জুমাদাল উলা ১৪৪৩ || ডিসেম্বর ২০২১

মুহাম্মাদ আমীর হুসাইন - তারাপাশা, কিশোরগঞ্জ

প্রশ্ন

আল্লাহ তাআলা হুযুরকে সিহ্হত, আফিয়াত ও দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন এবং হুযুরের ইল্মী খাযানা থেকে আমাদের বেশি বেশি উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করুন।

আমার জানার বিষয় হল-

ক. ميزان الصرف কিতাবে বর্ণিত ফেয়েলে মাযীর ছয় প্রকার হওয়া এবং এগুলোর ব্যবহার আরবের স্বীকৃত কোনো কিতাবে রয়েছে কি না?

খ. কুরআন-সুন্নাহ্য় এগুলোর ব্যবহার হয়েছে কি না?

গ. ثلاثي مجرد ব্যতীত অন্য বাবগুলোর اسم التفضيل -এর গঠন-পদ্ধতিতে বলা হয়- ‘মাসদার’-এর শুরুতে أشد বা এজাতীয় শব্দ বৃদ্ধি করে মাসদারকে تمييز হিসেবে আনা- এমন ব্যবহার কোনো কিতাবে আছে কি না?

ঘ. منشعب অংশে صرف صغير -এর মধ্যে রয়েছে- الأمر منه والنهي عنهআমার জানা মতে- الأمر শব্দটির صلة হিসেবে ب ব্যবহৃত হয়। এখানে منه -এর ব্যবহার সঠিক কি  না? যদি সঠিক হয়, তো এখানে ه যমীর-এর مرجع কী? আর النهي-এর মধ্যে منه বাদ দিয়ে عنه কেন ব্যবহার করা হল?

উত্তর

ক. খ. হাঁ, কুরআন-সুন্নাহ্য় ও সালাফের বাণীতে এসবের ব্যবহার আছে। কোনোটার  বেশি, কোনোটার কম।

নাম ও উপস্থাপনের পার্থক্য একটি স্বীকৃত বিষয়। অতএব উল্লেখিত হাকীকত যখন সামনে চলে আসল তখন আরবের কিতাব থেকে এর হাওয়ালা বের করার প্রয়োজন নেই।

الفاظ کے پیچوں میں الجھتے نہیں دانا

غواص کو مطلب ہے گہر سے کہ صدف سے

গ. কুরআনে কারীমেই আছে। সূরা নিসার ৮৪ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করুন। এই আয়াতের শেষে আছে-

وَ اللهُ اَشَدُّ بَاْسًا وَّ اَشَدُّ تَنْكِیْلًا.

ঘ. الأمر منهএখানে منالأمر’-এর সিলা নয়। বরং উহ্য শিবহে ফেলের সিলা। এর মাফহুম এই-

"الأمر المشتق منه أي من هذا المصدر كذا"

النهي عنهএখানে منه’- ও বলা যায়। কিন্তু এটাকে সরাসরি النهي -এর সিলা বানিয়ে পেশ করা হয়েছে। সেজন্য عنব্যবহার হয়েছে। এর মাফহুম যেন এমন-

"إذا أردت نهي أحد عن الفعل الذي هو مفهوم هذا المصدر فقل كذا".

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন