সফর ১৪৩০ || ফেব্রুয়ারী ২০০৯

মুহাম্মাদ ইকবাল হুসাইন - সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী

প্রশ্ন

দুটি বিষয় ব্যক্তিগত ভাবে জানার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমার মতো অনেক ছাত্র বন্ধুদের মনেই হয়তো এই প্রশ্নগুলো আছে। তাই পত্রিকার মাধ্যমেই উত্তর জানতে চাচ্ছি।

ক) আমরা মাদরাসায় যে সমস্ত বিষয়ের কিতাবসমূহ পাঠ করে থাকি যেমন-ফিকহ, নাহব, ছরফ, বালাগাত ইত্যাদি। এগুলো কোনটি কোন সময়ে পড়া উত্তম?

খ) আমি এবারত পড়ায় দুর্বল। সহীহ শুদ্ধভাবে এবারত পড়ার যোগ্যতা কীভাবে অর্জন করা যায়?


উত্তর

ক) মাদরাসায় দরসের সময় সাধারণত নির্ধারিত থাকে, তাকরারের সময়ও নির্ধারিত। এ সময় তো আপনাকে মাদরাসার নিয়ম অনুযায়ীই চলতে হবে। এর বাইরে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে তাতে আপনি নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন, কোন কিতাব কখন পড়লে মনোযোগ বেশি হয় এবং তাড়াতাড়ি হল হয়। এটা পাত্র ভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে একটি মৌলিক কথা এই যে, কঠিন বিষয়ের অধ্যয়ন এমন সময় হওয়া চাই যখন পূর্ণ মনোযোগ ও উদ্দীপনা থাকে। আর সহজ-সাধারণ বিষয় যে কোনো সময়ই অধ্যয়ন করা যায়। আরো জানতে চাইলে কীমাতুয যামান ইনদাল উলামা শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ পৃ. ১০০-১০২ অধ্যয়ন করুন।

খ) এ প্রসঙ্গে অনেক লেখা হয়েছে। সহজ ব্যবস্থা এই যে, আতত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যা ওআততামরীনুল কিতাবী আলাত ত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যা সঠিকভাবে পড়ুন। এরপর নাহব-ছরফের প্রাথমিক কিতাবগুলো অনুশীলনের মাধ্যমে পড়ুন। এরপর যে আরবী কিতাবের ইবারত পড়তে চান তা ধীরে ধীরে পড়তে থাকুন। মনোযোগ দিয়ে এবং চিন্তা-ভাবনা করে। এভাবে মেহনত করলে অবশ্যই আপনার ইবারত শুদ্ধ হয়ে যাবে। 

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন