মুহাম্মাদ শাহাদাত হুসাইন - উত্তর কোলাপাড়া আশরাফুল উলূম মাদরাসা, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
প্রশ্ন
(ক) আমি গত বছর মীযান কিতাব পড়েছি এবং এবছর নাহবেমীর জামাতে পঞ্জেগাঞ্জ পড়ছি। এরপরও আমি ‘মুফরাদ’, ‘সহী’, ‘গাইরে সহী’, ‘বাব’, ‘তালীল’ ইত্যাদি ঠিক মত বলতে পারছি না। এখন আমি খুব চিন্তিত যে, আমি কীভাবে উপরের জামাতের কিতাব বুঝব। এ মর্মে আমাকে সুপরামর্শ দিয়ে আমার দুশ্চিন্তা দূর করবেন বলে আশা করি।
উত্তর
(ক) আপনার পেরেশানি প্রশংসার দাবি রাখে। ইনশাআল্লাহ এই পেরেশানিই আপনার উন্নতির পক্ষে সহায়ক হবে। মীযানের বছর চলে গেছে। এখন পাঞ্জেগাঞ্জের বছরকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করুন। পাঞ্জেগাঞ্জের ফারসীপাঠ যদি শব্দে শব্দে ‘হল’ করা কঠিন হয় তাহলে এ উদ্দেশ্যে অধিক কষ্ট করার দরকার নেই। কেননা এর তেমন বিশেষ গুরুত্ব নেই। মূল বিষয় হল কায়েদাগুলো বোঝা এবং সেগুলো ‘ইজরা’ করা। এব্যাপারে আপনি উস্তাযের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় প্রতিটি কায়েদা ভালোভাবে বুঝুন, এগুলো মাতৃভাষায় আপনার খাতায় নোট করুন; একাধিক উদাহরণের সঙ্গে বারবার তাকরার করে দেমাগে পাকাপোক্তভাবে বসিয়ে নিন। এরপর যেখানেই কোনো আরবী শব্দ বা বাক্যে মুখস্থকৃত কায়েদাসমূহের ‘ইজরা’ করার সুযোগ পাওয়া যাবে সেখানেই ইজরা করুন। নিজ শ্রেণীর ‘ইনশা’র কিতাব, আরবী কিতাব ও অন্যান্য কিতাবসমূহের আরবী বাক্যাবলিতে সেসব কায়েদার ইজরা করুন। কুরআনে কারীম তেলাওয়াতের সময় পঠিত কায়েদাসংশ্লিষ্ট কোনো শব্দ এলে তাতেও ইজরা করুন। ছুটির সময়গুলোতে এবং দৈনিক দরসের বাইরের সময়গুলোতে স্বতন্ত্রভাবে নাহ্ব ও সরফের কায়েদার ইজরার উদ্দেশ্যেই মুখস্থ বা দেখে একবার কুরআন তেলাওয়াত করুন; যদিও তা ১৫/২০ মিনিটের জন্যই হোক। এভাবে কায়েদাগুলো বোঝা, মুখস্থ করা এবং অধিক তামরীন ও অনুশীলনের মাধ্যমে সেগুলো ইজরা করা- এই তিন কাজই আপনার সমস্যা সমাধানের জন্যে যথেষ্ট; বরং ওই সমস্যার সমাধানের একমাত্র রাস্তা এটাই। আল্লাহ তাআলা আপনাকে এবং সকল তালেবে ইলমকে এর তাওফীক দান করুন, আমীন।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নটি ফিকহী মাসআলা সংক্রান্ত। তাই সেটি প্রশ্নোত্তর বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আগামী কোনো সংখ্যায় ওই বিভাগে সেটির জবাব পেয়ে যাবেন।