মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন - জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া মুহাম্মাদপুর, ঢাকা
প্রশ্ন
(ক) সায়্যেদ মুহাম্মাদ মিয়াঁ সাহেব রাহ. রচিত তারীখুল ইসলাম কিতাবের প্রথম খন্ডে ‘পয়দায়েশ মোবারক’ অধ্যায়ে আরবী ও ইংরেজি সনের সাথে যে সনটার উল্লেখ আছে, সেটা কি প্রচলিত বাংলা সন নাকি অন্য কোনো সন?
(খ) আহলে হাদিস কারা? তাদের ইতিহাস জানার জন্য কোন কোন কিতাব মুতালাআয় রাখতে পারি?
(গ) ‘বাহরে শরীয়ত’ নামে কোনো কিতাব সম্পর্কে আপনার জানা আছে
কি না?
উত্তর
(ক) এখানে হিজরী ও ঈসায়ী সনের পাশাপাশি (৬২৮ বিক্রমী) যে সনটির কথা উল্লেখ রয়েছে তা প্রচলিত বাংলা সন নয়। এটি ভারতীয় রাজা বিক্রমাদিত্য কর্তৃক অব্দ বিশেষ। এটি উত্তর ভারতের একটি বহুল প্রচলিত অব্দ এবং নেপালের জাতীয় অব্দ। এর আরম্ভ হয় ৫৮ (আটান্ন) ঈসায়ী পূর্বাব্দে এর বাংলা উচ্চারণ বিক্রমসংবৎ। (সূত্র: উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট সংস্করণ, শিশু-বিশ্বকোষ. বাংলাদেশ শিশু একাডেমী) যা হোক, ঈসায়ী সনের সঙ্গে বিক্রমসংবৎ সনের ব্যবধান ৫৮ বৎসর। সুতরাং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম সন যদি ৫৭০ ঈসায়ী সন হয় তবে বিক্রমসংবৎ সন হবে ৬২৮। (খ) আহলে হাদীস এটি মূলত ইসলামী উপাধী। হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ আলেমদেরকে আহলে হাদীস বলা হয়। এর সমার্থ উপাধি হলো মুহাদ্দিস। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো হিন্দুস্তানে নবউদ্ভূত একটি মাকতাবে ফিক্র যারা ফিকর ও ফিকহের ক্ষেত্রে কিছু শায ও মুনকার বিষয়ের অনুসরণ করে থাকেন, তারা এই ইলমী উপাধিকে নিজেদের নাম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। যদিও তারা সাধারণভাবে লা-মাযহাবী বা গায়রে মুকাল্লিদ নামে সর্বাধিক পরিচিত। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নোক্ত কিতাবগুলো দেখা যেতে পারে : ১. মাজমূআতুর রাসায়েল, মাওলানা আমীন সফদার ৩/১৭৭-২৫৩ ২.তাহকীকে আহলে হাদীস, মাওলানা হাবীবুর রহমান আজমী। ৩. মারকাযুদ দাওয়াহ থেকে প্রকাশিত ‘আহলে হাদীস সে যুগে এ যুগে’ পুস্তিকাটি দেখতে পারেন। (গ) ‘বাহরে শরীয়ত’ নামে বেরলবীদের (রেজাখানীদের) একটি ফতোয়ার কিতাব রয়েছে। এর মুসান্নিফ আমজাদ আলী খোদা বখশ (মৃত্যু ১৩৬৮ হি.)।