রবিউল আউয়াল-রবিউল আখির ১৪৩৭ || জানুয়ারি ২০১৬

রহমতুল্লাহ - ভবানীপুর মাদরাসা, গোপালগঞ্জ

প্রশ্ন

হুযুর,  আমি মেশকাত জামাতের একজন তালিবুল ইলম। দুআ চাই যেন আল্লাহ হাক্বীকী তালিবুল ইলম হিসেবে কবুল করেন। হুযুর, আমি আপনার কাছে জানতে আগ্রহী যে, ‘ইসমুল মাওসূল’-এর সিলা’-এর মধ্যে একটি عائد إلى الموصول  থাকা জরুরি। আর ইসমুল মাওসুলটা গায়েবহওয়ার সুবাদে আয়েদটাও গায়েব হওয়া উচিত। তাছাড়া আদীব ছাহেব হুযুর দামাত বারাকাতুহুমের এসো কুরআন শিখি প্রথম খণ্ডের কোথাও পড়েছি আয়েদটা সর্বদা গায়েব-এর যমীর হবে। অথচ নুফহাতুল আরব কিতাবে একটি ইবারত হল- أنت الغريب الذي تبكى عليه তদ্রূপ মিশকাত শরীফের ২০ নং হাদীসের মধ্যে এসেছে-وأنا الأحد الصمد الذي لم ألد ولم أولد ফলে জাতীয় ব্যবহার কোনো নাহবী কিতাবের উদ্ধৃতিতে জানানোর জন্য একান্তভাবে অনুরোধ করছি।


উত্তর

ইসমে মওসুলের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য সিলাহ’-এর মধ্যে এমন কোনো যমীর থাকতে হয় যার মারযে হবে ইসমে মওসূল। ক্ষেত্রে যমীরটি গায়েবের যমীর হয়ে থাকে। এটিই সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কোথাও কোথাও এর ব্যতিক্রমও ঘটে থাকে। যেমন, ইসমে মওসুলটি যদি তারকীবে খবর হয় বা খবরের সিফাত হয় এবং খবরের মুবতাদাটি হয় যমীরে হাযের। ধরনের ক্ষেত্রে যমীরে আয়েদটি ইসমে মওসুলের বিবেচনায় যেমন যমীরে গায়েব হতে পারে তেমনি মুবতাদা-যমীরের বিবেচনায় যমীরে মুতাকাল্লিম বা যমীরে হাযের হতে পারে। এই দ্বিতীয় সুরতে যমীরে আয়েদের মারজে ইসমে মওসুল নয়; বরং বাক্যের শুরুতে অবস্থিত যমীরে মুতাকাল্লিম বা যমীরে হাযের, যা তরকীবে মুবতাদা হয়েছে। যেমন, أنا الذي حضرتُ  বা أنا الذي حضر বা  أنت الذي برعت في الفن  বা  أنت الذي برع في الفن বা أنا الرجل الذي   عاونت الضعيف  বা  أنا الرجل الذي عاون الضعيف

উল্লেখ্য, আলোচ্য ক্ষেত্রগুলোতে যমীরে আয়েদকে মুবতাদার যমীরের সাথে মিলিয়ে যমীরে মুতাকাল্লিম বা যমীরে হাযের ব্যবহার করাই অগ্রগণ্য। কারণ এতে উদ্দিষ্ট অর্থ অধিকতর সুস্পষ্ট হয়।(وزيادة الإيضاح غرض لغوي هام، لا يعدل عنه إلا لداع آخر أهم)

দ্রষ্টব্য : আন-নাহবুল ওয়াফী /৩৮০-৩৮৩

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন