মুহাম্মাদ সালমান - মিরপুর, ঢাকা

প্রশ্ন

ক) আমি শরহে বেকায়া জামাতের একজন ছাত্র। নাহব, ছরফে বেশ দুর্বল। এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য আমি কী করতে পারি? আরবী ইবারত সহীহ-শুদ্ধভাবে পড়ার মূল নীতিমালা উল্লেখ করলে কৃতজ্ঞ হব।
খ) নবী-রাসূল, আকাবির-আওলিয়া বিশেষত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবন-চরিত জানার জন্য নির্ভরযোগ্য বাংলা গ্রন্থগুলোর নাম জানতে চাই।
গ) আরবী, বাংলা, উর্দূ-ইংরেজি সব লেখায় আমার ভুল হয়ে থাকে। এ সমস্যা সমাধানের উপায় কী?
ঘ) হেদায়া কিতাবের সবচেয়ে ‘জামে মানে’ শরাহ কোনটি?

উত্তর

ক) প্রশ্নোক্ত বিষয়ে আলকাউসারের বিগত সংখ্যাগুলোতে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মূল কথা হল, এই বিষয়ে দক্ষতা অনুশীলনের মাধ্যমে আসে, মৌখিক কিছু কায়দা-কানুন মুখস্থ করে নেওয়া কোনোক্রমেই যথেষ্ট নয়। নাহব-ছরফে দুর্বল-এটা অনেকটা অস্পষ্ট কথা। ঐসব বিষয়ের কোন কোন জায়গায় আপনার দুর্বলতা রয়েছে, তা নির্ধারণ করা জরুরি। তাহলে আপনার চিন্তাও স্বার্থক হবে, মেহনতও ফলপ্রসূ হবে। তবে আপনি অনতিবিলম্বে দু’টি কাজ করতে পারেন। প্রথমত : নাহব-ছরফের উপর বর্তমান সময়ে রচিত ‘আননাহবুল ওয়াযেহ’ বা এ জাতীয় কোনো কিতাব, যার উপস্থাপনাও সহজ এবং যাতে প্রতি সবকের সঙ্গে অনুশীলন রয়েছে, নির্বাচন করুন। নিজে চিন্তা-ভাবনা করে অথবা কোনো অভিজ্ঞ উস্তাদের সাহায্যে ঐ কিতাবের এমন বহসগুলো চিহ্নিত করে নিন, যা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আপনার বেশি প্রয়োজন হবে। অথচ তাতে আপনার দুর্বলতা আছে। তারপর এক একটি বহস বুঝে শুনে পড়ুন এবং হাতে কলমে অনুশীলনের মাধ্যমে অবিরাম মেহনত জারি রাখুন। দ্বিতীয়ত : আপনার নেসাবী কিতাবসমূহের কোন একটি আরবী কিতাব প্রত্যেক সবকের সাথে বা আগে সম্ভব হলে আরবী হাশিয়াসহ গভীরভাবে মুতালাআ করবেন। অতঃপর আপনার একজন মুহসিন ও শফীক উস্তাদের কাছে গিয়ে নিয়মিত শুনাবেন। আপনি পড়বেন, আর উস্তাদ শুনে শুনে যে সব সংশোধনী ও দুর্বলতার দিক চিহ্নিত করে দিবেন, তা দূর করার চেষ্টা করবেন হতাশার কিছু নেই। এই দুই তরীকায় মেহনত করতে থাকুন। অবশ্যই সফল হবেন ইনশাআল্লাহ। খ) ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক অনুদিত ও প্রকাশিত হাফেয ইবনে কাসীর রাহ.-এর ‘আলবিদায়া ওয়াননিহায়া’য় সাধারণ ইতিহাসের পাশাপাশি নবী-রাসূল ও আকাবির-আওলিয়ার জীবনী রয়েছে। আর শুধু সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়ে বাংলাভাষায় রচিত কবি গোলাম মোস্তফার ‘বিশ্বনবী’, প্রফেসর আবদুল খালেকের ‘সাইয়িদুল মুরসালীন’ এর কথা অনেকে উল্লেখ করে থাকেন। তদ্রূপ আরবী ও উর্দু ভাষার বেশ কিছু মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য গ্রন্থও বাংলায় অনুদিত হয়েছে। তন্মধ্যে ইবনুল কাইয়্যিম রাহ.-এর যাদুল মাআদ, শিবলী নুমানী ও সাইয়েদ সুলায়মান নদভী রাহ.-এর ‘সীরাতুন্নবী’ ও ইদরীস কান্ধলভী রাহ.-এর ‘সীরাতুল মোস্তফা’, মাওলানা আবদুর রউফ দানাপুরীর ‘আসাহহুস সিয়ার’, মাওলানা আবুল হাসান আলী মিয়া নদভী রাহ.-এর ‘নবীয়ে রহমত’ এবং মাওলানা সফীউর রহমান মুবারকপুরীর ‘আররহীকুল মাখতূম’ ইত্যাদি সংগ্রহে রাখার মতো গ্রন্থ। গ) ‘লেখায় ভুল হয়ে থাকে’ বলে সম্ভবত বানানের ভুলই আপনার উদ্দেশ্য। তাই যদি হয় তবে এই সমস্যার সমাধান একটিই। তা হল, যা পড়বেন, মনোযোগের সাথে পড়ুন। যে ভাষাতেই হোক, প্রতিটি শব্দ পড়ার সময় খেয়াল করবেন যেন, এই শব্দটি আপনি মুখস্থও লিখতে পারেন। শুধু এতটুকু কাজ করলেই আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এরপরও কিছু জটিলতা বাংলা বানানের ক্ষেত্রে থেকে যেতে পারে। সে জন্য বাংলা একাডেমীর অভিধান বা অন্য কোনো অভিধানের সাহায্য নিতে থাকুন। সাথে প্রতিদিন তিন-চারটি করে শব্দ বানানশুদ্ধির জন্য নিয়মিত লিখুন এবং হযরত মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুমের ‘এসো কলম মেরামত করি’ থেকে বানান সংক্রান্ত লেখাগুলো ভালো করে পড়ুন। এভাবে ধীরে ধীরে এই দুর্বলতাও কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা রাখি। ঘ) এই সম্পর্কে আলকাউসারের বিগত সংখ্যাগুলোতে বেশ কয়েকবার লেখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লিখিত শরাহগুলোর মধ্যে ‘ফাতহুল কাদীর’ কে একটি অনন্য শরাহ বলা যায়। এর সাথে কিতাব হলের জন্য আল্লামা আইনী রাহ.-এর ‘আলবিনায়া’ যা ষোল খণ্ডে মুলতান থেকে ছেপেছে এবং সংক্ষেপে ‘মতলব’ বোঝার জন্য ‘ফাতহুল কাদীর’-এর টীকায় প্রকাশিত বাবেরতীকৃত আলইনায়া’ও মুতালাআয় রাখতে পারেন। আর মুহাক্কিক আলেমদের জন্য পাঁচ খণ্ডে মুদ্রিত ইবনে আবিল ইয্‌ হানাফী রাহ,.-এর ‘আততানবীহ আলা মুশকিলাতিল হিদায়া’ অধ্যয়নযোগ্য।

শেয়ার লিংক

ইবনে সাইর - জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া মুহাম্মাদপুর ঢাকা-১২০৭

প্রশ্ন


আমি হেদায়া আওয়ালাইন জামাতে পড়ি, যা দরসে নিযামীর মাসআলা বিষয়ক প্রায় শেষ স্তরের কিতাব। এর প্রথম খণ্ডে ত্বহারাত, ইবাদাত সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, ফুরূআত বিলআদিল্লা আয়ত্ত করার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমার প্রশ্ন হল : ক) দ্বিতীয় খণ্ডে কিছু বাব রয়েছে যেমন তাফবীযে তালাক, ফসলূন ফিল ইখতিয়ার ফিল আমরি বিল ইয়াদ ইত্যাদিতে উল্লেখিত আরবী আলফাযগুলো সম্পর্কে দীর্ঘ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ জানার ফায়েদা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু? এবং কীভাবে পড়লে ফায়দা বেশি হবে?

আগামীতে শেষ দুটি খণ্ড পড়ার নিয়ত আর তার সাথে অনেক আধুনিক মাসাইলের সম্পর্ক রয়েছে। যেমন ইলমুল ইকতিসাদে বিশেষ করে মাহারাত অর্জন করার খেয়াল, যেমন শাইখুল ইসলাম দা.বা. বলেছেন। এজন্য এখন থেকেই কোন পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে পরিচিতির জন্যে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পরি এ ব্যাপারে হযরতের সুপরামর্শ কামনা করি।

উত্তর


আপনি যেসব অধ্যায়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করেছেন সেখানে আরবী ইসতিলাহ ছাড়াও অনেক ফিকহী হুকুম আহকাম ও দলীলাদিও বিদ্যমান রয়েছে। এগুলোর ফায়েদা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া প্রশ্নোক্ত আরবী ইসতিলাহগুলোও ফিকহে ইসলামীর গুরুত্বপূর্ণ অবিচ্ছেদ্য অংশ। কুরআন ও সুন্নাহ থেকেই যার আহকাম উৎসারিত হয়েছে। অতএব আরবী এই ইসতিলাহ বা পরিভাষার আলোকে স্থান ও কাল ভেদে বিভিন্ন ভাষায় প্রচলিত এর সম অর্থের পরিভাষা ও ইংগিত ইশারার অর্থ অনুধাবন করে এর শরয়ী হুকুম আহকাম জেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ফিকহে জাদীদ কখনো ‘ফিকহে ক্বাদীম’ থেকে ‘বে-নিয়ায হতে পারে না। হিদায়া পড়ুয়া একজন তালেবে ইলমের উচিত, প্রথমত উস্তাযের কাছ থেকে হেদায়ার মূল আরবী পরিভাষাগুলো বোঝার পর আমাদের দেশে প্রচলিত পরিভাষা ও ইশারা-ইঙ্গিত এবং প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক আইনের বিবাহ-তালাক সংক্রান্ত আইন ও নিয়মগুলো জেনে নেওয়া। সাথে সাথে ঐ পারিবারিক আইনের যে সব ধারা-উপধারা কুরআন ও সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক, তার জন্য মাওলানা মুফতী তাকী ওসমানী দামাত বারাকাতুহুম-এর অনন্য কিতাব ‘হামারে আয়েলী মাসায়েল’ও পড়ে নেয়া জরুরি। দ্বিতীয়ত কিফায়াতুল মুফতী, ইমদাদুল ফাতাওয়া বা এই ধরনের উপমহাদেশে সংকলিত অন্য কোনো ফাতাওয়ার কিতাবের এই সংক্রান্ত অধ্যায়গুলো অধ্যয়ন করা। এছাড়া দেশ বা অঞ্চল ভেদে এই সংক্রান্ত আরো যে সব ইসতিলাহ প্রচলিত, প্রয়োজনের সময় সেগুলোও কোনো বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের শরণাপন্ন হয়ে জেনে নিতে হবে। তাহলে সহজে হিদায়ার এই ধরনের মাসআলাগুলোর প্রয়োগ-ক্ষেত্র ও উপকারিতা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ হবে ইনশাআল্লাহ।
এই জন্য আপনি হেদায়ার শেষ দুই খণ্ডের সাথে ফাতহ মুহাম্মাদ লাখনোভীর ‘ঈতরে হিদায়া’ নিয়মিত মুতালাআয় রাখার চেষ্টা করবেন। আর ইলমুল ইকতিসাদ বিষয়ের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে মাওলানা হিফযুর রহমান সিওহারবী রাহ. রচিত ‘ইসলাম কা ইকতিসাদী নেযাম’ (ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা) পড়ে নিন। আরো ভালো হয়, ইসলামী অর্থনীতির পাঠের সাথে সাধারণ অর্থনীতির কোনো বই অধ্যয়নে রাখা, যাতে ইসলামের সাথে প্রচলিত অর্থনীতি ও এর অসমতা সম্পর্কেও আপনি ধারণা লাভ করতে পারেন। এজন্য সাধারণ অর্থনীতির উপর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারী সিলেবাসভুক্ত কোনো অর্থনীতির বইও অধ্যয়ন করতে পারেন।

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ ওমর ফারূক - ফরিদাবাদ মাদরাসা

প্রশ্ন

ক) আল্লামা তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম তাঁর জাহানে দীদাহ গ্রন্থে কনস্টান্টিনোপলের বিজয় সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি কোন কিতাবে আছে এবং তার সনদ কোন পর্যায়ের?
খ) নাসবুর রায়া’র মুকাদ্দামায় যে হাদীসগুলো ‘তাখরীজ’ করা হয়েছে, সেগুলো সবই কি সহীহ?

উত্তর

ক) জাহানে দীদাহর ঐ স্থানে দুটি হাদীস উল্লেখিত হয়েছে। কায়সারের (রোম) শহর বিজয় নিয়ে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভবিষ্যদ্বাণী বর্ণিত হয়েছে হযরত উম্মে হারাম বিনতে মিলহান রা.-এর সূত্রে, যা সহীহ বুখারীর কিতাবুল জিহাদের রোমের সাথে যুদ্ধ সংক্রান্ত অধ্যায়ে (১/৪০৯-৪১০, হাদীস ২৯২৪) রয়েছে। আর হযরত বিশর খাসআমী রা. হতে বর্ণিত দ্বিতীয় হাদীসটি হল, لتفتحن القسطنطنية فلنعم الأمير أميرها ولنعم الجيش ذلك الجيش সম্ভবত আপনি এই হাদীসটি সম্পর্কেই জানতে চেয়েছেন। এই হাদীসটি মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদীস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম ৫/৬০৩, হাদীস : ৮৩৪৯; মুজামে কাবীর, তাবারানী, হাদীস : ১২১৬ ইত্যাদি কিতাবে রয়েছে। হাফেয নূরুদ্দীন হায়সামী রাহ. ‘মাজমাউয যাওয়ায়েদ’ কিতাবে (৬/২১৯, হাদীস : ১০৩৮৪) বলেন, ‘রিজালুহূ সিকাত’।
খ) নাসবুর রায়া’র মুকাদ্দামা বলতে আপনি কি বুঝিয়েছেন জানি না। আমার জানা মতে, হাফেয যায়লায়ী রাহ. তাঁর কিতাবের কোনো মুকাদ্দিমা লিখেননি। শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা দামাত বারাকাতুহুম-এর তাহকীকে সৌদী থেকে ‘নসবুর রায়া’র যে সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছে-যা এই কিতাবের সর্বোত্তম সংস্করণও বটে-এর শুরুর প্রথম খণ্ডটিতে ভূমিকা স্বরূপ তিনটি পূর্ণাঙ্গ কিতাব সন্নিবেশিত হয়েছে। আল্লামা যাহিদ কাওছারী রাহ., শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা দামাত বারাকাতুহুম ও হাফেয কাসেম ইবনে কুতলুবুগা রাহ.-এর যথাক্রমে ‘ফিকহু আহলিল ইরাক’, ‘দিরাসাহ’ ও ‘মুনয়াতুল আলমায়ী’ দিয়েই এই প্রথম খণ্ডটি সমাপ্ত হয়েছে। তেমনি শেষ খণ্ডটিতে হল শুধু ফাহারিস। এই দুই খণ্ড ছাড়া মূল ‘নাসবুর রায়া’ হল চার খণ্ডে। আমার মনে হচ্ছে, মুকাদ্দিমা নয়; বরং মূল নাসবুর রায়ায় তাখরীজকৃত হাদীসগুলো সম্পর্কে আপনি জানতে চেয়েছেন। সে হিসাবে আরয করব, হিদায়া ফিকহে মুকারানের কিতাব। তাই হিদায়ায় প্রায় সব মাযহাবের দলীল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সে নকলী দলীল হোক কিংবা আকলী। সে জন্য যায়লায়ী রাহ.ও হিদায়ার সব হাদীসের তাখরীজ বিশদভাবে করেছেন-তা যে মাযহাবের দলীলই হোক না কেন। চাই ঐ হাদীসটিকে সরাসরি মাযহাবের ইমাম দলীল হিসেবে পেশ করুন কিংবা ঐ ইমামের অনুসারী পরবর্তী কোনো ফকীহ পেশ করুন। এই হিসাবে তাঁর তাখরীজে সহীহ, হাসান, যয়ীফসহ প্রায় সব মানের হাদীসই রয়েছে। আর স্বয়ং যায়লায়ী রাহ.ও অনেক জায়গায় হাদীসের মান ও রাবীদের ‘জারহ-তা’দীল নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করে থাকেন। এগুলো দেখে আপনি আঁচ করতে পারবেন যে, এই হাদীসগুলোর সবগুলোর মান একপর্যায়ের নয়। অতএব সুনির্দিষ্ট কোনো হাদীসের মান জানতে যায়লায়ী রাহ. আলোচনা পড়া ও অন্যান্য কিতাবে এই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ মুতালাআ কিংবা বিজ্ঞ কোনো আহলে ফনের দ্বারস্ত হতে হবে।

শেয়ার লিংক