ফাতাহ জুবাইদ - জামিয়া ইকরা বাংলাদেশ, চৌধুরী পাড়া, ঢাকা
প্রশ্ন
ক) আমি মিশকাত জামাতের ছাত্র। প্রাথমিক শিক্ষায় যেহনী ফিকির ও ভিত্তিমূলক দুর্বলতা থাকলেও এখন কিছুটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। দরসের সব বিষয়ের আলোচনা মোটামুটি গ্রহণ করতে পারছি। কিন্তু তারপরও একটা শঙ্কা ভিতরে ভিতরে কাজ করে। তবে এটা শুধু দরসী বিষয়েই। ভয় হয় আল্লাহ তাআলা কবুল করেন কি না। এ শঙ্কা থেকে কীভাবে মুক্তি পেতে পারি?
খ) আপনাকে মোবারকবাদ। আলমাদখাল ফী উলূমিল হাদীস রচনার জন্য। আল্লাহ তাআলা আপনাকে দীর্ঘায়ু করুন। কিতাবটির মুকাদ্দামা মুতালাআ করে উলূমুল হাদীসের গুরুত্ব সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আমার মনে হয় এ বিষয়ে একটি আলাদা কিতাব লেখা হলে এই ফিকিরটি আরো বেগবান হত। এ বিষয়ে কোনো কিতাব লেখার ইচ্ছা হযরতের আছে কি? অথবা এ বিষয়ে কোন্ কিতাব মুতালাআ করতে পারি জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
ক) কবুল করা তো আল্লাহ তাআলার কাজ। আর নিজ দয়ায় তিনি কবুল করেই থাকেন।
ومن اراد الآخرة وسعى لها سعيها وهو مؤمن فاولئك كان سعيهم مشكورا.
তরজমা : যারা মুমিন হয়ে আখেরাত কামনা করে এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে তাদের প্রচেষ্টা পুরস্কারযোগ্য। -সূরা ইসরা (১৭) : ১৯
তবে মুমিনের শান তো হল, সর্বদা ভয় ও আশার মধ্যে থাকা। সুতরাং আপনার এই অবস্থা প্রশংসনীয়, কোনো মন্দ আশঙ্কা নয়। এর জন্য চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
খ) হাদীস ও সুন্নাহর গুরুত্ব তো অবিসংবাদিত। হুজ্জিয়তে হাদীস, মাকানাতে হাদীস ও ই’তিসাম বিলহাদীস বিষয়ক সকল কিতাবের সারকথা তো এটাই। এই গুরুত্ব যে অনুধাবন করতে পারে সেকখনো উলূমুল হাদীসের গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারে না। আপনি ড. খালেদ মাহমুদ ছাহেব-এর ‘আছারুল হাদীস’ মুতালাআ করুন। এতে ইনশাআল্লাহ আপনার জ্ঞানও সমৃদ্ধ হবে এবং আরো কিছুনির্দেশনাও পেয়ে যাবেন।