এদের প্রতিহত করার কি কোনো উপায় নেই?
কিছু দিন আগে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম উৎসব ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। তাই সর্বশ্রেণীর মুসলিম জনগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানী করে থাকেন। কুরবানী অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত-এবিষয়ে কোনো মুমিনের অন্তরে কোনো সংশয় নেই। পক্ষান্তরে প্রতি বছরই লক্ষ্য করা যায় যে, এক শ্রেণীর বর্ণচোরা লোক মুসলমানদের ঈদ ও কুরবানী এবং এ ধরনের প্রকাশ্য নির্দশনগুলো যেন দু’চোখে দেখতে পারে না। তাই কুরবানীর মওসুম এলেই এদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। এক শ্রেণীর মিডিয়া ও সংবাদপত্রও এদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় এবং বিভিন্ন ভিত্তিহীন ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য পত্রিকার পাতায় প্রকাশ করে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান- করার অপপ্রয়াস চালায়।
এবার ঈদুল আযহার পর এরকম একটি লেখা আমার নজড়ে পড়েছে। যা আমি আলকাউসারের পাঠকবৃন্দকে জানিয়ে দিতে চাই। ঈদুল আযহার ১০/১৫ দিন পর আমাদের সময় নামক ৩ টাকা মূল্যের দৈনিক পত্রিকাটিতে একটি লেখা ছাপানো হয়েছে। কুরবানী করার প্রয়োজন কী, কুরবানী না করে ওই টাকাটা দরিদ্র মানুষের জন্য দান করলে অনেক বেশি উপকার এবং এ ধরনের আরো বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য তাতে রয়েছে। কওমী মাদরাসা ও দ্বীনী শিক্ষার প্রতিও বিদ্বেষমূলক মানসিকতা এই লেখাটিতে প্রকাশ পেয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এদেশের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকারের ব্যাপারে যেসব বুদ্ধিজীবীকে সর্বদা সোচ্চার দেখা যায় তাদের কখনো এই সব অনচারের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণের প্রতিবাদ নামে অনেক ক্ষেত্রে নানা ভিত্তিহীন ও অমূলক কেচ্ছা-কাহিনীর কারণেও যারা সোচ্চার হয়ে ওঠে সংখ্যাগুরু জনগণের বাস্তব অধিকার লঙ্ঘিত হলেও তাদের রাটি করতে দেখা যায় না। এটা কী ধরনের মানবাধিকার চর্চা? আমরা মনে করি, দ্বীন ও ঈমান প্রিয় মুসলনমানদেরকেই এসব বর্ণচোরাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রেরও কিছু করণীয় আছে বলে আমরা মনে করি। মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ নিশ্চয়ই এই নয় যে, যে কোনো ভিত্তিহীন কথাও সমাজে প্রচার করা যাবে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করলে তা তাদের জন্যও সুফল বয়ে আনবে বলে আমরা মনে করি।