মুহাররম ১৪৪৫ || আগস্ট ২০২৩

সুফিয়ান - ঢাকা

প্রশ্ন

হুযুর! আমি মীযান জামাতের একজন তালেবে ইলম। এ বছর আমাদের নেসাবে মীযান মুনশাইব কিতাবটি আছে। আমি মোটামুটি মেহনত করছি, কিন্তু কাক্সিক্ষত ফায়দা হচ্ছে না। আমার কিতাব বুঝতে কষ্ট হয়। অতএব আমার করণীয় কী জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

আপনার মূল কাজ হল, প্রথমে উস্তাযের কাছ থেকে কিতাবের আলোচনার সারাংশ ভালোভাবে বুঝে নেবেন। অর্থাৎ সীগা রূপান্তর ও আফআল তৈরির কায়দাগুলো ভালোভাবে রপ্ত করবেন এবং এগুলো পাকাপোক্তভাবে আয়ত্ত করবেন। এরপর বেশি থেকে বেশি গরদানের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয় অনুশীলন করবেন। কোনো নেককার ও বুঝমান সাথীকে মুযাকারার জন্য ঠিক করে নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত মুযাকারা করবেন। আর যখন কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করবেন তখন খেয়াল করে পড়বেন এবং সীগাসমূহ নির্ণয়ের চেষ্টা করবেন। এভাবে ইনশাআল্লাহ আপনার ইলমুস সরফের প্রাথমিক যোগ্যতা হাসিল হয়ে যাবে।

কিতাবের ফারসী পাঠের পেছনে অধিক মেহনতের প্রয়োজন নেই। আপনার মেহনতের মূল ক্ষেত্র হল তামরীন ও ইজরা।

উল্লেখ্য, আপনার লেখা থেকে মনে হচ্ছে, আপনি মীযান মুনশাইবকে এক কিতাব ভাবছেন। অথচ এখানে দুইটি কিতাব। কিতাবদুটি সাধারণত এক মলাটে ছাপা হয় বিধায় অনেক তালেবে ইলম মনে করে, পুরোটা মিলে এক কিতাব এবং এই কিতাবের দুইটি অংশ। এটা ঠিক নয়।

মীযানুস সরফের মুসান্নিফ শায়েখ সিরাজুদ্দীন উসমান আউদী। ওফাত ৭৫৮ হিজরী।

আর মুনশাইব কিতাবের মুসান্নিফ হলেন শায়েখ হামযা বাদায়ূনী।

হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ হানীফ গঙ্গুহী রাহ.-কৃত

ظفر المحصلىن باحوال المصنفىن

গ্রন্থে এই দুই কিতাবের মুসান্নিফ সম্পর্কে আলোচনা আছে।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন