Jumadal Ula 1439   ||   February 2018

একটি ভুল ধারণা : বানর প্রাণিটি কি বনী ইসরাঈলের বানরে রূপান্তরিত হওয়া মানুষের বংশধর?

বনী ইসরাঈলের জন্য শনিবারে মাছ শিকার করা নিষেধ ছিল। তারা সমুদ্র-উপকূলের অধিবাসী হওয়াতে মাছ শিকার করা ছিল তাদের প্রিয় কাজ। এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবারে সমুদ্রকূলে মাছ আসত বেশি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তারা মাছ শিকার করতে থাকে। এতে আল্লাহ ওদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের উপর বানর ও শুকরে রূপান্তরিত হওয়ার আযাব নেমে আসে। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা জন্মেছে যে, বানর জাতি সেই বিকৃত বনী ইসরাঈলেরই বংশধর। কিন্তু তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। মানুষ ও বানর আল্লাহ তাআলার ভিন্ন দুটি সৃষ্টি। বানর মানুষ ছিল না এবং মানুষও বানর ছিল না। এরা সম্পূর্ণ পৃথক দুটি প্রজাতি। আল্লাহ তাআলা আযাব স্বরূপ কিছু মানুষকে বানর-শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। রূপান্তুরিত বানর পৃথিবীতে বংশবিস্তার করেনি। সেই অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং বানর স্বতন্ত্র একটি প্রজাতি; বিকৃত ও রূপান্তরিত কোনো প্রজাতি নয়। সহীহ মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, জনৈক ব্যক্তি একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, আল্লাহর রাসূল! আমাদের যুগের বানর ও শুকরগুলো কি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়? নবীজী উত্তরে বললেন, আল্লাহ তাআলা যখন কোনো সম্প্রদায়ের আকৃতি রূপান্তরিত করেন তখন তাদের বংশ বিস্তার হয় না। অর্থাৎ তারা রূপান্তরিত অবস্থায়ই ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি আরো বললেন, বানর ও শুকর তো পৃথিবীতে আগেও ছিল। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৬৩

 

advertisement