শাওয়াল ১৪৩৯ || জুলাই ২০১৮

মাহমুদ বিন সাইফুদ্দীন - ঢাকা

প্রশ্ন

আমি শরহে বেকায়া জামাতে পড়ছি। এ বছর আমাদের নেসাবে ‘তরজমাতুল কুরআন’ রয়েছে।

মুহতারামের নিকট জানতে চাচ্ছি, কুরআনের তরজমা অনুধাবনের জন্য  কোন্ কোন্ অনুবাদ দেখা যেতে পারে, আর একজন ‘মুবতাদী’ তালিবে ইলম হিসেবে কী কী তাফসীর থেকে ‘ইসতিফাদাহ’ করতে পারি।

আল্লাহ তাআল হুযূরকে জাযায়ে খায়ের দান করুন এবং সিহহাত ও আফিয়াতের সাথে রাখুন- আমীন।

উত্তর

প্রথমত তরজমার ক্ষেত্রে নিজের আরাবিয়াতের জ্ঞানকে ইস্তেমাল করতে হবে এবং দরসে উস্তাযের কাছ থেকে তরজমা বুঝে নিতে হবে। এরপর দরসের বাইরে নির্ভরযোগ্য কোনো একটি ‘কুরআন তরজমা’ মুতালাআয় রাখতে হবে। যেমন তরজমায়ে শায়খুল হিন্দ বা বায়ানুল কুরআনের তরজমা। এ দুটি তরজমায় যে সূক্ষ্মতা রয়েছে তা অনুধাবনের চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য আপনি হযরত মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুম রচিত আততরীকু ইলাল কুরআন-এর ৩য় খ- ও চতুর্থ খণ্ডে ‘অনুবাদ পর্যালোচনা’ অংশটি বিশেষভাবে দেখতে পারেন। খুব মনে রাখতে হবে, কোনোরূপ চিন্তা-ভাবনা ছাড়া ‘আলটপকা’ অনুবাদ করা যাবে না; বরং প্রতিটি শব্দের অর্থ আরবী লুগাত অনুসারে বুঝতে হবে এবং প্রতিটি বাক্যের অর্থ ও তরজমা নাহবী তারকীব ও আরবী বালাগাত অনুসারে করতে হবে। এরপর আয়াতের পূর্বাপর চিন্তা করে এবং প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত কোনো তাফসীরের সহযোগিতায় প্রতিটি আয়াতের মাফহুম ও মতলব স্পষ্টভাবে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য তালিবে ইলমগণ মাওলানা শাব্বীর আহমাদ উছমানী রাহ.-এর ফাওয়ায়েদে উছমানী বিশেষভাবে মুতালাআয় রাখতে পারেন। সদ্য প্রকাশিত ‘আসান তরজমায়ে কুরআনে’র টীকাসমূহে বিভিন্ন আয়াতের মাফহুম সংক্ষেপে স্পষ্ট করা হয়েছে। সুতরাং এটিও আপনার মুতালাআয় রাখতে পারেন। আয়াতের অর্থ ও মাফহুম বোঝার ক্ষেত্রে তালিবে ইলমদের যেসব বিষয় লক্ষ রাখা জরুরি সেসব বিষয়ে  গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা আলকাউসারের কুরআনুল কারীম সংখ্যায় আপনি পাবেন। এতে মাওলানা আবদুল মতীন ছাহেবের প্রবন্ধ ‘কুরআন অনুধাবন : কিছু করণীয়’ বিশেষভাবে দেখতে পারেন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন