আমরা জানি যে, আরবী ভাষায় ‘মা’ ও ‘মান’ ইসমুল মাউসুল। ‘মান’ ওকালা আর ‘মা’ গায়র-ওকালার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর সপক্ষে নূরুল আনওয়ার কিতাবুস সুন্নাহর বাহছে এ হাদীসও বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ ইবনুয যিবা’রা রা. কে বলেছেন-
ما أجهلك بلسان قومك أما علمت أن ما لغير العقلاء ومن للعقلاء.
অথচ কুরআন মজীদের কতক জায়গায় ‘মা’-এর প্রয়োগ আল্লাহর জন্য হয়েছে। যেমন وما خلق الذكر والانثى
এবং والسماء وما بناها
এখন আমার জানার বিষয় হল, শব্দ দুটির সঠিক প্রয়োগক্ষেত্র কী এবং উক্ত হাদীস সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
অবশেষে হুজুরের জন্য দুআ, আল্লাহ তাআলা হুজুরের ইলমের ঝরনায় উন্নতি দান করুন এবং সকলকে তা হতে তৃষ্ণা নিবারণ করার তাওফীক দান করুন।
নাহু ও লুগাতের যেসব কিতাবে এই দুটি শব্দের ব্যবহারক্ষেত্র উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে প্রায় কিতাবে এভাবে বলা হয়েছে-
من أكثر استعمالها في العقلاء، وما أكثر استعمالها في غير العقلاء.
আর অধিকাংশ সময়ের ব্যবহারকেই কোনো কোনো কিতাবে ঐভাবে বলা হয়েছে যেমনটি আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন।
এতো গেল এই দুটি শব্দের মাউসুল হওয়ার সময়ের অর্থ। মাউসুল ছাড়াও শব্দ দুটি ইস্তিফহাম, শর্ত ও নাকেরায়ে মওসুফা আর ‘মা’ শব্দটি নফী, তাআজ্জুব, মাসদার ইত্যাদি অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
উপরোক্ত কথাগুলো সামনে রেখে প্রশ্নোক্ত আয়াত দুটি এবং এই জাতীয় অন্যান্য ক্ষেত্রে আবার নতুনভাবে চিন্তা করলে জটিলতা থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
আর যে হাদীসটি সম্পর্কে আপনি জানতে চেয়েছেন তা সহীহ নয়। আপনি নূরুল আনওয়ারের হাওয়ালা দিয়েছেন। আপনার উদ্ধৃত পৃষ্ঠার হাশিয়াতেই তা বলা আছে। হাশিয়াটি লিখেছেন, হিন্দুস্তানের মুহাদ্দিস আবদুল হাই লাখনৌভী রাহ.-এর ওয়ালিদে মুহতারাম মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল হালীম লাখনৌভী রাহ.। তিনি হাদীসটি সম্পর্কে লিখেছেন-
وللمحدثين في هذا الحديث كلام، حتى قالوا : أنه موضوع, كذا قال بحر العلوم، وفي التفسير أنه شيء لا يعرف ولا أصل له من, وقال العسقلاني : لا أصل له من طريق ثابتة ولا واهية، كذا قال العلي القاري.