দাম্পত্য জীবনের মাধুর্য ও তিক্ততা : ইসলামের নির্দেশনা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি
কুরআন-হাদীসের নির্দেশনা এবং সাহাবা-তাবেঈনের আমল থেকে প্রমাণিত হয় যে, তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল, স্ত্রী যখন হায়েয থেকে পবিত্র হবে তখন স্বামী তার সঙ্গে সহবাস না করে সুস্পষ্ট শব্দে এক তালাক দিবে। যেমন স্বামী স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলবে, আমি তোমাকে এক তালাক দিলাম। এরপর স্বামী যদি স্ত্রীকে ইদ্দত চলা অবস্থায় ফিরিয়ে নেয় তাহলে ভালো। পুনরায় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কায়েম হয়ে যাবে। অন্যথায় ইদ্দত শেষ হওয়ার সাথে সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং স্ত্রী স্বামী থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যাবে। এখন স্ত্রী স্বাধীন। ইচ্ছা করলে সে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। ফকীহগণ এভাবে তালাক দেওয়াকে ‘তালাকে আহসান’ বলেছেন। সাহাবায়ে কেরামও এই পদ্ধতিকে সর্বোত্তম পদ্ধতি বিবেচনা করেছেন। সুতরাং তালাক দিতে একান্ত বাধ্য হলে এই পদ্ধতিতে তালাক দেওয়া কর্তব্য।
সর্বোত্তম পদ্ধতিতে তালাক দেওয়ার সুফলসমূহ
এ পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সুফল হল:
১. অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় তালাকের পরে স্ত্রীই বেশি অনুতপ্ত হয় এবং বৈবাহিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। যদি শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী এক তালাক দেওয়া হয় তাহলে এই আশা পূরণ হওয়ার সুযোগ থাকে এবং তারা পুনরায় বৈবাহিক জীবন শুরু করতে পারে। কিন্তু স্বামী একসাথে তিন তালাক দিলে ইদ্দত চলা অবস্থায়ও স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে না এবং ইদ্দতের পরেও নতুনভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অবকাশ থাকে না। তারা একে অপরের জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। এমতাবস্থায় অনুতপ্ত হওয়া এবং আপোষের জন্য আগ্রহী হওয়া কোনো কাজে আসে না। অবশ্য তালাকপ্রাপ্তা মাহিলার যদি ইদ্দত শেষে অন্যত্র বিবাহ হয় এবং দুর্ভাগ্যবশত সেই স্বামী কর্তৃকও তালাকপ্রাপ্তা হয় বা স্বামী মারা যায় তাহলে ইদ্দত শেষে সে প্রথম স্বামীর জন্য পুনরায় হালাল সাব্যস্ত হবে এবং উভয়ে সম্মত হলে নতুন মহর ধার্য করে আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।
এ পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময় স্ত্রীকে পুনঃগ্রহণের অবকাশ পাওয়া যায় এবং তালাকের কারণে সৃষ্ট সমস্যা নিয়েও ভাববার সুযোগ থাকে।
উল্লেখ্য, তালাকের সময় স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত তার ইদ্দতের সময়। আর গর্ভবর্তী না হলে তিন হায়েয অতিক্রম করা পর্যন্ত।
যদি এ সময়ের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার পর উভয়ে নিজেদের ভুল বুঝতে পারে এবং বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল রাখতে সম্মত হয়, স্ত্রী নিজের দোষ-ত্রুটি সংশোধনের ওয়াদা করে, স্বামীর কথা মেনে চলতে রাজি হয়, স্বামীও সন্তান-সন্ততির কথা মাথায় রেখে স্ত্রীর সাথে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে চায় তাহলে পেরেশান হওয়ার দরকার হয় না। পুনরায় স্ত্রীর সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ফেলাই যথেষ্ট। আগের মতোই তারা স্বামী-স্ত্রী হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে সর্বোত্তম হল, স্বামী দুইজন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে বলবে, আমি আমার স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করলাম। যাতে পরিচিতদের মাঝে কোনো ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয় এবং তালাকের মতো স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ও সবার জানা হয়ে যায়।
২. যদি বিচ্ছেদের পর দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তির কথা মনে পড়ে, পরস্পরের গুণ ও অবদান স্মরণ হয় এবং আবার তারা দাম্পত্য জীবন শুরু করতে চায় তাহলে নতুন মহর ধার্য করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। প্রথম তালাকের ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেও এক্ষেত্রে অন্যত্র বিবাহের প্রয়োজন হবে না। দুর্ভাগ্যবশত দ্বিতীয়বারও তাদের মাঝে বনিবনা না হলে এবং আল্লাহ না করুন পুনরায় তালাক দেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রেও ইসলামী দিক নির্দেশনার পূর্ণ অনুসরণ করবে। তাতে কাজ না হলে স্ত্রীকে তালাকে আহসান দিবে। অর্থাৎ স্ত্রী হায়েয থেকে পবিত্র থাকা অবস্থায়-যে সময়ে স্বামী তার সাথে সহবাস করেনি-সুস্পষ্ট ভাষায় এক তালাক দিবে।
শরীয়ত এমতাবস্থায়ও বিবাহ টিকিয়ে রাখার সুযোগ রেখেছে। স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে পারবে আর ইদ্দত শেষ হলে নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। তবে স্বামী যেহেতু স্ত্রীকে দুই ধাপে দুই তালাক প্রদান করেছে তাই এখন শুধু একটি তালাক তার অধিকারে আছে। এই তৃতীয় তালাক প্রদান করলে আর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে না এবং পুনরায় বিবাহও করতে পারবে না। কেননা এই সুযোগ দুই তালাক পর্যন্তই সীমিত। যে ব্যক্তি উপরোক্ত পদ্ধতিতে দুই তালাক দেওয়ার পর পুনরায় বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করবে তকে আগামী দিনগুলোতে খুব হিসাব নিকাশ করে চলতে হবে। কেননা একটু অসতর্কতার কারণে তৃতীয় তালাক দিয়ে ফেললে আর এই স্ত্রীকে নিয়ে ঘরসংসার করার সুযোগ থাকবে না; বরং মহিলাটি তার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যাবে। এজন্য খুব সাবধান থাকতে হবে।
মোটকথা ‘আহসান’ পদ্ধতিতে তালাক দিলে তালাক-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। ধীর-স্থিরভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তাড়াহুড়া করে অনাকাংখিত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। পক্ষান্তরে একসাথে তিন তালাক দিলে এই অবকাশগুলো থাকে না এবং তা কোনো সুফলও বয়ে আনে না; বরং স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে। জীবন চলা তাদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
সুতরাং একটু খোলা মনে চিন্তা করে দেখুন দাম্পত্য সম্পর্ক অটুট রাখার জন্য শরীয়তের ভূমিকা কত গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক কলহ-বিবাদ দূর করার জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আদেশ করেছে। মিলে মিশে থাকার কোনো পথ খোলা না থাকলে বিশেষ পদ্ধতিতে তালাক দেওয়ার হুকুম দিয়েছে। অর্থাৎ স্ত্রী হায়েয থেকে পবিত্র থাকা অবস্থায় এক তালাক দিবে। কেননা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়া মারাত্মক গুনাহ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পরবর্তীতে স্ত্রীর প্রতি মুহাববত প্রকাশ পেলে ইদ্দতের মধ্যে তাকে গ্রহণ করতে পারবে। ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে নতুন বিবাহের মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরায় স্থাপিত হওয়া সম্ভব। কিন্তু তিন তালাক দিলে স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করার বা নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে না। এভাবেই ইসলামী শরীয়ত বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট রাখার অবকাশ দিয়েছে। কিন্তু অনেক মানুষই শরীয়তের এই সহজ পদ্ধতি উপেক্ষা করে। তিন তালাকের কঠিন হুকুম তা তাদের উপর আরোপিত হয়ে যায়। অর্থাৎ বিবাহ ভেঙ্গে যায় এবং তারা পরষ্পরের জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। এখন মহিলাটির অন্যত্র বিবাহ হলে এবং সেই স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্তা হলেই কেবল প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে।
অনেকে শরীয়তের পন্ডিত সেজে বলতে থাকে, অন্তরের নিয়ত ছাড়া শুধু রাগের মাথায় তিন তালাক দিলে তিন তালাকই হয়ে যাবে-এটা কেমন কথা? এ ধরনের আরো অনেক তর্ক ও অসার যুক্তির অবতারণা করে থাকে। তাদের যুক্তির খন্ডনে যুক্তি দিয়ে বলা যায়, একটি কাজ যদি অন্যায় হয় তবে তা করা নিষিদ্ধ হবে , কিন্তু করে ফেললে তার ক্রিয়া প্রকাশিত হবে না-এটাই বা কেমন কথা? কোনো মানুষকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ এবং কবীরা গুনাহ। কিন্তু কেউ যদি ঘটনাক্রমে কাউকে গুলি করে মেরে ফেলে তখন কি এই তর্ক তাকে বাঁচিয়ে তুলবে যে, যে গুলি করেছে সেকি ন্যায় করেছে না অন্যায় করেছে?
তালাক দেওয়ার ভুল পদ্ধতি এবং তার কুফল
ইসলামী শরীয়তে একান্ত প্রয়োজনে তালাক দেওয়ার অবকাশ রাখা হয়েছে এবং সেজন্য সুন্দর পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে পদ্ধতি উপেক্ষা করতে দেখা যায়। আবার কোথাও পুরোপুরি উপেক্ষা করা না হলেও যথাযথ অনুসরণ করা হয় না। সমাজে তালাক দেওয়ার বিভিন্ন ভুল পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে এবং দিন দিন নতুন নতুন পদ্ধতির কথা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং শরীয়ত পরিপন্থী পদ্ধতি, যার কারণে একটি সুখী সংসার নিমিষেই শেষ হয়ে যায় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অন্তর্জ্বালায় জ্বলতে থাকে তা হল-একসাথে তিন তালাক দেওয়া। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এভাবেই তালাক দেওয়া-নেওয়া হয়। অনেকে একেই তালাক দেওয়ার একমাত্র পদ্ধতি মনে করে। এটা ছাড়া ভিন্ন পন্থায় তালাক দিলে তালাক দেওয়া হয়েছে বলে মনে করে না।
এই ভুল রেওয়াজ এতই ব্যাপক যে, তালাক কার্যকরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এভাবেই তালাক কার্যকর করে থাকে। তদ্রূপ শিক্ষিত অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র সব শ্রেণীর লোকদের মধ্যেই এই প্রবণতা দেখা যায় যে, তারা যখন রাগে ক্ষোভে অথবা সিদ্ধান্ত নিয়ে লিখিত বা মৌখিকভাবে তালাক দেয় তখন একসাথে তিন তালাকই দিয়ে থাকে। এর কম তালাক দেওয়ার কোনো পন্থা আছে কি না সেটা জানারও প্রয়োজন বোধ করে না।
কখনও এমনও ঘটে যে, কেউ যদি এক তালাক বা দুই তালাক দেয় তাহলে তাকে তৃতীয় তালাক দিতে বাধ্য করা হয় এবং নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে, ঠাট্টা বিদ্রূপ করে কিংবা যেকোনো ভাবে উত্তেজিত করে তৃতীয় তালাক দেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। দৃশ্যটা এমন থাকে যে, যতক্ষণ স্বামী তিন তালাক না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত না সে নিজে ঠান্ডা হয়, না স্ত্রী, না অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন। সন্তান-সন্ততির ভবিষ্যতের কথা, সংসার ভাঙ্গার কথা, দুই পরিবারের মাঝে শত্রুতা ও সংঘাতের কথা কোনোটাই মাথায় থাকে না। যেই তিন তালাক দেওয়া হল অমনি সবাই শান্ত সুবোধ হয়ে গেল। এখন ছোট ছোট সন্তানের কথা মনে পড়ে, নিঃষ্পাপ সন্তানদের চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠে এবং ঘর ভাঙ্গা সংসারের চিত্রটা এমন বিভৎস আকারে ধরা দিতে থাকে যে, প্রত্যেকে নিজের ভুল বুঝতে পারে। স্বামী-স্ত্রী নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়। মাফ চাওয়া-চাওয়ির মাধ্যমে অতীত ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে বৈবাহিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করতে মরিয়া হয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে গিয়েছে। নিজ হাতে সকল সুযোগ বিনষ্ট করা হয়েছে। তালাক দেওয়ার শরীয়তসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ না করার কারণে স্ত্রী তার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে গিয়েছে। এখন স্ত্রীকে ইদ্দত চলা অবস্থায়ও পুনরায় গ্রহণ করারও সুযোগ নেই, নতুন করে বিবাহ করারও সুযোগ নেই। উপরন্তু শরীয়তের নিয়ম অমান্য করে মারাত্মক গুনাহ করা হয়েছে। আর অন্যায়ভাবে তালাক দেওয়া হলে স্ত্রীর উপরও চরম যুলুম করা হয়েছে, যা আরেকটি কবীরা গুনাহ ও হারাম।
যারা তিন তালাক দেওয়ার পর শরীয়তের বিধান জানতে মুফতী সাহেবদের কাছে আসেন তাদের অনেককে দেখা যায়, অত্যন্ত অসহায়ত্বের সাথে নিজের দুঃখের কথা বলে মুফতী সাহেবের মন গলাতে চেষ্টা করেন। নিষ্পাপ সন্তানদের কথা বলেন আর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে। বিনয়ের সাথে অনুরোধ করতে থাকেন যেভাবেই হোক কোনো হিলা-বাহানা বের করে তার পরিবারটাকে যেন ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচানো হয়।
এমনকি তিন তালাকের হুকুম নস্যাৎ করার জন্য বিশেষ কোনো কাফফারা থাকলে তা যেন বাতলে দেওয়া হয়। মোটকথা, যেকোনো উপায়ে দাম্পত্য সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করতে থাকে। কিন্তু তাদের এ সকল আবদার-অনুরোধ বিফল। এতে শরীয়তের বিধানে পরিবর্তন হয় না। স্ত্রী তার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে গেছে। আর এটা হয়েছে শরীয়তের নিয়ম লঙ্ঘন করে একসাথে তিন তালাক দেওয়ার কারণে। এখন পুনরায় তাকে স্ত্রী রূপে ফিরে পাওয়ার যে সম্ভাবনাটি রয়েছে তা অত্যন্ত দূরবর্তী সম্ভাবনা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বৈধ পন্থার পরিবর্তে নানা রকম হিলা-বাহানার আশ্রয় নেওয়া হয়, যা যেমন অশালীন তেমনি শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ ও লানতযোগ্য কাজ।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)