সন্তানের নাম রাখা : অবহেলা কাম্য নয়
সন্তানের সুন্দর ও অর্থপূর্ণ নাম রাখা- এটা বাবা-মা’র দায়িত্ব। সকলেই তার সন্তানের জন্য পছন্দসই নাম খোঁজেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পসন্দসই ও ‘আনকমন’ নাম খোঁজ করতে গিয়ে। ‘আনকমন’ নাম রাখতে গিয়ে অনেকেই এমন নাম নির্বাচন করেন, যা হয় অর্থহীন বা এমন শব্দ যা কোনো নাম হতে পারে না। কোনো একটি শব্দ কুরআন মাজীদে পেয়েছেন এবং পছন্দ হয়েছে তো সেটা সন্তানের নাম রেখে দিয়েছেন।
কিছুদিন আগে এক ভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফাবি’ নামের অর্থ কী? প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি যে ‘ফাবি’ শব্দটা কোত্থেকে এল। পরে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, সূরা আররাহমান-এর
فَبِأَيِّ آلاءِ رَبِّكُما تُكَذِّبانِ
এই আয়াতের প্রথম দুই অক্ষর ‘ফাবি’ থেকে রাখা হয়েছে। এটি সূরা আররাহমানে বারবার এসেছে, তার কাছে ভালো লেগেছে, সন্তানের নাম রেখে দিয়েছেন।
আমি তো শুনে অবাক। বলে কী! বিচ্ছিন্ন দুটি অক্ষর দিয়ে রাখা নামের এখন কী অর্থ হবে? কোনোই অর্থ নেই। সুতরাং নাম রাখার আগে কোনো আলেম থেকে জেনে নেওয়া; আমি যে নাম রাখতে চাচ্ছি সেটি কোনো নাম হতে পারে কি না এবং এটি অর্থবহ ইসলামী নাম কি না।
সন্তানের নাম সুন্দর ও অর্থবহ হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে কোনো সাহাবীর নাম যদি অসুন্দর হত নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সুন্দর নাম রাখতেন। হাদীসে এসেছে, এক সাহাবিয়্যার নাম ছিল ‘আছিয়া’ যার অর্থ অবাধ্য-নাফরমান। তখন নবীজী তার নাম রাখলেন ‘জামীলা’ যার অর্থ ‘সুন্দর’। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১৩৯) সুতরাং এ বিষয়ে আমরা সচেতন হব।