রবিউল আখির ১৪৩৩ || মার্চ-২০১২

মুহাম্মাদ নেসার উদ্দীন - কামিল ১ম বর্ষ নোয়াখালি ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা

প্রশ্ন

ক) আমি কামিল ১ম বর্ষের একজন ছাত্র। আমাদের নেসাবের একটি কিতাব তিরমিযী শরীফ। তিরমিযী শরীফের শরাহ হিসেবে দরসে তিরমিযী ও মাআরিফুস সুনান নিয়েছি। কিন্তু কোনোটিই পূর্ণ শরাহ হিসেবে বের হয়নি। তাই একটি পূর্ণাঙ্গ আরবী শরাহ হিসেবে তোহফাতুল আহওয়াযী নিয়েছি। কিন্তু তাতে বিভিন্ন স্থানে ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর মাযহাব সম্পর্কে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে। তাই তিরমিযী শরীফের কিছু পূর্ণাঙ্গ আরবী শরাহর নাম জানতে চাই, যা আমাদের মাযহাবের মুয়াফিক। শরাহ হিসেবে তোহফাতুল আহওয়াযী থেকে ফায়েদা হাসিলের প্রয়োজনীয় দিকগুলো জানানোর আরজ করছি।


খ) সুনানে আবু দাউদের শরাহ হিসেবে বাযলূল মাজহূদআওনুল মাবূদ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানতে চাই। বর্তমানে যে সমস্ত কুতুবখানা থেকে কিতাব দুটি ছাপা হয়েছে তাদের কোনটি নির্ভরযোগ্য এবং সংগ্রহে রাখতে পারি। উপরোক্ত দুটি শরাহ ছাড়া আমাদের জন্য মুফীদ আরবী শরাহ আর কী আছে তাও জানানোর আবেদন রইল।


উত্তর

ক) মাআরিফুস সুনানের তাকমিলা লেখা হচ্ছে। ফয়সালাবাদের মাওলানা যাহিদ ছাহেব লিখছেন। এর এক খন্ড প্রকাশিত হয়েছে, মাশাআল্লাহ চকৎকার কিতাব।

দরসে তিরমিযী যদিও পুরা হয়নি, কিন্তু যদ্দুর জানি, মুফতী সায়ীদ আহমদ পালনপুরী দামাত বারাকাতুহুমের তুহফাতুল আলমায়ী পুরা হয়েছে। তা থেকে ইস্তিফাদার চেষ্টা করুন।

তোহফাতুল আহওয়াযী শরহ হিসেবে মাঝারি মানের মনে হয় তবে ইখতিলাফী মাসায়েলের ক্ষেত্রে আদব ও ইনসাফের সাথে আলোচনা করার তাওফীক সবার হয় না। এরপরও ইলমী মুনাকাশা ও বিতর্ক দেখে বিরক্ত হওয়া কিংবা কারো সম্পর্কে কুধারণা পোষণ করা ও নিন্দা-সমালোচনা করা ঠিক নয়। এসবের দ্বারা চিন্তা-ভাবনার সুযোগ হয়। আর ইখলাস থাকলে উভয় পক্ষের জন্য প্রান্তিকতা পরিহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

 

খ) এ বিষয়ে আপনি বযলুল মাজহূদের শুরুতে শায়খ বানূরী রাহ. (মৃত্যু : ১৩৯৬ হি.) ও শায়খ আবুল হাসান আলী নাদাভী রাহ. (মৃত্যু : ১৩২০ হি.)-এর ভূমিকা মনোযোগের সাথে পাঠ করুন। আর সব ক্ষেত্রে তুলনার কী প্রয়োজন। যেখানে যে ফায়েদা পাওয়া যায় সেখান থেকে তা গ্রহণ করুন।

বাযলুল মাজহূদের সাহারানপুরের ছয় খন্ডের নুসখাটিও ভালো। বৈরুত থেকে তাকী উদ্দীন নদভী ছাহেবের তাহকীককৃত নুসখাও সম্ভবত মুনাসিব।

আউনুল মাবূদের প্রাচীন হিন্দুস্তানী নুসখা পাওয়া গেলে ভালো হত। এখন আমার জানা মতে, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ বৈরুতের নুসখা ভালোই হবে।

শুনেছি, ইবনে রাসলানের শরহটি সুনানে আবু দাউদের ভালো শরহ, যার একটি মাখতূতা (পান্ডুলিপি) মাযাহিরুল উলূম সাহারানপুরে সংরক্ষিত আছে। সম্প্রতি প্রকাশিতআলমানহালুল আযবুল মাওরূদ শরহটিও মুনাসিব হবে। খাত্তাবী রাহ. (মৃত্যু : ৩৮৮ হি.)-এর মাআলিমুস সুনান দ্বারা তাফাককুহের ক্ষেত্রে সহযোগিতা হয়। 

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন