সফর ১৪৩৯ || নভেম্বর ২০১৭

মুহাম্মাদ জাবের হুসাইন - খেড়িহর মাদরাসা

প্রশ্ন

প্রথমে হুযুরের সিহহত ও আফিয়াত কামনা করছি। অতপর জানাচ্ছি যে, আমি পূর্বেও নি¤েœাক্ত প্রশ্ন পাঠিয়েছি। পৌঁছেনি ধারণা করে আবার বিষয়টি জানার জন্য লিখছি। তা হল, আমরা অনেককে বলতে শুনেছি যে, হযরত আদম ও হাওয়া আ.-এর বিবাহের মহর ছিল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়া। আর এ বিষয়টিকে আল্লামা আবদুল হাই লখনবী রাহ. শরহে বেকায়া ছানী-এর বাবুল মহর-এর এক নং হাশিয়ায় ইবনুল জাওযী রাহ. রচিত كتاب صلوة الأحزان-এর হাওয়ালায় উল্লেখ করেছেন। তো এখন হুযুরের কাছে এ বিষয়ের তাহকীক জানতে আগ্রহী। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

উত্তর

দরূদ পাঠের ফযীলত বয়ান করতে গিয়ে অনেকে উপরোক্ত কথাটি বলে থাকেন। কিন্তু কথাটির কোনো সনদ ও সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় না।  আবদুল হাই লাখনবী রাহ. শরহে বেকায়ার হাশিয়ার উপরোক্ত কথাটি ইবনুল জাওযী রাহ.-এর যে কিতাবের হাওয়ালায় উল্লেখ করেছেন তার সঠিক নাম হল, سَلْوَةُ الأَحْزَان এবং পূর্ণাঙ্গ নাম হল, سَلْوَةُ الأَحْزَان بما رُوِيَ عن ذَوِي الْعِرْفَان এটি সনদবিশিষ্ট কোনো হাদীসের কিতাব নয়; বরং এতে মুসান্নিফ বিভিন্ন মনীষী ও আউলিয়া কেরামের যুহ্দ ও তাকওয়া সংক্রান্ত কিছু ঘটনা ও বাণী সংকলন করেছেন। কিন্তু তিনি এতে কোনো বাণীর সনদ বা হাওয়ালা উল্লেখ করেননি।

দশম শতকের বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাফেয শামসুদ্দীন সাখাবী রাহ. উপরোক্ত ঘটনাটি সম্পর্কে বলেছেনÑ

و ذكر ابن الجوزي في كتابه "سلوة الأحزان" قصة طويلة لم أقف عليها مسندة في تزويج أبينا آدم عليه الصلاة والسلام بحواء..."

অনেক তালাশ করে আমরাও এর কোনো সনদ খুঁজে পাইনি। আর আহলে ইলমের সর্বজন স্বীকৃত নীতি হল, সনদ ছাড়া এ ধরনের কথা গ্রহণযোগ্য নয়।

উপরোক্ত রেওয়ায়েতটির ব্যাপারে মারকাযুদ দাওয়াহ থেকে প্রকাশিত ‘এসব হাদীস নয়’ বইয়ের ২য় খ-ের ৭৭ নম্বর পৃষ্ঠায় আলোচনা করা হয়েছে। আপনি তা দেখতে পারেন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন