আব্দুল্লাহ আল মামুন - আশরাফুল উলূম মাদরাসা, নেত্রকোণা
প্রশ্ন
আমি আগামী বছর জামাতে জালালাইন শরীফ পড়ব ইনশাআল্লাহ। আপনার কাছে ‘আততাখাসসুস ফী উলূমিল হাদীসিশ শারীফ’ পড়তে ভীষণ আগ্রহী। শাইখ মুহিউদ্দীন আওয়ামার ‘মিন সিহাহিল আহাদিসিলি কিসার’ এক তৃতীয়াংশ হিফজ করেছি। শরহে বেকায়ার সাথে শায়েখ নিমাবী রাহ.-এর ‘আসারুস সুনান’ অল্প অল্প মুতালাআ করেছি। এছাড়া হাদীস সম্পর্কিত অন্যান্য কিতাবাদি খুব একটা মুতালাআ করিনি। এখন হযরতের কাছে আমার করণীয় কী জানতে চাচ্ছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।
২. শায়েখ যাহেদ আলকাউসারী রাহ., শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ., শায়েখ আবদুল্লাহ বিন বায রাহ. প্রমুখ আলেমদের জীবনী ও তাসনীফাত সম্বলিত একটি প্রবন্ধ আলকাউসারে ছাপা হলে খুব উপকৃত হব।
৩. শাইখ নাসীরুদ্দিন আলবানী রাহ. মুহাক্কিক আলেমদের কাছে নির্ভরযোগ্য কি না এবং কেন। জাযাকাল্লাহু খায়রান।
উত্তর
(ক) আল্লাহ তাআলা আপনাকে কামিয়াব করুন। দেখুন কোনো ফনের তাখাসসুসের পূর্ব শর্ত হল, কিতাব বোঝার পরিপক্ক যোগ্যতা, ইলমী নিমগ্নতা ও এর প্রতিবন্ধক সকল বিষয় থেকে মুক্ত থাকা, উদ্দীষ্ট ফনের প্রতি মনের আগ্রহ ও ফিতরি যওক, সেই ফনের সাথে পরিচয় ও ঘনিষ্টতা এবং তাকওয়া-তাহারাত। সুতরাং এ গুণগুলো হাসিল করার চেষ্টা করা একান্ত প্রয়োজন।
কিতাব বোঝার যোগ্যতা হাসিল হচ্ছে কি না তা নিজ উস্তাযের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং তাঁর পরামর্শেই ইলমী সফর জারি রাখতে হবে। আগামী বছর আপনি জালালাইন জামাতে পড়বেন, এরপর মিশকাত ও দাওরায়ে হাদীসে পড়বেন। তো এসব জামাতের কিতাবাদী কীভাবে পড়বেন এবং সেগুলোর সাথে ইযাফী মুতালাআ কী কী করবেন সে সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা ‘তালিবানে ইলম : পথ ও পাথেয়’ নামক বইটিতে পেতে পারেন।
মনে রাখবেন, আপনি কোন্ বিষয়ে তাখাসসুস করবেন, কোথায় ভর্তি হবেন, কী মুতালাআ করবেন, কীভাবে করবেন সবকিছুই আপনার উস্তাযের পরামর্শের উপর মওকূফ।
(খ) দুআ করুন, ইনশাআল্লাহ আলকাউসারে এই মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে লেখা প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে।
(গ) ২০০৫-এর আলকাউসারের দুটি সংখ্যায় শায়েখ আলবানী রাহ. সম্পর্কে লেখা হয়েছে।