আসাদুল্লাহ - জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসা, ঢাকা
প্রশ্ন
যে বিষয়টি উপলক্ষ করে আপনাকে কষ্ট দেয়ার ইচ্ছা করেছি, তা হল বরেণ্যদের স্মৃতিচারণ নামক গ্রন্থের ৮৭ পৃষ্ঠার ২টি আলোচনা বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল।
১. তিনি হযরত মাওলানা মুফতী জামীল আহমদ ছাহেব থানভীর ছোট ভাই ছিলেন। যিনি হাকীমুল উম্মত হযরত থানভী রহ. এর মুহতারামা স্ত্রীর জামাতা।
২. কুরআনী আয়াত থেকে আরবী বর্ণের গাণিতিক মান অনুপাতে মানুষের
মৃত্যু তারিখ উদ্ভাবনে তাঁর বিস্ময়কর যোগ্যতা ছিল।
উত্তর
(ক) হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর নিজের কোনো সন্তান ছিলো না। হযরত রহ. দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন এক বিধবা মহিলাকে। যাঁর প্রথম স্বামীর ঔরসে একটি কন্যাসন্তান ছিলো। এই কন্যাসন্তানটি হযরত থানভী রহ. এর ঘরেই লালিত-পালিত হয়েছে। এবং পরবর্তীতে মাওলানা জামীল আহমাদ সাহেবের সাথে তার বিবাহ হয়েছে। এ সূত্রেই জামীল আহমদ সাহেব হলেন থানভী রহ. এর দ্বিতীয় স্ত্রীর জামাতা। আপনি এ বিষয়টি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন উক্ত কিতাবে হযরতের স্ত্রীর এবং জামীল আহমদ সাহেবের জীবনী পাঠ করলে। খ) উদ্ধৃত অংশটির সাথেই এর যে বাস্তব দৃষ্টান্ত পেশ করা হয়েছে তা খেয়াল করে পড়লেই উক্ত বাক্যের অর্থ পরিষ্কার বুঝে আসবে। এর অর্থ হচ্ছে, তিনি কারো মৃত্যুর পর তার মৃত্যু তারিখ সংরক্ষণ ও প্রকাশের জন্য সাংকেতিক কোনো শব্দ বা বাক্য উদ্ভাবনে পারঙ্গম ছিলেন। আর এজন্য তিনি কুরআনে কারীমের কোনো শব্দকেই নির্বাচন করতেন এবং তা করতেন আরবী বর্ণের গাণিতিক মান অনুপাতে, যা حساب الجمل নামে পরিচিত।