মুহাম্মাদ আবদুল ওহ্হাব - মাদরাসা এমদাদুল উলূম <br> লক্ষণদিয়া, সালথা, ফরিদপুর
প্রশ্ন
বাদ সালামে মাসনূন, আমরা ‘প্রচলিত ভুল’ কিতাব থেকে জানতে পেরেছি যে-
اِنْ اَوْلِیَآؤُهٗۤ اِلَّا الْمُتَّقُوْنَ.
-এর তরজমা ‘শুধু মুত্তাকীরাই হল আল্লাহর ওলী’ করা ভুল। অথচ হাফেজ ইবনে কাছীর রাহ. তার তাফসীর গ্রন্থে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একপর্যায়ে উল্লেখ করেছেন-
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرِ بْنُ مَرْدُويه فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ الْآيَةِ: حَدّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ -هُوَ الطّبَرَانِيّ-حَدّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ إِلْيَاسَ بْنِ صَدَقَةَ الْمِصْرِيّ، حَدّثَنَا نُعَيْم بْنُ حَمّادٍ، حَدّثَنَا نُوحُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ مَنْ آلُكَ؟ قَالَ: كُلّ تَقِيٍّ، وَتَلَا رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ:
اِنْ اَوْلِیَآؤُهٗۤ اِلَّا الْمُتَّقُوْنَ.
অতএব, হুজুরের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উক্ত বিষয়টি পরিষ্কার করে দিবেন।
উত্তর
আপনি যে বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন তার সনদ দুর্বল। (فنعيم وشيخه تُكُلِّمَ فيهما)। যদি এর সনদ সহীহও হয়, তবু এর দ্বারা এই কথা প্রমাণিত হয় না যে, আয়াতে যমীরের মারজে হল ইসমুল জালালাহ। কারণ আয়াতের তিলাওয়াত এ প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে যে, ইসলামে সমস্ত কল্যাণের ভিত্তি আল্লাহ তাআলার প্রতি অন্তরে লজ্জা ও ভয় পোষণ করে তাকওয়ার যিন্দেগী গ্রহণ করার উপর। কোনো দ্বীনী দায়িত্ব পালনে যেমনিভাবে তাকওয়া শর্ত তেমনি সঠিক অর্থে ‘আলে মুহাম্মাদ’ হওয়ার জন্যও তাকওয়া শর্ত...।
তবে একথা স্পষ্ট যে, মসজিদে হারামের ওলী (অভিভাবক) হতে হলে যদি মুত্তাকী হওয়া শর্ত হয় তাহলে আল্লাহর ওলী (বন্ধু) হতে হলে অবশ্যই মুত্তাকী হতে হবে। ইরশাদ হয়েছে-
اَلَاۤ اِنَّ اَوْلِیَآءَ اللهِ لَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ كَانُوْا یَتَّقُوْنَ.
স্মরণ রেখ, যারা আল্লাহর বন্ধু তাদের কোনও ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে না। তারা সেইসব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে। -সূরা ইউনুস (১০) : ৬২-৬৩