আবুল ওলী - নিরালা, খুলনা
প্রশ্ন
ক) আল্লামা আলী ইবনে বুরহানুদ্দীন হালাবীর سير এর গ্রহণযোগ্যতা কেমন?
খ)الكامل فى التاريخ لابن الأثير এবং الرحيق المختوم কোন পর্যায়ের কিতাব? এর নির্ভরযোগ্যতা কেমন? উল্লেখ্য, الرحيق المختوم এর মাঝে মওদূদী সাহেবের দুটি কিতাবের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।
উত্তর
ক) নূরুদ্দীন আলহালাবী (আলী ইবনে বুরহানুদ্দীন ইবরাহীম) একাদশ হিজরী শতাব্দীর একজন বড় আলিম ছিলেন। জন্ম ৯৭৫ হিজরীতে এবং মৃত্যু ১০৪৪ হিজরীতে। মুহিব্বী ‘খুলাসাতুল আছার’ কিতাবে তার তরজমা লিখেছেন। আল্লামা আব্দুল হাই কাত্তানী (১৩৮২ হি., ‘ফিহরিসুল ফাহারিস’-গ্রন্থে (খ. ১ পৃ. ৩৪৪) তাঁর কিতাব ‘আসসীরাতুল হালাবিয়া’ সম্পর্কে লিখেছেন غاية في الجمع والإمتاع কিন্তু মুসান্নিফ নিজেই তার কিতাবের ভূমিকায় লেখেন,
لا يخفي أن السيرة تجمع الصحيح والسقيم والضعيف والمرسل و المنقطع والمعضل والمنكر، دون الموضوع
কোনো কিতাবের মুসান্নিফ যখন মুনকার রেওয়ায়াত পর্যন্ত নেমে আসেন তখন, কিতাবটি সামগ্রিক বিচারে নির্ভরযোগ্য হলেও, তাতে উল্লেখিত ‘মুনকার’ রেওয়ায়াতগুলো ‘মুনকার’ই থাকে। এগুলো পরিত্যাগ করা জরুরি।
খ) ইযযুদ্দীন ইবনুল আছীর (মৃত্যু ৬৩০ হি.) কৃত ‘আলকামিল’ তারীখের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহেরই অন্তর্ভুক্ত। তবে কোনো কিতাব নির্ভরযোগ্য হওয়ার অর্থ এই নয় যে, এ কিতাবে উল্লেখিত প্রত্যেক কথাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য; বরং অর্থ এই যে, সার্বিক বিবেচনায় কিতাবটি নির্ভরযোগ্য। এজন্য আকাইদ ও আহকামের সঙ্গে নিকটবর্তী কিংবা দূরবর্তী সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনো বিষয় সেখানে আসলে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তা তাহকীক করা জরুরি। বিস্তারিত জানার জন্য ‘মাকামে সাহাবা’ মুফতী মুহাম্মদ শফী রাহ. ‘হযরত মুয়াবিয়া আওর তারীখী হাকাইক’ মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী এবং ‘শহীদে কারবালা’ মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.-এর ভূমিকা ও পরিশিষ্ট অংশ অধ্যয়ন মুনাসিব হবে।
ছফিউল্লাহ মুবারকপুরী (গাইরে মুকাল্লিদ আলিম) কৃত ‘আররাহীকুল মাখতুম’ সম্পর্কেও একই কথা। এই কিতাবটিও সার্বিক বিবেচনায় নির্ভরযোগ্য এবং সীরাতের অনেক মুসান্নিফের তুলনায় রেওয়ায়েতের যাচাইবাছাই তিনি বেশি করেছেন এবং সীরাতে নববী উপস্থাপনার জন্য হাদীসের কিতাবসমূহের বেশ সহযোগিতা নিয়েছেন।