শিশুরা মানব বাগানের ফুল
বাগানে গছের ডাল থেকে একটি ফুল তুলতে হাতে কাঁটা বিঁধে। তবু ফুলের সুবাস পেতে এটুকু আঘাত মানুষ সহ্য করে নেয়। শিশুরা মানব বাগানের ফুল। তাই এ ফুলের সুবাস পেতে হলে একটু যন্ত্রণা তো সইতেই হবে।
ফুলের সুবাস পেতে চাইবো কিন্তু কাঁটার যন্ত্রণা সইতে পারবো না। শিশুর মুখের স্নিগ্ধ কোমল হাসি চাইবো, তার একটু জ্বালাতন সহ্য করতে পরেবো না-এ কেমন ভালোবাসা ফুলের প্রতি এবং শিশুর প্রতি?!
একটি শিশু পৃথিবীতে আসার আগে সবার কী অধীর প্রতীক্ষা। এরপর তার আগমনে পুরা একটি ঘর হয় আলোকিত। যতদিন মায়ের কোলে থাকে সবার কী আদর, সোহাগ আর ভালোবাসা!
তারপর যখন সে একটু বড় হয় নির্দোষ দুষ্টুমিতে সবাইকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তখনই সবার বিরক্তির কারণ হয়ে যায়। এই কি মমতা শিশুর প্রতি?
একদিন যে শিশু সবার মুখে হাসি ফুটিয়েছিলো, হতাশার মাঝে আশার প্রদীপ জ্বেলেছিলো, সময়ের একটু ব্যবধানে সব ভুলে যাই আমরা।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে শিশুর ব্যতিক্রম আচরণগুলো কিন্তু বড়দের আচরণের ছায়াপাত। কারণ তার দিলটাতো আয়নার মত স্বচ্ছ। সে যাই দেখে নিজের ভেতরে ধারণ করে এবং প্রয়োগ করে। আচ্ছা! আমরা কি পারি না একটু আদর, সোহাগ আর মমতা দিয়ে শিশুর হৃদয়কে জয় করে নিতে! এবং কোমলতার স্নিগ্ধ পরশে তার জীবনকে মায়াবী রঙে রাঙিয়ে তুলতে!!