জুমাদাল উলা ১৪৩৮ || ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ইবনু হামিদ - ঢাকা

প্রশ্ন

হযরত! আল্লাহ তাআলা আপনার মেহনতকে কবুল কুরন। আমার দিলী তামান্না আপনার সাথে তাআল্লুক রাখা। আপনি মাঝে-মধ্যে চিঠির মাধ্যমে তাআল্লুক রাখার মশওয়ারা দিয়ে থাকেন।

আমি অনেকবার চিঠি পাঠানোর ইচ্ছা করেছি। কিন্তু চিঠি-পত্র প্রেরণের আদব-কায়দা সম্পর্কে কিছু জানি না বিধায় পাঠাতে পারি নাই। তাই যদি সম্ভব হয় চিঠি লেখার আদব-কায়দা প্রবন্ধ আকারে পেশ করলে আমার মতো অনেকেরই ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ।


উত্তর

চিঠিপত্র লেখার কিছু উসূল ও আদব তো আপনারও জানা থাকার কথা। আর আপনি আপনার উস্তাযকে জিজ্ঞাসা করেও তা জেনে নিতে পারেন এবং অনুশীলনের জন্য প্রথমে চিঠি লিখে উস্তাযকে দেখিয়ে সংশোধন করে নিতে পারেন। আমি এখানে এমন কিছু সাধারণ আদবের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যা যেকোনো চিঠিপত্র লেখার সময় অনুসরণ করা দরকার-

১. চিঠির বিষয়বস্ত্ত স্পষ্ট ভাষায় এবং স্পষ্ট হস্তাক্ষরে লেখা।

২. চিঠির শুরুতে অবশ্যই বিসমিল্লাহ লেখা এবং সালাম পেশ করা।

৩. চিঠি লেখার দিন-তারিখ শুরুতে বা শেষে উল্লেখ করা।

৪. বড়দের কাছে পরামর্শের জন্য চিঠি লিখলে এবং চিঠির মাধ্যমে জওয়াব পেতে হলে চিঠির সাথে জওয়াবী খাম নাম-ঠিকানা লিখে পাঠানো। সম্ভব হলে খামে টিকিট লাগিয়ে দেওয়া।

৫. পরামর্শ চেয়ে লিখলে তা বাংলায় লিখলে পৃষ্ঠার বাম পাশে লেখা এবং ডান পাশ খালি রাখা, আর আরবী বা উর্দুতে লিখলে পৃষ্ঠার ডান পাশে লেখা এবং বাম পাশ খালি রাখা।

৬. পরামর্শ চেয়ে যে চিঠি লেখা হয় তাতে নিজের কোনো হালত ও অবস্থা অস্পষ্ট না রাখা।

৭. চিঠির শেষে নিজের পূর্ণ নাম ও ঠিকানা লেখা।

হযরত থানবী রাহ.-এর আদাবুল মুআশারা নামক রিসালায় চিঠিপত্র পাঠানোর কয়েকটি আদবের কথা উল্লেখ রয়েছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন