জুমাদাল উলা ১৪২৮ || জুন ২০০৭

এনামুল হক - রায়পুরা, লক্ষীপুর

প্রশ্ন

সালাম বাদ হুজুরের খেদমতে আরজ হল, আমি একজন মোটামুটি ভালো ছাত্র। সামনের সবক অনেক সময় নিজেই বুঝতে পারি। যার দরুন আমার ঘণ্টাতে উস্তাদদের তাকরীরের সময় মন এদিক-সেদিক ঘুরঘুর করে। তাই হুজুরের নিকট আবেদন হল, এর প্রতিকারার্থে আমাকে কিছু আমল শিখিয়ে দিবেন। আমার জন্য দুআ করবেন, যাতে আল্লাহ আমাকে একজন হক্বানী আলেম বানান ।

উত্তর

এটা খুবই মারাত্মক ব্যাধি। একে দূর করার জন্য নিম্নোক্ত দুআ নিয়মিত পড়বেন

رب أعوذ بك من همزات الشياطين وأعوذ بك رب أن يحضرون. اللهم إ‘ني أعوذ بك من وساوس الصدر وشتات الأمر.

সঙ্গে সঙ্গে এ কথাটিও স্মরণ রাখবেন যে, শুধু ইসতিদাদের ভিত্তিতে (বিশেষত এ বয়সের ইস্তিদাদ) কিতাব বোঝার যে ধারণা সৃষ্টি হয়ে থাকে তা সাধারণত অসম্পূর্ণ বুঝকেই পূণার্ঙ্গ বুঝ মনে করার কারণে হয়ে থাকে। এজন্য দরসে উস্তাদের আলোচনা অবশ্যই মনোযোগের সঙ্গে শুনতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, সবক চলাকালীন চিন্তা-ভাবনাকে বিক্ষিপ্ত রাখা ইলমের সঙ্গে বেআদবী এবং উস্তাদের সঙ্গেও বেআদবী। উস্তাদ যদি কিছুমাত্র অনুভব করেন যে, ছেলেটি সবকে অমনোযোগী, তাহলে তার খুব কষ্ট হয়। বলাবাহুল্য যে, ইলমে দ্বীন থেকে মাহরূম হওয়ার জন্য  বেআদবী এবং উস্তাদকে কষ্ট দেওয়ার চেয়ে বড় কারণ আর কিছু হতে পারে না।

এজন্য যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, আপনার বুঝ ও ইস্তিদাদ একদম কামিল (যা কেবল একটি ধারণাই হতে পারে) তবুও শুধু এই বেআদবীর কারণেই বর্তমান যোগ্যতা বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার এবং ইলমের ক্ষেত্রে দৃঢ়তা ও পরিপক্কতার মাকাম হাসিল করতে না পারার সমূহ আশঙ্কা থাকে। তাই খাঁটি মনে তওবা করে জোরপূর্বক নিজেকে সবকের প্রতি মনোযোগী করুন। আল্লাহ আপনাকে তাওফীক দিন।

আপনি আরেকটি প্রশ্ন করেছিলেন বাইয়াত সম্পর্কে, যা ছাপিনি। এর জওয়াব আপনি সরাসরি সাক্ষাতে জেনে নিবেন। তবে এখন এটুকু বলে দিচ্ছি যে, তালিবে ইলম থাকা অবস্থায়ও বায়াত হতে কোনো অসুবিধা নেই; বরং আজকাল তালিবে ইলমীর যামানা থেকেই কোনো শাইখের সঙ্গে ইসলাহী সম্পর্ক কায়েম করা উচিত।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন