রবিউল আউয়াল ১৪৩৫ || জানুয়ারি ২০১৪

মুহাম্মাদ কামরুল হাসান - জামিয়া রাহমানিয় আরাবিয়া মুহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭

প্রশ্ন

মুহতারাম আমীনুত তালীম সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ) আমি উলূমুল হাদীস ২য় বর্ষের একজন তালিবে ইলম। উলূমুল হাদীসে ফন্নী ইসতিদাদ পয়দা হওয়ার জন্য একজন তালিবে ইলম কোন উসলূবে মেহনত করবে? এই ফনের ইসতিদাদ পয়দা হচ্ছে এর আলামাত-ই বা কি? এই বিষয়ে হযরতের মাশওয়ারা কামনা করছি।


 

উত্তর

যে কোনো বিষয়ে ফন্নী ইস্তেদাদ ও ইখতেসাস অর্জনের জন্য কয়েকটি বিষয় জরুরী যথা : ১. ফনের মাহের কোনো উস্তাযের বিশেষ ও দীর্ঘ সোহবত। ২. সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুহাক্কিক ও মুতকিন আহলে ফনের তাসনিফ মুতালাআ অব্যাহত রাখা। বিশেষত মুতাকাদ্দিমীন আহলে ফনের তাসনীফ মুতালাআ করা (এই মুতালাআ হতে হবে তামযীয, নাবাহাত এবং বসীরতের সাথে) অন্যথায় কেবল মালুমাত বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু ফনের ফাকাহাত পয়দা হবে না। ৩. উপরোক্ত বিষয়দুটি ছিলো কাসবী তথা  চেষ্টা ও মেহনতের মাধ্যমে অর্জিতব্য বিষয়। এর সাথে যোগ হতে হবে ওহাবী ইলম। এর জন্য প্রয়োজন তাকওয়া-তাহারাত এবং রুজু ইলাল্লাহ।

মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া থেকে প্রকাশিত আল মাদখাল ইলা উলূমিল হাদীসিশ শরীফ-এ উলূমুল হাদীসের মুতালাআ ও তামরীন সংক্রান্ত উসূলী কথা আলোচান করা হয়েছে। আপনি তা মুতালাআ করে থাকলেও পুনঃবার দেখে নিতে পারেন।

স্মরণ রাখতে হবে, ফন্নী ইস্তেদাদ ও ইখতেসাসের বিভিন্ন মরতবা ও স্তর রয়েছে। এর একটি স্তর হচ্ছে আহলে ফনের আলোচনা-পর্যালোচনা শরহে সদরের সাথে বুঝতে পারা। ফন্নী ইখতেসাসের বড় একটি আলামত হচ্ছে, ফনের কোনো বিষয়ে শক, শুবাহ এবং ইশকাল দেখা দিলে তার কাবেলে ইতমিনান ও প্রশান্তিদায়ক জবাব দিতে পারা। এছাড়াও এ বিষয়ে আহলে ফন আলেমদের শাহাদাতও বড় প্রমাণ ও সনদ হিসেবে বিবেচ্য।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন