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঐ রিপোর্টে ভারতীয়দের যে কিছুই যায় আসে না তা তাদের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়। ভারত-সরকার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঐ রিপোর্ট এ বলে প্রত্যাখান করেছে যে, ‘দেশের সংবিধান সংখ্যালঘুসহ সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে।’

কী অদ্ভুত জবাব! অভিযোগ হচ্ছে বাস্তবে পথে-ঘাটে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগণ সন্ত্রাসী হামলায় মারা যাচ্ছে আর জবাব হল, সংবিধানের বইয়ে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা আছে। ভারতীয়রা প্রবাদ তৈরি করেছিল- ‘কাজির গরু কেতাবে আছে, ...’ এখন তাদের কর্তব্য নতুন প্রবাদ তৈরি করা- ‘মোদীর ভারতে মৌলিক অধিকার সংবিধানে আছে...।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র রবীশ কুমার আরো এককাঠি সরেশ। নয়া দিল্লীতে  তিনি বলেছেন, ‘ভারতের সেক্যুলারিজমের উপর আস্থা, সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ও দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা উদারতা এবং ঐক্যবদ্ধ সমাজ-ব্যবস্থার কারণে গর্ব রয়েছে।’

হাঁ, দাদা বাবু! গর্ব করা তোমাকেই সাজে!

 

advertisement