তামীম - মুহাম্মাদপুর, ঢাকা
প্রশ্ন
আমি এ বছর শরহে জামি জামাতে পড়ি। উক্ত জামাতে আমাদেরকে শরহে জামী, শরহে তাহযীব ও তালখীসুল মিফতাহ কিতাব পড়ানো হয়। কিতাব তিনটি কঠিন হওয়ায় ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারছি না। হুজুরের কাছে আবেদন, কিতাবগুলি কীভাবে অধ্যয়ন করব- সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
শরহে জামির জন্য প্রথমত কাফিয়ার মূল মাসআলাগুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করুন। এরপর লফযী তাদকীকাতে সময় ও মেধা ব্যয় না করে মাসায়েল ও মাসায়েলের ‘ইলাল’ মূল কিতাব থেকে বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে আরবী হাশিয়ার সাহায্য নিন।
শরহে তাহযীব পড়ার আগে আশা করি আপনি মেরকাতের ‘মুসতালাহাত’ আয়ত্ত করেছেন। এখানেও শরাহ ‘হল’ করার জন্য আপনি প্রথমত ‘তাহযীবুল মানতিক’ এর মূল বক্তব্য আয়ত্ত করে নিন। মতনের কোনো জায়গা কঠিন মনে হলে হযরত মাওলানা মুফতী সাঈদ আহমাদ পালনপুরী রাহ.-এর ‘মিফতাহুত তাহযীব’ থেকে ইস্তিফাদা করতে পারেন। এরপর শরাহ পড়তে শুরু করুন। প্রথমে নিজে ইবারতে ফিকির করে বোঝার চেষ্টা করুন। কোথাও বুঝতে কষ্ট হলে তখন শরাহ বা হাশিয়ার সহযোগিতা নিন। ‘তুহফায়ে শাহজাহানী’ বা আবদুল হাই লাখনভী রাহ. -এর হাশিয়া ‘তাযহীবুত তাহযীব’ দেখতে পারেন।
মনে রাখবেন, প্রথম মুতালাআতেই সব ইবারত পুরোপুরি ‘হল’ হয়ে যাবে- তা জরুরি নয়। চেষ্টা মেহনতের পরও যে ইবারতগুলো ‘হল’ হয়নি সেগুলো নোট রাখুন। পরবর্তী সুযোগে মুযাকারা, মুরাজাআত কিংবা ফনের অন্য কিতাব থেকে মুতালাআর মাধ্যমে হল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বাহাউদ্দীন সুবকী রাহ. (৭৭৩ হি.)-এর عروس الأفراح شرح تلخيص المفتاح ‘তালখীসুল মিফতাহ’-র সাবলীল ও ফন্নী শরাহ। প্রথম প্রথম কিতাবের সাথে ‘উন্স’ হতে দেরি হলেও নিয়মিত মুতালাআ করলে ‘আজনাবিয়্যত’ কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।