জনাব, আমার নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
আমার ছেলে এ বছর হেদায়াতুন নাহু জামাতের শিক্ষার্থী। মাদরাসা বন্ধ থাকার কারণে তার ইলমি সাধনা ভাল করে হচ্ছে না। আমার ছেলের যেহেন ভালো এবং তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহও আছে। কিন্তু আমি একজন ইংরেজি শিক্ষিত অভিভাবক হিসেবে তাকে কীভাবে দিকনির্দেশনা দিব জানালে কৃতার্থ হব।
এই জামাতে কোন্ কোন্ কিতাব গুরুত্বের সাথে অধ্যয়ন করা দরকার এবং এই অবসরে দরসের কিতাবের পাশাপাশি আর কী করা উচিত- বিস্তারিত জানাবেন।
অবসরের এই সময়টুকু তালিবে ইলমগণ কীভাবে অতিবাহিত করবেন সে সম্পর্কে কিছু মৌলিক কথা গত সংখ্যায় (যিলকদ ১৪৪১ হি.) শিক্ষার্থীদের পাতায় আলোচনা করা হয়েছে। সেটি আপনার সন্তানকে পড়তে বলতে পারেন।
আর আপনার সন্তানের সার্বিক অবস্থা তার উস্তায ভালো জেনে থাকবেন। ভালো হয়, আপনি তার উস্তাযের সঙ্গে মশওয়ারা করবেন। তিনি তার জন্য কর্মপন্থা ঠিক করে দেবেন।
এবছর যেহেতু সে হেদায়াতুন নাহু কিতাব পড়বে তাই হযরত মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুমের কিতাব ‘আততরীক ইলাল কুরআনিল কারীম’ অধ্যয়ন করতে পারে। অতঃপর এ কিতাবের আলোকে নাহবী কায়েদা-কানুন প্রয়োগ করে কুরআন মাজীদের আয়াতসমূহের অর্থ ও মর্ম বোঝার চেষ্টা করবে। আরো সময় থাকলে তাঁর কিতাব ‘আততামরীনুল কিতাবী’র সাহায্যে ‘ইনশা’ চর্চা করবে। এর মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ তার ইলম ও ফাহামে বরকত হবে এবং ইসতি‘দাদ তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
তাছাড়া এ জামাতে হেদায়াতুন নাহু, ইলমুস সীগাহ ও নাফহাতুল আরব- এ তিনটি কিতাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো এখন মুতালাআ করে রাখলে সবকে বুঝতে সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রতিদিন রোজনামচা লিখবে। আরবী-বাংলা উভয় ভাষায়। অন্তত এক দিন আরবীতে আরেকদিন বাংলায়।
দুআ করি, আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে শান্তি, নিরাপত্তা ও সুস্থতার নিআমত দান করুন এবং আপনার সন্তানকে দ্বীন ও ইলমে দ্বীনের জন্য কবুল করুন- আমীন।