সফর ১৪৩২ || জানুয়ারী ২০১১

সাইফুল্লাহ ইবনে যাহেদুল্লাহ - জামেয়া মাদানিয়া ফেনী

প্রশ্ন

কয়েকদিন আগে আলকাউসার ২০০৮ সালের ভলিউমটি উল্টাচ্ছিলাম। এপ্রিল ’০৮ সংখ্যার শিক্ষাপরামর্শ বিভাগে ‘খাসিয়াতে আবওয়াব’ সম্পর্কিত উত্তরটি খুব ভালো লেগেছে। তবে একটি বিষয়ে আমার একটু খটকা আছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার  মুহতামিম মাওলানা আবদুল হালীম বুখারী ছাহেব মুদ্দাজিল্লুহুমও এই বিষয়ে একটি রিসালা ‘আসান খাসিয়াতে আবওয়াব’ নামে লিপিবদ্ধ করেছেন।’ অথচ জামাতে শাশুমে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের নেসাবভুক্ত যে কিতাবটি আমরা পড়েছি, তা তাঁর লিখিত নয়; এটি লিখেছেন মাওলানা সাআদ মুশতাক আল হাসিরী। আসলে বিষয়টি কী? কিতাব কি দুটি না একটি? আর ঐ কিতাবের মান কেমন? সবিনয়ে জানতে আগ্রহী।

উত্তর

হ্যাঁ, আপনার কথা সঠিক। আলকাউসারে এটিকে ভুলবশত হযরত মাওলানা বুখারী ছাহেব দামাত বারাকাতুহুমের তাসনীফ বলা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। সেখানে আমি বলেছিলাম যে, কিতাবটি দেখার সুযোগ আমার হয়নি। পরে রিসালাটি পেয়েছি। এটি দারুল উলূম দেওবন্দের শায়খুল হাদীস হযরত সাঈদ আহমদ পালনপুরী দামাত বারাকাতুহুম-এর তত্ত্বাবধানে রচিত। রচনা করেছেন দারুল উলূমের উস্তায মাওলানা সাআদ মুশতাক মুদ্দাযিল্লুহুম।

রিসালাটি খাসিয়াতের জন্য সুন্দর ও প্রাঞ্জল একটি কিতাব। একত্রিশ সবকে সুবিন্যস্ত রিসালাটির মধ্যে দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য নজরে পড়ল। প্রথমত খাসিয়াতে আবওয়াব বর্ণনার আগেই রিসালার প্রথম সাত সবকে উদাহরণ সহকারে আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থগুলোর মাধ্যমে খাসিয়াতের বিস্তারিত পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে পরবর্তী খাসিয়াতে আবওয়াব বোঝা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত প্রত্যেক সবকের শেষে মশক ও তামরীনও দেওয়া হয়েছে। ফলে এটিকে খাসিয়াতের তামরীনী কিতাবও বলা যায়। মাদরাসার যিম্মাদারগণ কিতাবটিকে নেসাবভুক্ত করা যায় কি না- ভেবে দেখতে পারেন। 

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন