Muharram 1430   ||   January 2009

উম্মাহ : আরব বীর, তোমাকে মোবারকবাদ

হায়দার আকরব খান রনো

 

বুশকে জুতা মেরে অসম সাহসী ইরাকী সাংবাদিক মুনতাজার আলজাইদী এখন নির্যাতিত বন্দি। তার বিচারের আয়োজন চলছে। ইরাক ও আফগানিস্তানে গণহত্যার নায়ক বুশের প্রতি জুতা নিক্ষেপের মতো ঘৃণা ও ক্ষোভ কেন দেশে দেশে সাড়া জাগিয়ে তুলেছে, তার একটি বিশ্লেষণ পেশ করেছেন এদেশের বিশিষ্ট বামতাত্ত্বিক হয়দার আকবর খান রনো। ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল।বি.স.

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রতি ইরাকি সাংবাদিক মুনতাজের আলজাইদি জুতো নিক্ষেপ করে ইরাকি মুস্তাকিমী জনগণ তথা গোটা বিশ্ববাসীর অন্তরের ইচ্ছাটাই প্রকাশ করেছেন। জুতো নিক্ষেপ একটি প্রতীকী ঘটনা। কিন্তু এর তাৎপর্য বিরাট। আমি আমাদের দেশেও দেখেছি, ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন চলার সময় গ্রাম-গ্রামান্তরে সাধারণ মানুষ বুশের ছবি টানিয়ে রেখে তার ওপর জুতোর মালা ঝুলিয়ে রাখতে। কোথাও কোথাও এমনও দেখেছি, পাশে পোস্টারে লেখা থাকত, বুশকে জুতো মারুন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে পথচারীরা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা স্যান্ডেলের বাড়ি মারত। জনগণের আকাঙ্খা ছিল সুযোগ পেলে বুশের গায়ে যদি একটা জুতোর বাড়ি মারা যেত! চরম ঘৃণিত ব্যক্তিকে দৈহিকভাবে সেই মার দেওয়া সম্ভব না হলেও, জনগণের এই আকাঙ্খার তাৎপর্য অনেক বিরাট।

বাংলাদেশের আপামর জনগণের এই আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন আরব বীর মুনতাজের আলজাইদি। তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন সেই ঘৃণিত ব্যক্তিটিকে কাছাকাছি পাওয়ার। সুযোগের চমৎকার সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। পরপর দুটি জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন বুশকে লক্ষ্য করে। সাহসী যোদ্ধা মুনতাজের আলজাইদি। বাংলাদেশের ১৪ কোটি জনগণ ও শান্তিকামী স্বাধীনতাপ্রিয় বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে মোবারকবাদ। ঠিক এমনই আরেক ঘটনা দেখেছি কয়েক বছর আগে। পূর্ব ইউরোপের একটি দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ রাজকুমার চার্লস। এর কিছুদিন আগে ব্রিটিশ ও আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছিল। ২০০১ সালের ঘটনা। রাষ্ট্রীয় সফররত ব্রিটিশ রাজকুমার চার্লসকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানোর কথা ছিল এক পঞ্চদশীয় কিশোরীর। রাষ্ট্রীয়ভাবেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই ইউরোপীয় কিশোরীর নামটি এখন মনে পড়ছে না। পুরনো খবরের কাগজ খুঁজলে পাওয়া যাবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে যারা ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তারা এক নির্দোষ সামান্য কিশোরীকে বেছে নিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ব্রিটিশ রাজকুমরাকে ফুলের তোড়া দেওয়ার অনুষ্ঠানের জন্য। কিন্তু সেই সামান্য কিশোরী সেদিন অসামান্য কাজ করেছিল। ফুলের তোড়া উপহার দেওয়ার সময় সে রাজকুমার চার্লসের গালে একট কষে চড় বসিয়ে দিয়েছিল। বলেছিল, আফগানিস্তানে বোম ফেলবি? তারপর সেই কিশোরী মেয়েটির কি হয়েছিল জানি না, তবে সে এক ইতিহাস তৈরি করে গেছে। সাম্রাজ্যবাদের প্রতিভূ ব্রিটিশ রাজকুমার প্রিন্স চার্লসের গালের ওপর এই ঐতিহাসিক চড়টি ছিল এক প্রতীকী ঘটনা; সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিশ্ববাসীর ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। 

সেই কিশোরীর চড় আর জাইদির জুতো নিক্ষেপ প্রমাণ করে, উন্নত ও অনুন্নত সব দেশের মানুষের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব। বস্ত্তত ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আজ সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন। আজকের মতো সাম্রাজ্যবাদ সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এত শক্তিশালী কোনোকালেও ছিল না। আবার একই সঙ্গে বিশ্ব জনগণ থেকে এত বিচ্ছিন্ন কখনও ছিল না। খোদ সাম্রাজ্যবাদী দেশে অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এতটা পণচেতনা বিংশ শতাব্দীতে ছিল না।  

সাম্রাজ্যবাদ, বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মতো এত পরাক্রমশালী সাম্রাজ্যবাদ ইতিহাসে কখনও দেখা

যায়নি। প্রথমে তাদের শক্তির দিকটি পরীক্ষা করে দেখা যাক। প্রথমত. মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এখন পৃথিবীর একমাত্র পরাশক্তি, যার আছে অতি উন্নত সামরিক শক্তি, আছে আণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ভান্ডার। দ্বিতীয়ত. অন্য সাম্রাজ্যবাদীরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মার্কিনের নেতৃত্বে। সাম্রাজ্যবাদীদের নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব থেকেই বিংশ শতাব্দীতে দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল। বর্তমান বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান সাম্রাজ্যবাদের তিনটি কেন্দ্র থাকলেও এবং কখনও কখনও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কিছুটা প্রকাশ্যে চলে এলেও (যেমন ২০০৩ সালে ইরাক আগ্রাসনের সময় ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে মার্কিন ও ব্রিটেনের দ্বন্দ্ব বেশ প্রকাশ্যে এসেছিল) আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের কোনো ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না; বরং জি-৮ ইত্যাদি ধরনের সংস্থার মধ্যে তারা বেশ সংঘবদ্ধ। তৃতীয়ত. আজকের সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি এক অর্থে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি মজবুত। বিশ্বায়নের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ অর্থনৈতিকভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। এতটা অর্থনৈতিক শক্তি, এত বিস্তৃত ও তুলনামূলক পাকাপোক্ত অর্থনৈতিক কাঠামো ও এত উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী পুঁজিবাদ তথা সাম্রাজ্যবাদ

এর আগে কখনও ছিল না। চতুর্থত. বিংশ শতাব্দীতে সাম্রাজ্যবাদের প্রবল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে সেই সমাজতান্ত্রিক শিবিরের বিলোপ ঘটেছে। সব মিলিয়ে সাম্রাজ্যবাদের এখন জয়জয়কার। তাই মার্কিন রাজকর্মচারী ফ্রান্সিস ফুকিয়ামা বললেন, ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে (End of History) কিন্তু এটা গেল বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির একটা দিক মাত্র। ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদ আবার সবচেয়ে দূর্বলও বটে। সে কারণে সাম্রাজ্যবাদেরই জনৈক মুখপাত্র সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের একদা উপদেষ্টা জিবনিউ ব্রেজ জিনস্কি বলেছিলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছিলেন, `Hsitory has not ended, but has become compressed’ (অর্থাৎ ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেনি, ইতিহাস সঙ্কুচিত হয়েছে)। বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বরং উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যা তার ভাষায়, ‘increasingly resembles a valcano of repressed aspiration and of intensifying awareness of fundamental inequality.’ আজকের সাম্রাজ্যবাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা দুটি। প্রথমত অর্থনৈতিক দিক। দ্বিতীয়ত রাজনৈতিক দিক। মার্কিনসহ অন্য সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত ও বিগত শতাব্দীগুলোর তুলনায় সংগঠিত মনে হলেও , ভেতরে বড় রকমের ফাটল ধরেছে। পুঁজিবাদের অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্বগুলো অনেক বেশি করে ফুটে উঠেছে। মীমাংসার অতীত সংকটে নিমজ্জিত গোটা অর্থ ব্যবস্থা। জন্মলগ্ন থেকেই পুঁজিবাদের সংকট ছিল। গত শতাব্দীতে এই সংকট সাধারণ সংকটের রূপ নেয়। এবছর সংকট যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, তাতে অনেক বুর্জোয়া পন্ডিতরাও আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। কোনো কোনো সাম্রাজ্যবাদী মিডিয়া বলেছে, পুঁজিবাদের অবসান। গত শতাব্দীর নববইয়ের দশকের শুরুতে ফুকিয়ামা বলেছিলেন সমাজতন্ত্রের অবসানের কথা। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী গণচেতনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। খোদ সাম্রাজ্যবাদী দেশে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা উনবিংশ বা বিংশ শতাব্দীর তুলনায় অনেক বেশি। বিংশ শতাব্দীতে আমেরিকায় ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী বড় বড় সমাবেশ হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু এখন যেভাবে ইরাক বা আফগানিস্তানে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপ ও আমেরিকায় বিশাল সমাবেশ হচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। ইরাকে আগ্রাসনের প্রতিবাদে লন্ডনে যে বিক্ষোভ হয়েছিল তাতে বিশ লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। এই বিশ লাখ মানুষের অধিকাংশই শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান নারী। এই দিকটি ভালোভাবে বোঝা দরকার।

বর্তমান বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের তিনটি ধারা রয়েছে। প্রথমত সশস্ত্র সংগ্রাম। ইরাক, আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিনে সশস্ত্র সংগ্রাম চলছে। ইরাকে প্রতিদিন হানাদার মার্কিন সেনা মারা যাচ্ছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে গড়ে প্রতিদিন যত মার্কিন সেনা মারা গেছে, ইরাকে নিহত মার্কিন সেনার গড় সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। সন্দেহ নেই, ইরাক আরেকটি ভিয়েতনাম হতে যাচ্ছে।

দ্বিতীয়ত নিরস্ত্র, কিন্তু জঙ্গি প্রতিরোধ সংগ্রাম। ১৯৯৯ সালে সিয়াটলে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নতুন মাত্রায় প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু হয়েছে। তারপর থেকে যখনই এবং যেখানে সাম্রাজ্যবাদের মোড়লরা মিলিত হচ্ছে, তখনি এবং সেখানেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছে বিক্ষোভ জানাতে। যেখানেই জি-৮, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের সভা হচ্ছে, সেখানেই দেখা যাচ্ছে এরকম বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভগুলোর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। প্রথমত উন্নত পুঁজিবাদী দেশে অর্থাৎ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ব্রিটেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডে জঙ্গি সামবেশ ঘটছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ওইসব দেশে আর কখনও দেখা যায়নি।

দ্বিতীয়ত, বিক্ষোভে হাজার হাজার এমনকি লাখ লাখ মানুষ জড়ো হচ্ছে। তৃতীয়ত, বিক্ষোভগুলো যদিও নিরস্ত্র, তবুও মোটেও শান্তিপূর্ণ নয়; বরং খুবই জঙ্গি। যে ধরনের জঙ্গি মিছিল আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে দেখা যায় তা এখন শান্ত ইউরোপেও দেখা যাচ্ছে। ইতালিতে ২৩ বছরের যুবক পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন। এতেই বোঝা যায় এসব প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যে জঙ্গিত্ব কী পরিমাণ ছিল। চতুর্থত, এসব বিক্ষোভ-সমাবেশের আন্তর্জাতিক চরিত্র আছে। এক দেশের বিক্ষোভ-সমাবেশে আশপাশের দেশ থেকেও বিক্ষোভাকারীরা জড়ো হচ্ছেন। পুঁজিবাদ যেমন আন্তর্জাতিক, সাম্রাজ্যবাদের মোড়লরা যেমন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিলিত হয়ে সাধারণ কৌশলগ্রহণ করছে (যেমন জি-৮), তেমনি পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শক্তিও ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে সংহতি গড়ে তুলছেন। এটি খুবই আশাব্যঞ্জক ও ইতিবাচক দিক। সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের তৃতীয় ধারাটি লাতিন আমেরিকায় দেখা যাচ্ছে। তা হলো নির্বাচনের মাধ্যমে মার্কিনবিরোধী বাম ঘেঁষা সরকার গঠন। লাতিন আমেরিকায় একগুচ্ছ দেশে এখন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সরকার রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সামনের কাতারে রয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো স্যাভেজ।

বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম এক নতুন মাত্রা অর্জন করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম বেশ দুর্বল। রাজনীতির মূল স্রোতে এই বিষয়টি একেবারে অনুপস্থিত, যদিও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ব্যাপারে জনগণের ঘৃণা রয়েছে। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দারুণ ক্ষোভ ও ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। শুধু এই ক্ষোভই যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য ক্ষুধা ও দারিদ্র থেকে মুক্তির জন্য সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক লুণ্ঠন ও শোষণের বিরুদ্ধেও যে জনগণকে একাট্টা হয়ে দাড়াতে হবে, এই চেতনা ও উপলব্ধিও দরকার। মুনতাজের আলজাইদির ঐতিহাসিক জুতো নিক্ষেপ আমাদের মধ্যেও উৎসাহ সৃষ্টি করুক, সাহস সঞ্চার করুক। জাইদির মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশের মানুষ আরো সোচ্চার হোক। মহান আরব বীরকে আরেকবার মোবারকবাদ।#

 

 

advertisement