মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মারূফ - আলজামিআ আলমাদানিয়া ফেনী
প্রশ্ন
ফয়যুল বারীর প্রথম খন্ডে باب من أدرك ركعة من العصر قبل المغرب এর প্রথম হাদীসের আলোচনার শেষ দিকে تخريج الهداية، للزيلعي এর উদ্ধৃতিতে কয়েক লাইন উল্লেখ করা হয় এবং انتهى বলে সমাপ্ত করা হয়। কিন্তু দারুল কিবলা থেকে মুদ্রিত ‘নসবুর রায়াহ’য় উক্ত লাইনগুলো পাওয়া যায় না। ফয়যুল বারীতে উল্লেখিত প্রথম লাইনটির মাফহুম এভাবে উল্লেখ করা হয়-
ومنهم من يفسره بالمأموم ويشهد له رواية الدارقطني ... الخ
সুতরাং انتهى বলে সাধারণত যা বুঝানো হয় তা এ স্থানে কতটুকু প্রযোজ্য? আর এ অধ্যায়ের উক্ত আলোচনাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য কোন্ কোন্ কিতাব সহায়ক হবে। এ সম্পর্কে হুজুরের পথনির্দেশনা কামনা করছি।
উত্তর
আপনার হাওয়ালাগুলোতে তরজমাতুল বাবের সাথে কিতাবের খন্ড ও পৃষ্ঠা নম্বরও উল্লেখ করা উচিত ছিল। সংশ্লিষ্ট আলোচনাটি ‘ফয়যুল বারী’র প্রথম খন্ডে আছে নাকি দ্বিতীয় খন্ডে?
ফয়যুল বারীতে (খন্ড : ২, পৃষ্ঠা : ১২৪) ‘নসবুর রায়াহ’র ইবারত উল্লেখ করা হয়নি। তবে একটি কথার হাওয়ালা দেওয়া হয়েছে-
وفي تخريج الهداية، للزيلعي ـ ولا يوجد هذا النقل عند غيره ـ أن الحديث محمول على المسبوق عند بعض العلماء.
আর নসবুর রায়াহ (খন্ড : ১, পৃষ্ঠা : ২২৯) থেকে আপনি যে ইবারত উল্লেখ করেছেন তা থেকে এই বিষয়টি বোঝা যায়।
পরের কথাগুলো শাহ ছাহেব রাহ.-এর নিজের, নসবুর রায়াহ’র নয়। আর انتهى শব্দটি তিরমিযীর হাওয়ালার সাথে সম্পৃক্ত, যার হাওয়ালা স্বয়ং শাহ ছাহেব রাহ.ও দিয়েছেন।
কোনো ইবারতের সঠিক মর্ম বোঝার জন্য ধৈর্য্য ও স্থিরতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়া একদম অনুচিত। উপরোক্ত ইবারত কোনো জটিল ইবারতও নয়। এতে এ ধরনের ভুল না হওয়া উচিত।আল্লাহ তাআলা আপনার ইলমে বরকত দান করুন এবং আপনাকে বিস্তৃত স্মরণশক্তি ও দৃঢ় বোধশক্তি দান করুন। আমীন।