Jumadal Ula 1435   ||   March 2014

একটি মনগড়া আমল : মুসাফাহা করে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,ইয়া রাসূলাল্লাহ

একবার এক ব্যক্তি আমার সাথে মুসাফাহা করল। মুসাফাহার সময় সে বলল, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমি বুঝে উঠতে পারলাম না কী হল! তারপর ফেরার সময় সে আবার মুসাফাহা করল এবং একইভাবে বিসমিল্লাহির... বলল। জানি না সে কারো কাছ থেকে শুনে এমনটি করল নাকি নিজে থেকেই আবিষ্কার করল।

হাদীস শরীফে তো এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এবং তা প্রসিদ্ধও বটে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, দুজন মুসলিম যখন মিলিত হয় ও মুসাফাহা করে এবং আল্লাহর প্রশংসা করে ও তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫২১৩; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৮৯৫৬; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ১৩৯৫৩)

হাদীসে ক্ষমা প্রার্থনার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম’’ বাক্যটি প্রসিদ্ধ। সুতরাং এ বাক্যের মাধ্যমে বা আল্লাহর হামদ ও ইস্তিগফার সম্বলিত অন্য কোনো বাক্যে মুসাফাহার দুআ হতে পারে। কিন্তু মনগড়াভাবে বিসমিল্লাহ-ইয়া রাসূলাল্লাহ বা এজাতীয় কোনো কিছু বলা ঠিক নয়। আর এটিকে যদি কেউ মুসাফাহার বিধানই মনে করে তাহলে তো তা হয়ে যাবে বিদআত। আর ইয়া রাসূলাল্লাহ বাক্যটি যদি হাযির-নাযির আকিদার কারণে বলা হয়ে থাকে তাহলে তা তাওহীদ-পরিপন্থী হবে, যা সংশোধন করা ফরয। 

 

advertisement