একটি কুসংস্কারঃ বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে
জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই যুগকে যেখানে সচেতনতার যুগ বলে দাবি করা হয়, সেই সময় এই ধরনের মারাত্মক কুসংস্কারের কথা যখন পত্রিকার পাতায় দেখি তখন বড়ই অবাক হতে হয়। বৃষ্টির জন্য পুরো দেশজুড়ে হাহাকার উঠলে দেশের উত্তর-দক্ষিণবঙ্গে এই ধরনের একটি প্রথার কথা আমি বেশ ক’বার পত্রিকার পাতায় দেখেছি। অনাবৃষ্টির কারণে এক গ্রামের লোকেরা মিলে একটি ব্যাঙ ধরে অত্যন্ত ঢাকঢোল পিটিয়ে আরেক গ্রামের একটি ব্যাঙের সাথে বিশেষ কায়দায় বিয়ে দেয়। এতে উভয় গ্রামের লোকেরা বিয়ের মতো হৈ-হুল্লোড় করে আনন্দ উদযাপন করে! তাদের ধারণা, এতে করে বৃষ্টি নেমে আসে!! নাউযুবিল্লাহ।
বৃষ্টির সাথে ব্যাঙের কী সম্পর্ক? আর তাদের বিয়েরই বা কী তাআল্লুক? এমন হিন্দুয়ানী কুসংস্কার আদি যুগের অনেক কুসংস্কারকেও হার মানায়। আর কেউ যদি বৃষ্টি বর্ষণকে ব্যাঙের সাথে সম্পৃক্ত করে দেয় তবে তা তো সুস্পষ্ট ঈমান বিধ্বংসী বিশ্বাস। আল্লাহ তাআলা বলেন,
هو الذى انزل من السماء ماء
‘তিনিই সেই সত্ত্বা, যিনি আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন।’
অনাবৃষ্টি হলে কী করতে হবে, তার সুন্দর নির্দেশনা ইসলামেই বিদ্যমান। ইস্তিগফার করা, উন্মুক্ত মাঠে ‘সালাতুল ইসতিস্কা’ আদায় করা, সম্মিলিতভাবে দুআ করার কথা হাদীসে এসেছে। প্রত্যেকটি হাদীসের ও ফিকহের কিতাবে এই সংক্রান্ত স্বতন্ত্র অধ্যায় রয়েছে। অতএব সে নিয়ম অনুযায়ী আল্লাহর কাছেই বৃষ্টি চাওয়া উচিত।