মুহাম্মাদ মাজহারুল ইসলাম - লালমাটিয়া মাদরাসা

প্রশ্ন

আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছোট ভাই কুরআনের হাফেয হয়েছে। এখন তাকে মাদরাসায় ভর্তি করানোর কথা ভাবছি। কিন্তু আমাদের দেশে কওমী মাদরাসার দুটি সিলেবাস রয়েছে : . লং কোর্স . শর্ট কোর্স। শর্ট কোর্স হল মাদানী নেসাব। শুনেছি, এখানে ভালো পড়াশুনা হয়। তবে এতে শুধু আরবী ভাষা নিয়ে গবেষণা করা হয়। উর্দু ফার্সী ভাষা এতে পড়ানো হয় না।

তাই এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না যে, ছোট ভাইকে কোন্ নেসাবে পড়াব। বিষয়ে খুব চিন্তিত। সুপরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ হব।

 

উত্তর

আপনার ‘লং’  ‘শর্ট’ শব্দ দ্বারা আমার কষ্ট হয়েছে।  আফসোসের  বিষয় এই যেআমরা নিজেদেরবাংলা ভাষার উচ্চারণই ঠিক করতে পারিনিঅথচ বিনা প্রয়োজনে ইংরেজদের শব্দ-পরিভাষা ব্যবহার করতেআনন্দ বোধ করি।

আপনি আপনার ভাইকে কোন নেসাবের মাদরাসায় পড়াবেন তা আপনার তালীমী মুরববীর সাথে মাশওয়ারাকরে নির্ধারণ করুন। তবে মাদানী নেসাব সম্পর্কে আপনার ধারণা ঠিক নয়। এটি সংক্ষিপ্ত নেসাব নয়বরংমোট ষোল বছরের নেসাব। সঠিক বিষয়টি জানার জন্য আপনি দারুল কলম থেকে প্রকাশিত ‘আততরীকইলাল বালাগাহ’  ‘আততরীক ইলাল উরদিয়্যাহ’-এর ভূমিকা বার বার মনোযোগ সহকারে পাঠ করুন।(দারুল কলম থেকে প্রকাশিতএসব কিতাবের ভূমিকা থেকে উর্দূ  ফারসী ভাষা শেখার বিষয়ে এইনেসাবের দৃষ্টিভঙ্গিও জানতে পারবেন।

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ - ঢাকা

প্রশ্ন

আলমাদখালে (পৃষ্ঠা : ৯৩) আল্লামা তুরিবিশতী রাহ.-এর মৃত্যুসন ৬৬১ হিজরী উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আলবিযাআতুল মুযজাতে (পৃষ্ঠা : ৭৩) আল্লামা তুরিবিশতী রাহ.-এর একটি বাণী এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে-

وقع الفراغ من إنشاء هذا الكتاب في آخر جزء من أجزائه بالنهار من يوم الجمعة السادس من صفر سنة ست وستين وست مائة، ...

 এর দ্বারা বোঝা যায়, তাঁর মৃত্যু ৬৬৬ হিজরী বা এর পরে হয়েছে। বিষয়ে পথনির্দেশনা কামনা করছি।

 

উত্তর

‘‘আলমাদখাল’’-এর মধ্যে যা লেখা হয়েছে তা হুবহু ফকীর মুহাম্মাদ জাহলামী রাহ.-এরহাদাইকুল হানাফিয়্যাহ’ (প্রকাশনায় : মাকতাবায়ে হাসান সুহাইল লিমিটেডউর্দূ বাজারলাহোর)-এর২৮৫ পৃষ্ঠায় আছে। এছাড়াও যিরিকলী রাহ.-এর ‘আলআলাম’ (খন্ড : ,  পৃষ্ঠা : ১৫২ ইসমাঈল পাশাবাগদাদী রাহ.-এর ‘হাদিয়াতুল আরেফীনে (খন্ড : পৃষ্ঠা : ৮২১তা আছে।

আপনি আলবিযাআতুল মুযজাত-এর উদ্ধৃতিতে তুরাবিশতী-এর যে ইবারত উল্লেখ করেছেন তাহায়দারাবাদে সংরক্ষিত ‘‘আলমুয়াসসার’’-এর পান্ডুলিপি- উদ্ধৃতিতে লেখা হয়েছে। কিন্তু মুদ্রিত নুসখায়, (যার মূল পান্ডুলিপি প্রকাশকের ভাষ্যমতে মাহাদুল মাখতূতাতকায়রোতে আছেইবারতটি এভাবে আছে-

وقع الفراغ من إنشاء هذا الكتاب في آخر جزء من آخر النهار من يوم الجمعة السادس من صفر سنة ستين وست مئة، والحمد لله رب العالمين.

এতে ৬৬৬ এর পরিবর্তে ৬৬০ আছে। এই দিক থেকে উপরোক্ত মৃত্যুসনকে ভুল বলা যাবে না।

এখন  বিষয়টি ফয়সালা করতে হবে যেউপরোক্ত দুই তারিখের মধ্যে কোন তারিখটি মুসান্নিফেরসংশোধিত নুসখায় ছিল।  মুহূর্তে আমার জন্য এটি তাহকীক করা কঠিন। হয়তো কখনো এর সমাধান বেরহয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। والله تعالى أعلم

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মারূফ - আলজামিআ আলমাদানিয়া ফেনী

প্রশ্ন

ফয়যুল বারীর প্রথম খন্ডে باب من أدرك ركعة من العصر قبل المغرب এর প্রথম হাদীসের আলোচনার শেষ দিকে تخريج الهداية، للزيعلي এর উদ্ধৃতিতে কয়েক লাইন উল্লেখ করা হয় এবং انتهى বলে সমাপ্ত করা হয়। কিন্তু দারুল কিবলা থেকে মুদ্রিতনসবুর রায়াহয় উক্ত লাইনগুলো পাওয়া যায় না। ফয়যুল বারীতে উল্লেখিত প্রথম লাইনটির মাফহুম এভাবে উল্লেখ করা হয়-

ومنهم من يفسره بالمأموم ويشهد له رواية الدارقطني ... الخ

সুতরাং انتهى বলে সাধারণত যা বুঝানো হয় তা স্থানে কতটুকু প্রযোজ্য? আর অধ্যায়ের উক্ত আলোচনাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য কোন্ কোন্ কিতাব সহায়ক হবে। সম্পর্কে হুজুরের পথনির্দেশনা কামনা করছি।

 

উত্তর

আপনার হাওয়ালাগুলোতে তরজমাতুল বাবের সাথে কিতাবের খন্ড  পৃষ্ঠা নম্বরও উল্লেখ করা উচিতছিল। সংশ্লিষ্ট আলোচনাটি ‘ফয়যুল বারী প্রথম খন্ডে আছে নাকি দ্বিতীয় খন্ডে?

ফয়যুল বারীতে (খন্ড : পৃষ্ঠা : ১২৪) ‘নসবুর রায়াহ ইবারত উল্লেখ করা হয়নি। তবে একটি কথারহাওয়ালা দেওয়া হয়েছে-

وفي تخريج الهداية، للزيعلي ـ ولا يوجد هذا النقل عند غيره ـ أن الحديث محمول على المسبوق عند بعض العلماء.

আর নসবুর রায়াহ (খন্ড : পৃষ্ঠা : ২২৯থেকে আপনি যে ইবারত উল্লেখ করেছেন তা থেকে এই বিষয়টিবোঝা যায়।

পরের কথাগুলো শাহ ছাহেব রাহ.-এর নিজেরনসবুর রায়াহ নয়। আর انتهى শব্দটি তিরমিযীর হাওয়ালারসাথে সম্পৃক্তযার হাওয়ালা স্বয়ং শাহ ছাহেব রাহদিয়েছেন।

কোনো ইবারতের সঠিক মর্ম বোঝার জন্য ধৈর্য্য  স্থিরতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়া একদম অনুচিত।উপরোক্ত ইবারত কোনো জটিল ইবারতও নয়। এতে  ধরনের ভুল না হওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলাআপনার ইলমে বরকত দান করুন এবং আপনাকে বিস্তৃত স্মরণশক্তি  দৃঢ় বোধশক্তি দান করুন। আমীন। 

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ আক্কাস বিন আইয়ুব - ফরিদাবাদ মাদরাসা ঢাকা

প্রশ্ন

.

عن عكرمة رضي الله عنه عن ابن عباس رضي الله عنه قال : المسألة ... والاستغفار أن تشير بإصبع واحدة الخ، رواه أبو داود وكذا في المشكاة صـ ١٩٦

 উল্লেখিত হাদীসের রেখাযুক্ত অংশটুকুর মতলব এবং ছুরত হল করার জন্য অনেক শরাহ দেখা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আলেমের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তবুও জায়গাটা হল হয়নি।

এখন হুজুর মেহেরবানী করে উক্ত অংশটুকুর মতলব ছুরত জানিয়ে বাধিত করবেন বলে আশাবাদী।

. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর পিতা অর্থাৎ মাসউদ সাহাবী ছিলেন কি না হাওয়ালাসহ জানতে চাই। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে কবুল করুন।

 

উত্তর

) সুনানে আবু দাউদে প্রশ্নের হাদীসটির তিনটি রেওয়ায়াত রয়েছে। দেখুন : বাবুদ দুআ ১৪৮৪১৪৮৫,১৪৮৬ নং হাদীস) মিশকাত শরীফে আবু দাউদের উদ্ধৃতিতে হাদীসটি যে শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে তামূলত প্রথম রেওয়ায়াতের শব্দ। ইমাম আবু দাউদ রাহদ্বিতীয় রেওয়ায়াতের আংশিক মতন উল্লেখ করেএবং তৃতীয় রেওয়ায়াতের কেবল সনদ উল্লেখ করার পর পূর্ণ মতন প্রথম রেওয়ায়াতের ওপর হাওয়ালাকরেছেন। দ্বিতীয় রেওয়ায়াতটি অভিন্ন সনদে মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক (/২৫০হাদীস : ৩২৪৭নিম্নোক্ত শব্দে বর্ণিত হয়েছে-

قال ابن عباس رضي الله عنه : الابتهال هكذا ـ وبسط ظهورها إلى وجهه، والدعاء هكذا ـ ورفع يديه حتى لحيته، والإخلاص هكذا، يشير بإصبعه.

উল্লেখ্য আবদুর রাযযাকের এই রেওয়ায়াতটি মুসান্নাফে আবদুর রাযযাকের বরাতে হুবহু শব্দে কানযুলউম্মাল (/৬২১৪৯০৮ নং হাদীস)-এও রয়েছে।

আর তৃতীয় রেওয়ায়াতটি একই সনদে ইমাম বায়হাকীর ‘আসসুনানুল কুবরা’ গ্রন্থে রয়েছে। দেখুন /১৩৩

كتاب الصلاة ـ باب ما ينوي المشير بإشارته في التشهد এখানেও الاستغفار এর স্থলে الإخلاص শব্দ এসেছে।মুসনাদে আহমদ (৩১৫২মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ (৮৫১৫৩০৩০০), আসসুনানুল কুবারবায়হাকী(/৩৩)-এই কিতাবগুলোতে ইবনে আববাস রাথেকে সমার্থক আরেকটি রেওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে-

سئل ابن عباس عن قول الرجل بإصبعه هكذا ـ يعني في الصلاة، قال : ذاك الإخلاص

এই রেওয়ায়াতটিআলোচ্য হাদীসের দ্বিতীয়  তৃতীয় রেওয়ায়াত এবং  বিষয়ক অন্যান্য হাদীস  আছারথেকে  কথাই প্রমাণিত হয় যেআলোচ্য হাদীসটির মতনে মূল শব্দ হলো الإخلاص  আর الاستغفار -শব্দটিখুব সম্ভব নীচের কোনো রাবীর নিজস্ব শব্দ যা الإخلاص -শব্দ থেকে ‘তাসহীফ’ হয়েছে। আর ইখলাস দ্বারাউদ্দেশ্য হলো তাওহীদের শাহাদাত। والله أعلم

সুতরাং প্রশ্নে উল্লিখিত হাদীসের অংশটির মতলব হলোমৌখিকভাবে যখন তাওহীদ  ইখলাসের সাক্ষ্যদেয়া হয় তখন শাহাদাত আঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেও এই সাক্ষ্য দেয়া।

যেমন এর একটি স্থান হলোনামাযে ‘আত্তাহিয়্যাতু মধ্যে কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় বৃদ্ধাঙ্গুলি মধ্যমা দ্বারা গোলক বানিয়ে আর কনিষ্ঠা  অনামিকা হাতের তালুর সঙ্গে যুক্ত রেখে শাহাদাত আঙ্গুলি দ্বারাইশারা করা। নামাযের বাহিরে এর একটি দৃষ্টান্ত হলোরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবারমধ্যে তাশাহহুদের সময় শাহাদাত আঙ্গুলি উঠিয়ে ইশারা করতেন।  বিষয়ের আরো অন্যান্য হাদীস আছার জানার জন্যে নিম্নোক্ত কিতাবগুলো দেখা যেতে পারে।-

١. المصنف، عبد الرزاق: باب رفع اليدين في الدعاء ٢/٢٤٧ ـ ٢٥٢

٢. المصنف، ابن أبي شيبة : باب الدعاء في الصلاة بإصبع

٣. سنن ابي داود : باب رفع اليدين على المنبر

٤. السنن الكبرى للبيهقي : باب ما ينوي المشير بإشارته في التشهد ٢/١٣٢ ـ ١٣٣

٥. معارف السنن ٣/١٠٤ ـ ١٠٨

) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.-এর পিতা ‘মাসউদ’ সাহাবী হওয়া প্রমাণীত নয়। সাহাবীদেরপরিচয়  জীবন সংক্রান্ত গ্রন্থগুলোতে তার নাম উল্লেখ নেই।

শেয়ার লিংক

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক - টুমচর মাদরাসা লক্ষ্মীপুর

প্রশ্ন

আমি আলিয়া মাদরাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার তামান্না একজন খুব ভালো আলেম হওয়া। এর জন্য সকল চেষ্টা মেহনত করার জন্য আমি ইনশাআল্লাহ প্রস্ত্তত। কিন্তু আমাদের এখানে সবকের পড়ার বাইরে অন্য কিতাব পড়ার সুযোগ কম থাকে। তাই কওমী মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

আলী মিয়া নদভী রাহ.-এর জীবনপথের পাথেয় পড়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়ালেখার যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমি হেদায়াতুন্নাহু কিতাব পড়েছি। এখন ভবিষ্যত জীবন আলোকিত উজ্জ্বল করার জন্য কোন্ কোন্ কিতাব কী পরিমাণ অধ্যয়ন করতে পারি-জানালে কৃতজ্ঞ হব।

উত্তর

আল্লাহ তাআলা আপনার নেক নিয়ত কবুল করুনআপনাকে হিম্মত দান করুন এবং আপনার জন্যপ্রয়োজনীয় উপায়-উপকরণের ব্যবস্থা করে দিন। আমীন। আপনি ছুটির দিনগুলোতে দারুল কলমআশরাফাবাদ ঢাকা থেকে প্রকাশিত আততরীক ইলাল আরাবিয়্যাহআততামরীনুল কিতাবীআততরীকইলাছ ছরফআততরীক ইলান নাহবআততরীক ইলাল কুরআনিল কারীম-এই পাঁচটি কিতাবকেঅনুশীলনের সাথে অধ্যয়ন করুন। এতে ইনশাআল্লাহ ইস্তিদাদ পোক্ত হবে। পরবর্তী কোনো সময় আরোকিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ আবু জাফর - জামিআ রাহমানিয়া

প্রশ্ন

বাইতুল্লাহর মুসাফির’-এর ভূমিকায় হযরত বলেছেন যে, অনেক সফরনামা এমন আছে যাতে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য ঘটনা আছে। তো হযরতের নিকট আবেদন জাতীয় কিছু আরবী বাংলা সফরনামার বই এর নাম দিলে উপকৃত হব।

 

উত্তর

ইতিহাস এবং ‘জুগরাফিয়া’ বা ভূগোল বিষয়ক গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করলে দেখা যাবে যেবিভিন্নসফরনামা বা পর্যটকদের উদ্ধৃতিতে বহু তথ্য-উপাত্ত পেশ করা হয়েছে। শুধু আল্লামা ইয়াকূত হামাবী রহ. (৬২৬ হি.) এর ‘মুজামুল বুলদান’ অধ্যয়ন করলেও সেখান থেকে অনেক পর্যটক  তাঁদের সফরনামার নামসংগ্রহ করা যাবে। ‘মুরুজুয যাহাব ওয়া মায়াদিনুল জওহর’ কিতাবের রচয়িতা আল্লামা আবুল হাসানমাসয়ূদী (মৃত্যু ৩৪৫ হি:) ছিলেন প্রসিদ্ধ ইতিহাসবিদ  পর্যটক। তিনি নিজে যেমন বহু বিষয়ে নিজ সফরেরউদ্ধৃতি দিয়েছেন তেমনিভাবে পরবর্তী অনেক ইতিহাসবিদ তাঁর সফরনামার উদ্ধৃতি পেশ করেছেন। এখানেআমি বিখ্যাত কিছু সফরনামার নাম উল্লেখ করছি।

. ‘সফরনামা’ নাসির খসরু (জন্ম ৩৯৪ হি:)

تحفة النظار في غرائب الأمصار وعجائب الأسفار মুহাম্মাদ ইবনে আব্দিল্লাহ ওরফে ইবনু বাতূতাহ (মৃত্যু ৭০৩ হি:)

اعتبار الناسك في ذكر الآثار الكريمة والمناسكÑ আবূল হাসান মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ ইবনে জুবাইর আন্দালুসী (৬১৪ হি:)

نزهة المشتاق في اختراق الآفاق -আবূ আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মদ আলইদরীসী (মৃত্যু ৫৬০ হি:)

 مِلْءُ العيبة بما جمع بطول الغيبة في الوجهة الوجيهة إلى الحرمين مكة وطيبة

আল ইমামুল মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনু ওমর ইবনু রুশাইদ (মৃত্যু ৭২১ হি:) স্পেনের مكتبة الاسكوريال  এর একটিপান্ডুলিপি সংরক্ষিত রয়েছে। এর কয়েকটি খন্ড শায়খ হাবীব আল খওজাহ এর তাহকীকে প্রকাশিত হয়েছে।

نخبة الأذهان في عجائب البلدان -আবূ হামিদ মুহাম্মদ ইবনে আব্দির রহীম আল মাযিনী (মৃত্যু ৫৬৫ হি:)

আর বাংলা ভাষায় রচিত সফর  ভ্রমণ বিষয়ক বইগুলোর নাম আপনি অতি সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন।এজন্য বাংলা একাডেমীসহ বাংলা বইপত্রের অভিজাত লাইব্রেরীগুলোতে খোঁজ করতে পারেন বা তাঁদেরপ্রকাশনার ক্যাটালগ সংগ্রহ করতে পারেন।

শেয়ার লিংক