হাবীবা বিনতে আঃ ছামাদ - ৯৭/৮ পাটগুদাম, ব্রীজ মোড়, মোমেনশাহী
প্রশ্ন
আমাদের বাসায় প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে মাসতুরাতের জামাত আসে। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে কিছু অসুবিধা হয়। সে জন্য আমার আত্মীয়-স্বজনদের ইচ্ছা যে, আমি আরবী, উর্দূ ও ইংরেজি ভাষা অন্তত এটুকু শিখি যেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। আমি মাদরাসায় হেদায়া পর্যন্ত পড়েছি। হেদায়ার বছর আমার বয়স ছিল মাত্র বার। বয়সের অপরিপক্কতা আর অমনোযোগিতার ফলে তখন অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি। আমি ভালো করে আরবী ইবারত পড়তে পারি না। আমার স্বামীর খুব ইচ্ছা যে, আমি মীযান, নাহভেমীরসহ কয়েকটি বুনিয়াদী কিতাব পড়ে কুরআন তরজমা ভালো করে বুঝি, যেন কুরআন শরীফ তেলাওয়াতের সময় অর্থ বুঝে পড়তে পারি। আমি কুরআন শরীফ তো বুঝতেই চাই, সঙ্গে সঙ্গে উপরোক্ত তিনটি ভাষাও এমনভাবে শিখতে চাই যেন বলার পাশাপাশি পড়তে এবং লিখতেও পারি। আমি মুহতারাম আমীনুত তালীম সাহেবের কাছে বিনীতভাবে জানতে চাই যে, আমার দ্বারা উপরোক্ত যোগ্যতাগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে কি না? যদি সম্ভব হয় তাহলে আমি কী কী কিতাব পড়ার দ্বারা স্বল্প সময়ে বেশি উপকৃত হতে পারব? আর যদি সবগুলো সম্ভব না হয় তাহলে কোন বিষয়ের প্রতি বেশি জোর দিব?
উত্তর
আপনার জন্য নাহব সরফ ও লুগাতের বুনিয়াদী তা’লীম নিয়ে কুরআন বোঝার মেহনতে লেগে যাওয়া উচিত। এজন্য আপনি ‘আততারীকু ইলাল আরাবিয়া’, ‘আততামরীনুল কিতাবিয়্যাহ আলাত তারীক ইলাল আরাবিয়্যাহ’, ‘আততারীকু ইলাস সরফ’ আততারীক ইলান নাহব (রচনা মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত রাবাকাতুহুম) কিতাবগুলো তামরীণী আন্দাযে পড়ুন। এর পর তাঁর কিতাব ‘আততারীক ইলাল কুরআন)’-এর মাধ্যমে কুরআন বোঝার মেহনত আরম্ভ করুন। উর্দূ ভাষা জানা থাকলে মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ নু’মানী রহ.-এর ‘লুগাতুল কুরআন’ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। কুরআন বোঝার জন্য আপনি ‘আইসারুত তাফাসীর’ ও ‘সফওয়াতুত তাফাসীর’ সামনে রাখবেন। তবে তার আগে ‘তাফসীরুল কুরআন লিল আত্ফাল’কে বুনিয়াদ বানিয়ে মেহনত জারি রাখলে আরবী ভাষার সঙ্গেও আপনার সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। প্রথমে আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ শুরু করুন এরপর আরও পরামর্শ দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে এর পাশাপাশি মা’রিফুল কুরআন, মুফতী মুহাম্মাদ শফী অথবা তাফসীরে উসমানী (উর্দু বা অনূদিত) অবশ্যই মুতালাআয় রাখবেন।