বলার ভুল : লাল বাতি জ্বালিলে নামায পড়া নিষেধ
অনেক মসজিদে দেখা যায়, মেহরাবের একপাশে একটা লাল বাতি থাকে, তার নিচে লেখা থাকে, ‘‘লাল বাতি জ্বালিলে নামায পড়া নিষেধ’’। যে কোনো ফরয নামাযের ২/৩ মিনিট পূর্বে বাতিটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এখন কথা হল, বাস্তবেই কি ফরয নামাযের ২/৩ মিনিট পূর্বে কোনো ধরনের নামায পড়া নিষেধ! দুই তিন মিনিটে তো অন্তত দুই রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ আদায় করা যায়। আর ফজরের সময় দুই রাকাত ফজরের সুন্নত আদায় করা যায়। আর নিষেধ’ শব্দ দ্বারা তো না-জায়েয বা হারাম বোঝানো হয়। এখানে তো বিষয়টি এমন নয়; বরং এটি ইনতিযাম বা শৃঙ্খলা রক্ষার্থে করা হয়। অর্থাৎ এর দ্বারা মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় যে, এখনই জামাত দাঁড়াবে, এখন যদি নফল বা সুন্নত শুরু করা হয় তাহলে জামাত দাঁড়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে বা আপনি মাসবুক হবেন। সুতরাং এখন মসজিদের ভিতরে নফল বা সুন্নতের নিয়ত না করা উচিত।
এ উদ্দেশ্যে তো শুধু ‘‘জামাতের সময় নিকটে’’ বা এ ধরনের অন্য কোনো বাক্য লেখাই যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, অনেক সময় কোনো কোনো মুসল্লি পর্যাপ্ত সময় না থাকা সত্ত্বেও সামনের কাতারে বা অন্য কোনো কাতারের এমন স্থানে নামাযে দাঁড়িয়ে যান যার ফলে জামাত দাঁড়াতে বিঘ্ন ঘটে বা তার কারণে কাতারের মাঝে ফাঁকা থেকে যায়। সুতরাং এ ব্যাপারে নিজ থেকেই সতর্ক হওয়া কাম্য।