১৭-০৫-১৪৩৫ হি. ১৯-০৩-২০১৪ ঈ. বুধবার
এশার পর দারুল মুতালাআয় এলেন আমীনুত তালীম ছাহেব হুযূর। তালিবুল ইলম ভাইয়েরা মারকাযের মাহফিল ও তার প্রস্ত্ততি বিষয়ে মশওয়ারা করছিল। হুযূর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ধরা গলায় দুআ চাইলেন। মুদীর ছাহেব হুযূর অসুস্থ। হঠাৎ বুকে ব্যথা। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি। ভরা মজলিস মুহূর্তে নীরব হয়ে গেল। ব্যস্ত দৃষ্টিগুলো হয়ে গেল স্থির, অবনমিত, ছলছল। আকুল আবেগে দুআ করল সবাই। উস্তাযের অসুস্থতায় ছাত্রদের এই আকুলতা আমাদের পরিচিত। পূর্বসূরিদের জীবন থেকে নেয়া।
হুযুর আরো বললেন, মাহফিলের যাহিরী ও বাতিনী কামিয়াবির জন্যও দুআ কর। মাহফিলের যাহিরী কামিয়াবি তো হল মানুষের সমাগম। ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠুতা, মেহমানদের যথাযথ ইকরাম ইত্যাদি। আর বাতিনী কামিয়াবি হল, মাহফিলের ‘আছারাত’ ও উপকারিতা। শ্রোতারা (এখানের এবং বাইরের) এখান থেকে কী পেল সেটা। জীবনে নতুন কোনো ইনকিলাব বা পরিবর্তনের সংকল্প করল কি না। জীবনকে নিয়ে ভাববার মতো সুযোগ হল কি না, এসব। সেজন্যে সালাতুল হাজত পড়ে সবাই খুব বেশি বেশি দুআ করতে থাক।