মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ - নোয়াখালি
প্রশ্ন
তারীখে মিল্লাত (খিলাফাতে রাশেদা) ও তারীখে মিল্লাত (খিলাফাতে বনী উমাইয়া) কিতাব দুটি দরসে নিজামীতে আছে। উভয় কিতাবের মুসান্নিফ মাওলানা যাইনুল আবেদীন মিরাঠী। কিন্তু অনেক খুঁজেও তার জীবনী পাইনি। হযরতের নিকট আকুল আবেদন এই যে, তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী উৎসসহ জানাবেন। এতে আমরা অনেকে উপকৃত হব। ইনশাআল্লাহ।
উত্তর
হযরত মাওলানা কাযী যাইনুল আবেদীন মিরাঠী রাহ. (১৩২৮ হি.-১৪১১হি.) আনুমানিক ১৩২৮ হিজরীতে মিরাঠের ঐতিহ্যবাহী কাযী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মিরাঠের দারুল উলূম মাদরাসা ও ইমদাদুল ইসলাম মাদরাসায় তার পড়াশোনা। ১৩৪৫ হিজরীতে দারুল উলূম দেওবন্দে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেন। তিনি আল্লামা কাশ্মিরী রাহ. ও হযরত মাদানী রাহ. উভয়ের কাছ থেকে ইলমে হাদীস অর্জন করেন। ১৩৫৭ হিজরীতে যখন দিল্লীতে ‘নদওয়াতুল মুসান্নিফীন’ প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তিনিও সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। এখানে অবস্থানকালীন তিনি তারীখে মিল্লাতের প্রথম তিনটি খণ্ড যথাক্রমে নবীয়ে আরবী, খিলাফতে রাশেদা ও খিলাফতে বনী উমাইয়া রচনা করেন। এ কিতাবগুলো ভালো ও সহজ। কিন্তু এর বেশ কিছু জায়গায় নযরে সানীর প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও তাঁর রচনাবলির মধ্যে বয়ানুল লিসান (আরবী-উর্দূ অভিধান) কামূসুল কুরআন, আখলাকে নববী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ১৩৮২ হিজরীতে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের মজলিসে শুরা’র সদস্য নির্বাচিত হন। ১৪১১ হিজরীর ১৪ রমযানুল মুবারক মোতাবেক ৩১ মার্চ ১৯৯১ ঈ. তাঁর ইন্তিকাল হয়। ভারত-পাকিস্তানের সমসাময়িক দ্বীনী পত্রপত্রিকায় তাঁর জীবনী পাওয়া যাওয়ার কথা। উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো ‘মাহনামা দারুল উলূম’ এর ‘ওয়াফায়াত নম্বর’১৩৩-১৩৪ পৃ. থেকে নেওয়া হয়েছে।