শাবান-রমযান ১৪৪৩ || মার্চ-এপ্রিল ২০২২

আব্দুল্লাহ আলমারুফ - কুমিল্লা

প্রশ্ন

আমি হেদায়াতুন নাহু জামাতের একজন তালিবে ইলম। ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের মধ্যেই সালানা ইমতিহান আরম্ভ হবে। এরপর লম্বা বিরতি। এই দীর্ঘ সময় আমি কীভাবে অতিবাহিত করব? আশা করি আপনি নেক মশওয়ারা দিয়ে আমাকে ধন্য করবেন।

উত্তর

বিরতির (ছুটির) দিনগুলো তলাবায়ে কেরাম কীভাবে অতিবাহিত করবেন- এ বিষয়ে মাসিক আলকাউসারের এই বিভাগে একধিকবার লেখা হয়েছে। সারকথা এই- কোনো তালিবে ইলমের হালত বিবেচনা করে যদি আসাতিযায়ে কেরামের তার প্রতি খাস মশওয়ারা থাকে, সে তার উপর আমল করবে। নতুবা আম হেদায়েত হল, বার্ষিক বিরতিতে যেহেতু পুরো রমযানুল মুবারক অন্তভুর্ক্ত সেহেতু হাফেয-গায়রে হাফেয সকল তালিবে ইলমকে রমযান মাসে কুরআন কারীম হিফয করা, হিফয পাকা করা, কোনো সংক্ষিপ্ত তরজমা-তাফসীর মুতালাআ করা এবং বেশি থেকে বেশি কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করার মাঝে সময় অতিবাহিত করা উচিত। কিছু সময় বাবা-মার খেদমত ও সোহবতে ব্যয় করবে। রমযানে মাদরাসা, বাড়ি বা চিল্লার সফর যেখানেই অবস্থান করুক, সর্বাবস্থায় অধিক সময় তিলাওয়াতে কুরআন, দুআ ও আযকারে ব্যয় করা উচিত। তারাবীহ ও কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। আপনার কাছে যদি আকাবিরের রাসায়েল থাকে, সেখান থেকেও কিছু মুতালাআ করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ হযরত মাওলানা মনযুর নোমানী রাহ. ও হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম-এর কেনো রিসালা মুতালাআ করবেন। কিংবা যদি অন্য আকাবিরের কোনো রিসালা থাকে, যেটা আপনার ইসতিদাদের ভেতর পড়ে তাহলে সেটাও মুতালাআ করবেন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন