Muharram 1435   ||   November 2013

দরসে তাওহীদ : কামিল তাওহীদের প্রভাব ও ফলাফল

মাওলানা মুহাম্মাদ মনযূর নুমানী রাহ.

যখন আল্লাহর কোনো বান্দা তাওহীদের এ উচ্চতর মাকাম অর্জন করেন তখন তার সকল কাজ শুধু আল্লাহরই জন্যই হয়। এমনকি যখন তিনি ব্যক্তিগত বা গৃহস্থলি কাজে থাকেন সেটাও তার প্রয়োজনের অনুভূতি ও ইচ্ছা পূরণের জন্য হয় না। আল্লাহর হুকুম পালনের নিয়তে ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য হয়। আর তা (অর্থাৎ ছোট বড় সকল কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা) ঐ আল্লাহর বান্দার এমন স্বভাবগত হয়ে যায়, যেমন সাধারণ মানুষ সব কাজ নিজের প্রয়োজন ও ইচ্ছা পূরণের তাগিদে করে। এ হচ্ছে তাওহীদ ও ইখলাসের উচ্চতর দর্জা। আর এটিই ফানার স্তর। এ স্তরে পৌঁছেই লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর পূর্ণতা সাধন হয়। হাদীসে আছে, (অর্থ) যে আল্লাহর জন্য ভালবাসে (যাকে ভালবাসে), আল্লাহর জন্য শত্রুতা রাখে (যার সাথে শত্রুতা রাখে), আল্লাহর জন্যই দেয় (যাকে দেয়) এবং আল্লাহর জন্যই দেওয়া থেকে বিরত থাকে (যাকে দেওয়া থেকে বিরত থাকে) এককথায়, যার অবস্থা এই হয় যে, সব কিছু আল্লাহর জন্যই করে সে তার ঈমানকে পূর্ণ করল।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৬৮৩

এই সম্বন্ধের কিছু অংশও যাঁরা পেয়েছেন তারা তো দো জাহানের সবচেয়ে বড় সম্পদ পেয়েছেন। এরাই সেই মর্দে খোদা আল্লাহর পথে যাদের শান্তি ও বিপদ দুই-ই সমান, জীবন যাদের কাছে মৃত্যুর চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। তাদের হৃদয়ের তারে সর্বদা ধ্বনিত হয়-

زندہ كنى عطائے تو وربكشى قضائے تو

دل شدہ مبتلائے تو ہر چہ كنی رضائے تو

 যদি জীবিত রাখ সে তোমার দান, যদি মৃত্যু দাও সে তোমার ফরমান/ হৃদয় তোমাতেই মশগুল, যা কর (বান্দা) তাতেই খুশি।

বরং আল্লাহর কাছে তাদের চাওয়া, তারা যদি বার বার জীবন পেতেন আর বার বার আল্লাহর পথে জীবন দিতেন! এক হাদীসে স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অনুভূতি এভাবে প্রকাশ করেছেন-

وددت أن أقتل في سبيل الله، ثم أحيا، ثم أقتل، ثم أحيا، ثم أقتل.

আমার ইচছা হয়, আল্লাহর পথে শহীদ হব, এরপর জীবিত হব, আবার শহীদ হব, পুনরায় জীবিত হব, আবার শহীদ হব।

ميخواہم از خدا بہ دعا صد ہزاراں جاں

تا صد ہزار بار بہ ميرم برائے تو

আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় চাই লক্ষ-কোটি প্রাণ/ যেন তোমার তরে সব করতে পারি দান।

আহলে তাওহীদের ইস্পাতদৃঢ় সংকল্প ও বিপ্লবের শক্তি

এঁরাই সেই মস্তে আলাসতু (রবের মজনু) ভয় ও বিপদ যাঁদের পথে বাধা হয় না; বরং তারা তো কোনো আশঙ্কারই পরোয়া করেন না।

عشق را از تيغ وخنجر باك نيست

اصل عشق از آب وباد وخاك نيست

در جہاں ہم صلح ہم پيكار عشق

آب حيواں تيغ جوہر دار عشق

از نگاہ عشق خا را شق شود

عشق حق آخر سراپا حق شود

খঞ্জর-তলোয়ারে ইশকের নেই ভয়/ (কারণ) ইশকের মূল মৃত্তিকা জল নয়/ ইশক পৃথিবীতে কখনো সন্ধি, কখনো যুদ্ধ/ কখনো তা আবে হায়াত কখনো কোষমুক্ত তলোয়ার।/ ইশকের নজরে পাথর বিদীর্ণ হয়/ সত্যের সাথে ইশক অবশেষে সত্য হয়।

এই আশিক-দলের খোদার হস্তের শক্তি কে পরিমাপ করতে পারে? এই মরদানে খোদা অসহায় ফকীর, যাদের কাছে আল্লাহর নাম আর কলবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর জযবা ছাড়া কিছুই থাকে না, যখন শুধু আল্লাহর জন্য যুগের বড় বড় জালিম-স্বৈরাচারীর সাথে পাঞ্জা লড়েন তখন বড় বড় নমরুদ- ফেরাউনও থরথর করে কাঁপতে থাকে।

রাজা-আমীরের বিরুদ্ধে নেমে এল এক মর্দে ফকীর/ চাটাইয়ে জৌলুসে কেঁপে উঠল তখতে শাহী/ জোশে-জযবায় নগরীতে তীব্র হুঙ্কার দিল/ আর সৃষ্টিকে জুলুমের পাঞ্জা থেকে মুক্ত করল/ তাঁর কলবের শক্তি জযব ও সুলূক/ রাজার সমক্ষে তার ঘোষণা লা মুলূক

এই আল্লাহর বান্দাগণ যেহেতু তাদের আমিত্ব সম্পূর্ণ বিলীন করে দেন এবং যা কিছু করেন শুধু আল্লাহর জন্য, আল্লাহর তরফ থেকে করেন তাই আল্লাহ তাআলা এঁদের কর্ম ও তৎপরতাকে নিজের সাথে সম্বন্ধ করেন। অতপর এর মর্যাদা রক্ষা করেন। হাদীসে কুদসীতে আছে-

كنت سمعه الذي يسمع به، وبصره الذي يبصر به ويده التي يبطش بها.

 আমি তার কান হয়ে যাই, যা দ্বারা সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখে এবং তার হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে পাকড়াও করে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৫০২

এটা এ অবস্থারই বর্ণনা।

[টীকা : এটি একটি সহীহ হাদীস, যার অর্থ, কিছু বান্দা আল্লাহর নৈকট্য ও আনুগত্যের স্তরসমূহ অতিক্রম করতে করতে ঐ পর্যায়ে পৌঁছেন যে, তাদের চোখ, কান, হাত তাদের থাকে না, বরং সেগুলো শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই ব্যবহৃত হতে থাকে। এ কারণে তাদের এই সকল শক্তি যেন আল্লাহরই হয়ে যায়। এ অর্থ নয় যে, এরা-নাউযুবিল্লাহ- খোদা হয়ে যায় বা খোদা তাদের অংশ হয়ে যান। (নাউযুবিল্লাহ, ছুম্মা নাউযুবিল্লাহ)

এঁরাই খোদার সেই বিশিষ্ট বান্দা, যাদের সম্পর্কে হাদীসে আছে, এরা যদি আল্লাহর উপর কোনো কসম করে বসেন তো আল্লাহ তাদের কসম পুরা করেন।

لو أقسم على الله لأبره

হায়! আমাদের যদি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর এই স্তরের স্বরূপ ও শক্তির সাথে এবং এর প্রভাব ও প্রতাপের সাথে কিছু পরিচয়ই ঘটে যেত!]

তাওহীদের এই স্তর অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ তাআলাই বান্দার ধ্যান-জ্ঞান ও মকসূদ ও মতলূবে পরিণত হওয়া, যদিও অতি সুলভ নয় এবং মুমিন, মুসলিম হওয়া বা আখিরাতে নাজাত পাওয়াও এর উপর নির্ভরশীল নয় (বরং এ তো শুধু ঈমানের পূর্ণতা ও পরম উৎকর্ষার
স্তর, যেমনটা আবু উমামা রা.-এর হাদীসের শব্দ-
فقد استكمل الإيمان থেকেও প্রতীয়মান হয়। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এ এত বড় সম্পদ, যা সমগ্র জীবন বিনিয়োগ করে এবং জগতের সকল হাসি-আনন্দ কুরবান করেও যদি পাওয়া যায় তাহলেও অতি সুলভ, সস্তা। আর যে তা অর্জন করে না সে অতি বুদ্ধিহীন, হতভাগা। কিন্তু এ পথের আরিফ-মুরশিদগণের বক্তব্য হল, সত্যিকারের অন্বেষণ থাকলে এবং সঠিক পন্থায় মেহনত-মুজাহাদা অব্যাহত রাখলে তা অর্জন করা খুব কঠিনও নয় যে, আমরা এর আশা ও  চেষ্টাও করতে পারব না। বরং হিম্মতওয়ালাদের জন্য রাস্তা খোলা আছে; আর সত্যিই যারা আল্লাহকে পেতে চায় আল্লাহর রহমত স্বয়ং তাদের নিজের দিকে টেনে নেয়। সেই দয়ালু দাতা তো নিজের উপর অপরিহার্য করে নিয়েছেন যে-

وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا

 আর যারা আমার রাস্তায় কষ্ট সহ্য করে আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথসমূহ দেখাব।-সূরা আনকাবূত ২৯ : ৬৯

وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَنْ يُنِيبُ

এবং যে আল্লাহর দিকে রুজু হয় তাকে তিনি নিজ (দরবার) পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য দান করেন।-সূরাতুশ শূরা ৪২ : ১৩

মোটকথা, যদি সত্যিকারের আল্লাহমুখিতা থাকে এবং চেষ্টা-সাধনা সঠিক পন্থায় হয় তাহলে বঞ্চনার কোনো কারণ নেই। সুন্নাতুল্লাহর (আল্লাহর নিয়মের) যথার্থ বিবরণ আছে নীচের পংক্তিগুলোতে-

در حضرت ما دوستى يكدلہ كن

ہرچيز كہ غر ما ست آنرايلہ كن

يك صبح با خلاص بيا بردر من

گر كار تو نيايد گلہ كن

আমার দরবারে একনিষ্ঠ সমর্পণ কর।/ আর আমি ছাড়া সব কিছু বর্জন কর।/ এক সকালে একান্ত মনে আমার দ্বারে এসো/ মকসূদ তোমার অপূর্ণ থাকলে অভিযোগ করো।

তাওহীদে কামিল অর্জনের প্রাথমিক নেসাব

এই মানযিলে মকসূদে পৌঁছার যথার্থ পথ তো আপনার জন্য সেটিই হতে পারে যা এই পথ ও গন্তব্যের সাথে পরিচিত কোনো রাহবার আপনার জন্য নির্ধারণ করে, তবে আমাদের মতো প্রাথমিক পর্যায়ের তালেবানের জন্য একটি সাধারণ উপায়, যাতে ইনশাআল্লাহ কোনো শঙ্কা বা সংশয় নেই, আর তা এ পথের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদেরই নির্দেশিত, এই যে, এই ধ্যানের সাথে কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বেশি বেশি যিকর করা যে, আল্লাহ ছাড়া আমার কোনো মকসূদ ও মতলূব নেই। অর্থাৎ বারবার এক নাগাড়ে কলব ও যবান একত্র করে আলাপন করবে-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো মকসূদ নেই, মতলূব নেই)। এই অর্থের ধ্যান রেখে এ যিকর অধিক পরিমাণে করার দ্বারাই ইনশাআল্লাহ ঐ অবস্থা সৃষ্টি হতে থাকবে এবং আল্লাহ চাহে তো উন্নতি হতে থাকবে।

[টীকা : ইমাম রববানী মুজাদ্দিদে আলফে সানী রাহ. এক পত্রে লেখেন, ‘‘এ সম্পদ অর্জনের জন্য লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর এ অর্থ  لا مقصود إلا الله সালিকের অধিক উপযোগী। এ কালেমা এত বেশি পাঠ করা চাই যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর মাবুদিয়তের লেশমাত্রও না থাকে এবং আল্লাহ ছাড়া কোনো কিছুই উদ্দেশ্য না থাকে।’’ (মাকতূব ১৩, খন্ড : ৩)

আরো বলেন, ‘‘নফী-ইছবাতের যিকর নিয়মিত করতে থাকুন এবং এ পবিত্র কালেমার পুনপুন উচ্চারণের দ্বারা অন্তর থেকে সকল অভিলাষ বের করে ফেলুন যেন সেই এক (আল্লাহ) ছাড়া আর কোনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কামনা-বাসনা না থাকে। (প্রাগুক্ত)]

বি.দ্র. : বর্তমান শিরোনামে যা কিছু বলা হয়েছে একে এই মহান মাকসাদ অর্থাৎ তাওহীদ ও ইখলাসের উচ্চ মাকাম অর্জনের পুরা নিসাব মনে করা যাবে না। এ তো এ পথের কোনো কোনো রাহবার শুধু প্রাথমিক অনুশীলনের জন্য লিখেছেন। এ যেন বিসমিল্লাহ। নতুবা এ পথ অতিক্রম করার জন্য সাধারণত আল্লাহ তাআলার কোনো ছাহেবে ইখলাস বান্দার পথ প্রদর্শন ও তত্ত্বাবধান প্রয়োজন হয়েই থাকে। তিনি সালিকের অবস্থা বিবেচনা করে প্রত্যেক অবস্থা ও প্রত্যেক মঞ্জিলে সঠিক পরামর্শ দান করেন; বরং এ শাস্ত্রের ইমামগণের বক্তব্য এই যে, তাযকিয়ায়ে কলব (অন্তরের পরিশুদ্ধি) ও তাহসিলে  মাকামে কুরব ও ইখলাস কুরব ও ইখলাসের মাকাম অর্জনের ক্ষেত্রে যিকরের যে প্রভাব তা-ও (বিভিন্ন কারণে যার বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ এখানে নেই) কোনো ছাহিবে দিল শায়খের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণে এবং সাহচর্যের বরকতে অধিক শক্তিশালী হয়। যদিও এর দ্বারা যিকরের ছওয়াবে বিশেষ কোনো তফাত হয় না। (দ্র. মাকতূবাতে ইমাম রববানী খন্ড : ৩, মাকতূব : ২৫)

তো এ পথের চড়াই-উৎড়াই সম্পর্কে অবগত আল্লাহর কোনো বান্দার সান্নিধ্য ও পরামর্শ সাধারণের জন্য অনেকটা অপরিহার্যই বলা চলে। এছাড়া প্রকৃত ইখলাস হাসিল হওয়া ও তা অটুট থাকা, অভিজ্ঞদের মতে, অতি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরই বৈশিষ্ট্য ও ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। কবি যথার্থই বলেছেন-

ديں نگردد پختہ بے آداب عشق

ديں بگير از صحبت ارباب عشق

ظاهر او سوزناك وآتشيں

باطن او نور رب العالميں

ইশকের আদব ছাড়া দ্বীন পূর্ণ হয় না/ আশিকগণের সান্নিধ্যেই অর্জন কর দ্বীনের শিক্ষা/ বাইরে তা উত্তপ্ত অগ্নিমায়/ ভিতরে ঐশী কিরণে আলোকিত।

এ পর্যন্ত লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর অর্থ, তাওহীদের বিভিন্ন স্তর ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদির আলোচনা ছিল। এখন এই বরকতময় কালেমার গুরুত্ব ও মহিমা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু বাণী নকল করছি। এ বিষয়ে কারো তাঁর চেয়ে বেশি জানার তো প্রশ্নই আসে না।

1.            কুতুবে সিত্তা (হাদীসের মশহূর ছয় কিতাবে) ও হাদীসের অন্যান্য কিতাবে আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে একটি প্রসিদ্ধ হাদীস আছে, যার প্রথম অংশ-

الإيمان بضع وسبعون شعبة، فأفضلها قول لا إله إلا الله

ঈমানের সত্তরেরও কিছু অধিক শাখা আছে। যার মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা।

2.           মুসনাদে আহমদ, মুজামে তবারানী ও অন্যান্য হাদীসের কিতাবে আবু হুরায়রা রা. থেকে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : جددوا إيمانكم، قيل : يا رسول الله! وكيف نجدد إيماننا؟ قال : أكثروا من قول لا إله إلا الله.

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা নিজেদের ঈমান তাজা করতে থাক। আরজ করা হল, আল্লাহর রাসূল! কীভাবে আমাদের ঈমানকে তাজা করব? বললেন, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বেশি বেশি বল। (দ্র. : মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৮৭১০; আলমুসতাদরাক, হাকিম ৪/২৫৬)

3.           হযরত জাবির রা.-এর মশহূর হাদীস, যা ইবনে মাজাহ ও নাসায়ী প্রভৃতি হাদীসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

أفضل الذكر لا إله إلا الله

সকল যিকরের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

(দ্র. : সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৩৮০০; সুনানে কুবরা, নাসায়ী, হাদীস : ১০৫৯৯; জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৩৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৮৪৬)

4.            নাসায়ী, হাকিম ও বাইহাকী প্রমুখ হযরত আবু সায়ীদ খুদরী রা.-এর সূত্রে একটি হাদীসে কুদসী বর্ণনা করেছেন, যার শেষ অংশ এই যে, আল্লাহ তাআলা হযরত মুসা আ.-এর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন-

لو أن السموت السبع والأرض السبع في كفة ولا إله إلا الله في كفة مالت بهن لا إله إلا الله.

যদি সাত আসমান ও সাত যমীন এক পাল্লায় রাখা হয় আর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ অন্য পাল্লায় রাখা হয় তাহলে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর পাল্লা ভারি হবে।

(দ্র. : সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস : ১০৬০২, ১০৯১৩; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৬২১৮)

 

 

advertisement