রবিউল আওয়াল-১৪৩৩ || ফেব্রুয়ারি-২০১২

মুহাম্মাদ তাহমীদুল ইসলাম - জামাতে কাফিয়া, বাইতুল ফালাহ মাদরাসা, মুহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭

প্রশ্ন

হযরত! আমি কাফিয়া জামাতের একজন ছাত্র। আমাদের নেসাবে ফিকহের কিতাব হচ্ছে কুদূরী। আর উসূলে ফিকহের কিতাব উসূলুশ শাশী। এ কিতাবগুলোতে বহু মাসআলা রয়েছে গোলাম-বাদী সম্পর্কিত। বিশেষ করে উসূলে ফিকহে গোলাম-বাদীর মাসআলা দ্বারাই অধিকাংশ উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা জানি, গোলাম-বাদীর হুকুম ইসলাম রহিত করেছে। কিন্তু তারপরও কেন তা আমাদের নেসাবের কিতাবসমূহে দীর্ঘকাল ধরে বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে বুঝে আসছে না। আমরা কেন এই রহিত আইন পড়ব? এর মূল কারণ জানতে আগ্রহী এবং গোলাম-বাদীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে (কখন এবং কীভাবে এর হুকুম রহিত করা হয়েছে) কিঞ্চিত আলোকপাত করলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।


উত্তর

আল্লাহর বান্দা! কে আপনাকে বলেছে যে, ইসলামে দাস-বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে। আপনি কি কুরআন কারীমে

او ما ملكت ايمانكم

এর আয়াতসমূহ পড়েননি? তেমনি সীরাতের কিতাবে দেখেননি যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

ইন্তেকালের সময় বলেছিলেন-

الصلاة وما ملكت أيمانكم

তাহলে এই বিধান মানসূখ কীভাবে হল?

ইসলামের আগে দাস-প্রথা ছিল নিপীড়নমূলক। ইসলাম একে ন্যায় ও সাম্যের রূপে পরিবর্তন করেছে। আলকাউসারের প্রথম ভলিউমে (২০০৫ সালের ভলিউমে) রবীউস সানী/জুমাদাল উলা ২৬ (জুন ০৫) ও জুমাদাল উখরা ২৬ (জুলাই ০৫) দুই সংখ্যায় মাওলানা আবদুল গাফফার ছাহেব দামাত বারাকাতুহুমের বিস্তারিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তা মনোযোগের সাথে পাঠ করুন। এর সাথে তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম-এর কিতাবুল ইতাক-এর শুরুতে হযরতুল উস্তাযের প্রবন্ধটিও অধ্যয়ন করুন।

মনে রাখবেন, উদাহরণের উদ্দেশ্য শুধু মাসআলাকে স্পষ্ট করে বোঝানো। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কিতাবসমূহের রচনা-কালও সামনে রাখা জরুরি। শুধু ক্ষুব্ধ হয়ে কী লাভ? একটি কথা আগেও বারবার বলেছি যে, নেসাবের সংস্কার সম্পর্কে তালিবে ইলমদের মাথা খাটানো ঠিক নয়।

এখন অনুশীলনীযুক্ত কত কিতাব এসে গেছে। আপনি উসূলুশ শাশীর সাথে ঐসব কিতাবও পাঠ করুন এবং সরাসরি আয়াত ও হাদীসে ঐসব কায়েদা প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ আপনাকে তাওফীক দিন। আমীন। 

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন