মুহাম্মাদ কাউসার বিন হাবীব ও ইবনে জসিম -
প্রশ্ন
ক) ইনশাআল্লাহ আগামী বছর মিশকাত জামাতে পড়ব। আমাদের মাদরাসায় উক্ত জামাতে মিশকাত, হেদায়া (৩য় ও ৪র্থ খণ্ড), শরহে আকাঈদ, তাফসীরে বায়যাবী, দেওবন্দ আন্দোলন, নুখবাতুল ফিকার ইত্যাদি কিতাব পড়ানো হয়। জানতে চাই এসব কিতাব কোন পদ্ধতি অধ্যয়ন করব এবং কোন কোন শরাহ পড়লে উপকৃত হব।
খ) অনেক সময় লেখাপড়ায় মন বসে না এবং দরস চলা অবস্থায় মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। এ বিষয়ে আমার করণীয় কী?
উত্তর
ক) এই বিষয়ে আগেও লেখা হয়েছে। আপনি আলকাউসারের বিগত সংখ্যাগুলো দেখতে পারেন। তাছাড়া একসাথে অনেকগুলো কিতাব ও সেগুলোর অধ্যয়নপদ্ধতি সম্পর্কে প্রশ্ন না করে এক দুটি কিতাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে সহজ হয়।
মিশকাতের জন্য মিরকাত ও ফযলুল্লাহ তুরবিশতী রাহ. লিখিত মাসাবিহর চার খণ্ডে সদ্য প্রকাশিত শরহ আল-মুয়াসসির’; শরহে আকাইদের জন্য নিবরাস; বয়যাবীর জন্য মুহিউদ্দীন মুহাম্মাদ বিন মুসলিহুদ্দীন মুস্তফা প্রকাশ শায়খযাদা রাহ. (৯৫১ হি.) লিখিত হাশিয়ায়ে শায়খযাদা এবং নুখবাতুল ফিকারের জন্য শায়খ আকরাম নাসরবুরীর ইমআনুন নাযর প্রভৃতি কিতাব অধ্যয়ন করতে পারেন।
খ) কোনো বিষয়ের গুরুত্ব ও মাহাত্মের অনুভূতি হৃদয়ে জাগ্রত থাকলে তা থেকে মানুষের খেয়াল ফেরানোই মুশকিল। একজন তালিবে ইলমের যিন্দেগীতে ইলম অর্জন অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর কী হতে পারে?
তালেবে ইলমী যিন্দেগীর দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসে এমন সমস্যা আপনার তিনটি কারণে হতে পারে। প্রথমত ইলমের গুরুত্ব ও আযমতের অনুভূতি হ্রাস পাওয়া। দ্বিতীয়ত মানযিল বা ভবিষ্যত কর্মক্ষেত্র নির্ধারণে হতাশা ও দুশ্চিন্তা। তৃতীয়ত কিতাবী ইসতিদাদ যথাযথ অর্জিত না হওয়া।
যাইহোক, যেহেতু কাছেই থাকেন কোনো এক অবসরে এলে আপনার সার্বিক অবস্থা ও সমস্যা বিস্তারিত জেনে কোনো পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।