জুমাদাল উলা ১৪২৯ || মে ২০০৮

মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তার - মাদরাসা বাইতুল উলূম, ঢালকানগর

প্রশ্ন

বিভিন্ন কিতাবে মুতাক্বাদ্দিমীন ও মুতাআখখিরীনের আলোচনা পেয়ে থাকি, কিন্তু মুতাক্বাদ্দিমীন ও মুতাআখখিরীন বলতে কারা উদ্দেশ্য তা আমাদের নিকট অস্পষ্ট থেকে যায়। তাই হুজুর সমীপে আকুল আবেদন যে, কোন শাস্ত্রে মুতাক্বাদ্দিমীন ও মুতাআখখিরীন বলতে কারা উদ্দেশ্য তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে উপকৃত করবেন।


উত্তর

মুতাকাদ্দিমীন ও মুতাআখখিরীন বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়-এ বিষয়টি হচ্ছে একটি আপেক্ষিক বিষয়। শব্দ থেকেও তা বোঝা যাচ্ছে। এজন্য এ শব্দ প্রয়োগকারী এবং প্রয়োগক্ষেত্র ইত্যাদি বিবেচনা করে বিষয়টি নির্ণয় করতে হবে। আল্লামা লাখনোবী রহ. মুকাদ্দিমায়ে উমদাতুর রিয়ায়াতে (পৃ. : ১৫) লিখেছেন, ফুকাহা মুতাকাদ্দিমীন বলতে উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাঁরা অন্তত ইমাম মুহাম্মদ ইবনুল হাসান রহ. (১৩১হি.-১৮৯  হিজরী) এর যুগ পেয়েছেন। আর তার পরের মনীষীরামুতাআখখিরীন এর অন্তর্ভুক্ত।

দুসতূরুল উলামা (২/১৭৮)তে বলা হয়েছে, শামসুল আইম্মা হালওয়ানী (৪৪৮হি.) থেকে হাফেযুদ্দীন বুখারী (৬৯৩হি.) পর্যন্ত মনীষীগণ উলামায়ে মুতাআখখিরীন এর অন্তর্ভুক্ত।

বলা বাহুল্য,  প্রথম  মতটিই  অধিক  বাস্তবসম্মত। তবে কোনোটিই কায়েদায়ে কুল্লিয়া নয়।

হাদীস শরীফের রাবীগণের ব্যাপারে অনেক মনীষীর বক্তব্য এই যে, হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত সময়কালের রাবীগণ মুতাকাদ্দিমীন-এর অন্তর্ভুক্ত। এর পরের রাবীগণ মুতাআখখিরীন। (মীযানুল ইতিদাল, যাহাবী, মুকাদ্দিমা)।

আপনার তৃতীয় প্রশ্নটি ফিকহী মাসআলা সংক্রান্ত। বিষয়টি কোনো দারুল ইফতা থেকে জেনে নিবেন কিংবা আলকাউসারের প্রশ্নোত্তর বিভাগে চিঠি লিখবেন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন