মুহাম্মাদ আবু হানীফ - বাগেরহাট, খুলনা
প্রশ্ন
আমি একজন তালিবে ইলম। আমি ও আমার মতো অনেকেই এ অবস্থার শিকার যে, আমরা যখনই আসাতিযায়ে কেরামের মুখ থেকে বয়ান ও নসিহত শুনি, আমাদের অন্তরে তা উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং পড়াশোনায় বেশ বরকত হতে থাকে। কিন্তু পুনরায় তা হ্রাস পেতে থাকে এবং একসময় আমরা আগের অবস্থায় ফিরে আসি। হুজুরের কাছে বাংলা, উর্দু, কিংবা সহজ আরবী ভাষায় রচিত এমন কিছু কিতাবের নাম জানতে চাই, যেগুলো নিয়মিত মুতালাআ করলে পড়াশোনার প্রতি সর্বদা আগ্রহ জাগরুক থাকবে। প্রশ্ন : খ) দারুল উলূম দেওবন্দের প্রথম দিকের মুরব্বীদের আলোচনা যখনই শুনি তখনই তাদের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি এবং তাদের মতো হওয়ার জন্য মনে সাধ জাগে। কিন্তু তাদের সম্পর্কে যত আলোচনা শুনি তার বেশির ভাগই তাদের পরিণত সময়ের অথচ আমাদের বেশি জানার দরকার তাদের প্রাথমিক জীবনের কথা। তাদের ছাত্রজীবনের কথা। কীভাবে তারা পড়াশোনা করেছেন এবং নিজেদের জীবন গড়েছেন। হুজুরের কাছে আমি এমন কিছু কিতাবের তালিকা জানতে চাই, যেগুলোতে তাদের প্রাথমিক জীবনের কথা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।
উত্তর
উত্তর : ক) এ বিষয়ে ছোট-বড় অনেক কিতাব রচিত হয়েছে। তন্মধ্যে নিম্নোক্ত কিতাবগুলি অধ্যয়ন করতে পারেন। ১. পা-জা ছুরাগে যিন্দেগী (জীবনপথের পাথেয়), মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.। ২. আপ কৌন হ্যায়, কিয়া হ্যায়, আওর আপকা মানসাব ও মানযিল কিয়া হ্যায়। মাওলানা মনযুর নুমানী রাহ.। ৩. ওলামায়ে সালাফ আওর না-বীনা ওলামা, মাওলানা হাবীবুর রহমান খাঁন শিরওয়ানী। ৪. সাফাহাত মিন সাবরিল ওলামা আলা শাদাইদিল ইলমি ওয়াত তাহসীল, শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ.। ৫. কীমাতুয যামান ইনদাল ওলামা, শায়খ মুহাম্মাদ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ.। আর আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জন্য মাওলানা আসলাম শায়খুপুরীর ‘বড়ো কে বাচপান’ (বড়দের ছেলেবেলা) এবং শায়খুল হাদীস মাওলানা যাকারিয়া কান্ধলভী রাহ.-এর ‘আপ বীতি’ অনন্য কিতাব। ‘আপ বীতি’ মুতালাআ করা প্রত্যেক তালিবে ইলমের একান্ত কর্তব্য।