রজব ১৪৩১ || জুলাই ২০১০

মুহাম্মাদ আশরাফ বিন আলতাফ - জামিয়া মাদানিয়া ফেনী

প্রশ্ন

‘আলমাদখাল ইলা উলূমিল হাদীসিশ শরীফ’ কিতাব বিষয়ে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিলে বা কোথায় তা পাওয়া যাবে তা জানালে অত্যন্ত উপকৃত হব। উক্ত কিতাবের ২য় সংস্করণের ১০৫নং পৃষ্ঠার টীকায় একটি বিষয়ের জন্য ‘আছারুল হাদীসিশ শরীফ’ এর ১৪১-১৫১ পৃষ্ঠা জরুরি ভিত্তিতে দেখার জন্য বলা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বার সাথে পেয়েছি। কিন্তু এখানে السبب الثالث বলে যে আলোচনা শুরু হয়েছে তার সাথে পূর্বের আলোচনার মিল খুঁজে পাচ্ছি না। তাই প্রশ্ন এই যে, মাদখালের হাওয়ালায় কি السبب الثالث উদ্দেশ্য, নাকি অন্য কোনো নুসখার হাওয়ালা দেওয়া হয়েছে? বিষয়টি জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

মাদখালের হাওয়ালাটি ‘আছারুল হাদীসের দ্বিতীয় সংস্করণের। কিন্তু যে সংস্করণটি আপনি দেখেছেন তা আছারুল হাদীসের পঞ্চম সংস্করণ। তাই এই সমস্যা হয়েছে। অতএব আপনি চতুর্থ ‘সাবাবে’র উপর আরোপিত তিনটি সন্দেহ-সংশয়ের মধ্যে তৃতীয় সংশয়-সম্পর্কিত পূর্ণ আলোচনাটি পড়ে নিন। মাদখালে এই আলোচনার দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা মুসান্নাফের সাথে মুদ্রিত পঞ্চম সংস্করণের ২০৮ হতে ২২২ পৃষ্ঠায় রয়েছে। আলোচনাটি আছারুল হাদীসের চতুর্থ সংস্করণে ১৮২-১৯২ পৃষ্ঠায় বিদ্যমান আছে। আর মাদখাল যে উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে তা সঠিকভাবে অর্জন করতে হলে অবশ্যই ‘তাদাররুবে আমলী’রও প্রয়োজন। বিশেষত যে সকল কিতাবের আলোচনা মাদখালে করা হয়েছে, সরাসরি ঐসব কিতাবের ভূমিকা ও পরিশিষ্ট পড়তে হবে, কিতাবের বিভিন্ন সংস্করণ ও এর বৈশিষ্ট্যাবলির সাথে পরিচিত হতে হবে, মুহাক্কিকদের আলোচনা পড়তে হবে সর্বোপরি ঐসব কিতাব থেকে ফায়দা হাসিলের পথ ও পদ্ধতি জেনে কিতাবের সাথে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে তুললেই মাদখাল লেখা ও পড়ার পূর্ণাঙ্গ লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন