নেক কাজে বিলম্ব নয়
মানুষের এ ক্ষণস্থায়ী জীবনে মানুষ কত কিছুরই তো নিশ্চয়তা দেয়। তিন মাস ছয় মাস থেকে শুরু করে পাঁচ-দশ-বিশ বছরের সেবার নিশ্চয়তাও দেয়া হয় বিভিন্ন পণ্যে। মানুষের জীবনযাত্রা যত উন্নত হচ্ছে, এ নিশ্চয়তার পরিমাণও তত বাড়ছে। কিন্তু মানুষ কি কখনো জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পেরেছে? এমনকি জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে? সূর্যের আলোর মতোই স্পষ্ট কথা হল-মানুষের জীবন ও মৃত্যু নিয়ে কেউ কখনোই কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। কে কতদিন বেঁচে থাকবে-এটা যেমন কখনো কারও পক্ষে বলে দেয়া সম্ভব হয়নি, তেমনি গুরুতর অসুস্থ কাউকে দেখে সে কখন এ দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে-এটাও সুনিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ। যা কিছু বলা হয় সবটাই অনুমাননির্ভর। এ অনুমান কখনো টেকে, কখনো টেকে না। আর কথা কি, জীবনযাত্রা ও বিজ্ঞানের উন্নতির পথ ধরে মানুষের নিজের তৈরি পণ্যে নিশ্চয়তা প্রদান যেভাবে বাড়ছে, মানুষের নিজের জীবন যেন ততটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। আকস্মিক মৃত্যু কত রূপ নিয়ে এখন আমাদের সামনে হাজির হয়! অবশেষে কথা তো একটাই-
اِذَا جَآءَ اَجَلُهُمْ فَلَا یَسْتَاْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّ لَا یَسْتَقْدِمُوْنَ .
যখন তাদের নির্ধারিত (মৃত্যুর) সময় উপস্থিত হয় তখন তারা আর এক মুহূর্তও বিলম্ব করতে পারে না এবং এর চেয়ে একটু এগিয়েও আসতে পারে না। -সূরা ইউনুস (১০) : ৪৯
এ তো গেল জীবন-মৃত্যুর কথা। কিন্তু এ জীবনের শেষ পর্যন্তও যে সুখে-সাচ্ছন্দে কাটবে, আরাম-আয়েশে কাটবে-এরই বা নিশ্চয়তা কোথায়! ‘নদীর এপার ভাঙে ওপার গড়ে এই তো নদীর খেলা / সকালবেলার ধনী রে তুই ফকির সন্ধ্যাবেলা’-এ তো রূপকথার কোনো গল্প নয়, বরং আমাদের চারপাশে ঘটতে থাকা বাস্তবতা। সামান্য সময়ের ব্যবধানে সারাজীবনের উপার্জন হারিয়ে সহায়-সম্বল অর্থবিত্ত সব হারিয়ে কতজন নিঃস্ব হয়ে যায়! চোখের পলকে আকস্মিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যারা হাত-পা হারিয়েছে, কিংবা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ আহত হয়েছে, তাদের অবস্থাও তো একই রকম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে এমন বিপদ থেকে হেফাজত করুন!
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
بَادِرُوا بِالأَعْمَالِ سَبْعًا هَلْ تنْظرُونَ إِلاّ إِلَى فَقْرٍ مُنْسٍ، أَوْ غِنًى مُطْغٍ، أَوْ مَرَضٍ مُفْسِدٍ، أَوْ هَرَمٍ مُفَنِّدٍ، أَوْ مَوْتٍ مُجْهِزٍ، أَوِ الدّجّالِ فَشَرّ غَائِبٍ يُنْتَظَرُ، أَوِ السّاعَةِ فَالسّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرّ.
সাতটি বিষয়ের পূর্বে তোমরা দ্রুত নেক আমল করো। তোমরা কি এমন দারিদ্র্যের অপেক্ষা করছ, যা তোমাদেরকে সবকিছু ভুলিয়ে দেবে? না ওই ঐশ্বর্যের, যা তোমাদেরকে দর্পিত বানিয়ে ছাড়বে? নাকি এমন রোগের, যার আঘাতে তোমরা জরাজীর্ণ হয়ে পড়বে? না সেই বার্ধক্যের, যা তোমাদেরকে অথর্ব করে ছাড়বে? নাকি মৃত্যুর, যা আকস্মিক এসে পড়বে? নাকি দাজ্জালের, অনুপস্থিত যা কিছুর জন্যে অপেক্ষা করা হচ্ছে, সে হচ্ছে সেসবের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট? না কিয়ামতের অপেক্ষা করছ, যে কিয়ামত কিনা সর্বাপেক্ষা বিভীষিকাময় ও সর্বাপেক্ষা তিক্ত? -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৩০৬
এই হাদীসে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে উপরোক্ত বাস্তবতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। মানুষ যে কোনো মুহূর্তে চরম সংকটের মুখে পড়তে পারে, কিংবা ঐশ্বর্যের ধাক্কায় সে অহংকারী ও অবাধ্য হয়ে পড়তে পারে, তার সুস্থ দেহটি যে কোনো সময়ই অসুস্থতায় আক্রান্ত হতে পারে, বার্ধক্যের আঘাতে হারিয়ে যেতে পারে যৌবনের শক্তি-সামর্থ্য, অকস্মাৎ থাবা বিস্তার করতে পারে মৃত্যু, নেমে আসতে পারে দাজ্জালের ফেতনা কিংবা কিয়ামত। তাই নেক কাজের জন্যে কোনো অপেক্ষা নয়। হাদীসের শিক্ষা হচ্ছে-যখন তুমি যে অবস্থাতেই থাক, সাধ্যমতো নেক কাজ করতে থাক। অবস্থা পরিবর্তনের অপেক্ষায় থেকে সময় পার করে দিয়ো না। আজ যে সচ্ছল, পকেটভর্তি যার টাকাপয়সা, সে ভাবতে পারে-হাতে তো টাকা আছেই, যে কোনো সময় চাইলেই তো দানসদকা করা যাবে, অকাতরে বিলিয়ে দেয়া যাবে অর্থকড়ি। এখন তাড়াহুড়োর কী আছে? কিন্তু এ নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে কোথায়-আজ হাতে যে অর্থসম্পদ রয়েছে, তা চিরদিনই থেকে যাবে? এ নিশ্চয়তা দেয়া তো কোনো মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাহলে হাতে টাকাপয়সা থাকার পরও, দানসদকা করার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ থাকার পরও আগামীকালের অপেক্ষায় আজকের দিনটি পার করে দেয়া কি দরিদ্রতা ও সংকটের মুখে পড়ার অপেক্ষা নয়? সে সংকটের আঘাতের তীব্রতায় হয়তো তুমি আল্লাহ্র কথাই ভুলে যাবে? দানের প্রশ্ন তো তখন বলাই বাহুল্য। তখন আক্ষেপ আর অনুশোচনা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকবে না। এ আক্ষেপ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আজকের দান আজকেই করতে হবে। আজকের নেক আমল আজকেই করতে হবে। আগামীকালের অপেক্ষায় রেখে দেয়া যাবে না কিছুই। পবিত্র কুরআনে কারীমে আল্লাহ তায়ালার ইরশাদ :
وَ سَارِعُوْۤا اِلٰی مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَ جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الْاَرْضُ اُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِیْنَ .
তোমরা তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং এমন জান্নাতের দিকে দ্রুত ধাবিত হও, যার প্রশস্ততা হবে আকাশসমূহ ও জমিনসম। তা মুত্তাকিদের জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৩৩
আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
فَاسْتَبِقُوْا الْخَیْرٰتِ.
তোমরা কল্যাণকর কাজে প্রতিযোগিতা করো। -সূরা বাকারা (২) : ১৪৮
হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন-যখন যে অবস্থাতেই থাক, নেক কাজ করতে থাক। নেক কাজের জন্যে নিজের অবস্থা পরিবর্তনের অপেক্ষায় থাকা মূলত শয়তানের ধোঁকা। এ অপেক্ষায় যারা থাকে, নেক কাজের সুযোগ তাদের আর হয়ে ওঠে না।
উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে-এমন সচ্ছলতা, যা একজন মানুষকে দাম্ভিক ও অহংকারী করে তোলে এবং আল্লাহ্র হুকুম-আহকাম ভুলিয়ে দেয়। অনেককে বলতে শোনা যায়-আরও কিছু টাকাপয়সা কামিয়ে নিই, এরপর সবকিছু ছেড়ে দেব! অথবা ‘ঢাকায় মাথা গুঁজার মতো একটি বাড়ি করতে পারলেই আমার আর কোনো চিন্তা নেই। তখন কেবলই আল্লাহকে ডাকব!’ আসলে এমনটা যারা ভাবেন, তারা মানুষের একটি স্বভাবজাত চাহিদার কথা ভুলে যান। হাদীস শরীফে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
لَوْ كَانَ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ لاَبْتَغَى ثَالِثًا، وَلاَ يَمْلأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاّ التّرَابُ.
আদমসন্তানের যদি দুই উপত্যকা ভর্তি সম্পদ থাকে, তাহলে সে তৃতীয় আরেকটি তালাশ করবে। আদমসন্তানের পেট তো (কবরের) মাটি ছাড়া আর কিছুই ভরিয়ে দিতে পারবে না! -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৩৬
তাই অঢেল টাকাপয়সা উপার্জন করার পর আল্লাহ তাআলার বন্দেগিতে মনোনিবেশ করার যে প্রতীক্ষা, তা কেবলই শয়তানের ধোঁকা। অল্প সম্পদ হাতে নিয়ে যে আল্লাহকে ডাকতে পারে না, সম্পদ বেশি হলে তার ইবাদত করার সুযোগ কোথায়? তখন তো বরং সম্পদের নেশা বেড়ে যাবে আরও বহুগুণে। তাই কমবেশি সম্পদ এখন যাই আছে, তা নিয়েই ইবাদতে মনোনিবেশ কর, দানসদকা করতে থাক। এর পাশাপাশি যদি কেউ সম্পদ বৃদ্ধির জন্যে চেষ্টা করে যায়, তাহলে তা নিন্দিতও নয়।
হাদীসে বর্ণিত শয়তানের পরবর্তী ধোঁকা- সুস্থতা। মানুষ ভাবে, এখন তো সুস্থই আছি। যে কোনো সময় চাইলেই যে কোনো ইবাদত করতে পারি। হাত সচল, তা দিয়ে যা ইচ্ছা ধরতে পারি। পা সচল, তা দিয়ে যেখানে ইচ্ছা যেতে পারি। তাই মন চাইলেই যে কোনো ইবাদত যে কোনো মুহূর্তে করে নিতে পারব। তাড়াহুড়োর কিছুই নেই। কিন্তু এ সুস্থতার নিশ্চয়তা দেবে কে? আগামীকাল সে অসুস্থ হয়ে পড়বে না, এর কি গ্যারান্টি আছে? অপেক্ষা কি তাহলে এ অসুস্থতার, যা শরীর নষ্ট করে দেবে, যাবতীয় শক্তি শেষ করে দেবে? এ অপেক্ষা তো তাহলে নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ রোগব্যাধিতে শিকার হলে তখন আর ইবাদতের সুযোগ থাকবে না।
অনেকে তো বলে কয়েই বার্ধক্যের অপেক্ষা করে। তাদের ভাবনা-ইবাদত-বন্দেগি তো বুড়ো বয়সের কাজ। যৌবনের স্বাদ ভোগ করে নিই। এরপর আল্লাহকে ডাকা যাবে। অনেকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যৌবনে হজ¦ করে না, পাছে আবার হজে¦র পর গোনাহ হয়ে যায় কি না। তাই হজ¦ করার জন্যে তারা বার্ধক্যকেই বেছে নেয়, যেন তখন একনাগাড়ে কেবল আল্লাহ্র ইবাদত করা যায়। তাদের দৃষ্টিতে, যারা যৌবনে আল্লাহ্র ইবাদত করে, তারা একপ্রকারের বোকা। কারণ যৌবনের কোনো স্বাদই তারা ভোগ করতে পারে না। তারুণ্যের উচ্ছলতায় নিজেকে ভাসিয়ে দেয়াই তাদের দৃষ্টিতে বুদ্ধিমানের কাজ। অথচ হাদীস শরীফে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ তাআলার আরশের ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, তখন সাত প্রকারের মানুষ সেই আরশের ছায়ায় স্থান পাবে। তাদের একজন হল-
شَابّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ رَبِّهِ.
অর্থাৎ এমন যুবক, যে তার প্রভুর ইবাদতে বেড়ে উঠেছে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬০
প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের প্রতি যাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তাদেরকে তাই স্বীকার করতেই হবে, উদোম তারুণ্যে গা ভাসিয়ে দেয়ায় নয়, বরং আল্লাহ তাআলার ইবাদতে যৌবনের সময়টুকু কাটানোই প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ। ইবাদতের যে স্বাদ ও তৃপ্তি যৌবনে পাওয়া যায়, বুড়ো বয়সে কি তা পাওয়া যাবে! তাই বার্ধক্যের অপেক্ষা নয়, যৌবন থেকেই ইবাদত করতে শুরু করুন।
আর অপেক্ষায় অপেক্ষায় যদি মৃত্যুই এসে পড়ে, তাহলে তো আফসোসের কোনো সীমাই থাকবে না। সেই আফসোসও হবে এমন, যা থেকে উঠে আসার কোনো সুযোগও থাকবে না। কে জানে, মৃত্যু কাকে কখন আঘাত করে বসে?
আজকে যারা অপেক্ষায় অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে, কাল তাদের সামনে উপস্থিত হতে পারে দাজ্জালের ফেতনা। এই হাদীসেরই ভাষ্যমতে, এখনো অনুপস্থিত এমন যা কিছুর অপেক্ষা করা হচ্ছে, দাজ্জাল হচ্ছে সেসবের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। সেই দাজ্জাল যখন এসে পড়বে, তখন তো আর ইবাদতের কোনো সুযোগ থাকবে না। সেই দাজ্জালের ফেতনা হবে সর্বগ্রাসী। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও দাজ্জালের ফেতনা থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
আর যদি অপেক্ষায় থেকে কিয়ামতই চলে আসে, তাহলে তো সবই শেষ। কারণ তখন আর কোনো আমলের সুযোগ থাকবে না। কিয়ামতের দিন তো চূড়ান্ত ফয়সালার দিন। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সর্বাপেক্ষা বিভীষিকাময়, সর্বাধিক তিক্ত।
মোটকথা, নেক আমলে বিলম্ব করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কখন কোনো বিপদ এসে আছড়ে পড়ে কে জানে! সবরকমের নেক কাজে তাই এগিয়ে যেতে হবে দ্রুততার সঙ্গে, একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। যখন যতটুকু সম্ভব নেক কাজ করে নিতে হবে। আজকের সুযোগ আজকেই কাজে লাগাতে হবে। আগামীকালের অপেক্ষায় থেকে এ সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النّاسِ الصِّحّةُ وَالْفَرَاغ.
দুটি নিআমত এমন, যাতে অনেক মানুষই ধোঁকায় পড়ে আছে-সুস্থতা ও অবসর। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪১২
অর্থাৎ এ নিআমত দুটি যখন তাদের অর্জিত হয়, তখন তারা ভাবে, এগুলো তো সবসময়ই থাকবে। আর এ ভাবনাই তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রাখে। তাই আজকের সুযোগকে, সুস্থতা ও অবসরকে আল্লাহ তাআলার নিআমত মনে করে কাজে লাগাতে হবে। আজকের কাজ আজকেই করতে হবে। ভবিষ্যত অনুশোচনা থেকে মুক্তির পথ এই একটাই।