আমি এ বৎসর জামাআতে জালালাইন পড়ছি। শুরু থেকেই মতনের পাশাপাশি কিতাবের হাশিয়া, হাশিয়াতুস সবী, ছফওয়াতুত তাফাসীর, ই’রাবুল কুরআনিল কারীম, তাফসীরুল কুরআনিল কারীম লিইবনি কাছীর, ফাতহুল কাদীর, কাশফুল আছরার ফী শারহিল মুসান্নাফি আলাল মানার ইত্যাদি কিতাব পড়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ইদানীং অনেকের কাছে শুনতে পাচ্ছি, তাফসীরে জালালাইনের হাশিয়া ও হাশিয়াতুস সবীতে অনেক জাল বর্ণনা আছে। এক্ষেত্রে কি তা পড়া ছেড়ে দিব, না কী করব?
ছেড়ে দিবেন কেন? এই কিতাবগুলোতে জাল ও ইসরাঈলিয়াতের পাশাপাশি সহীহ ও তাফসীরের ক্ষেত্রে ‘মাকবুল হাদীসের সংখ্যাও তো কম নয়। এছাড়া কুরআন মাজীদের অর্থ অনুধাবন, তাফসীর ও জালালাইনের মূল ইবারত ‘হল’ সংক্রান্ত আরো যে সব বিষয় ঐ দুই হাশিয়ায় রয়েছে-তা থেকে বঞ্চিত হবেন কেন?
হ্যাঁ, আপনার এই সমস্যার জন্য যা করণীয় তা হল, আপনি প্রত্যেকটি সবক মূল জালালাইন, সংশ্লিষ্ট হাশিয়া ও হাশিয়াতুস সবীতে পড়ার পর তাফসীরে ইবনে কাসীর যা আপনি মুতালাআ করছেন বলে প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন- এর মুতালাআ অবশ্যই নিয়মিত জারি রাখবেন। যে রেওয়ায়েতগুলো অন্য কিতাবে পেয়েছেন তা তাফসীরে ইবনে কাসীরে আছে কি না আর ঐ রেওয়ায়েতের ব্যাপারে ইবনে কাসীর রাহ. কী রায় পেশ করেছেন তা মনোযোগের সাথে পড়তে ও বুঝতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, তাফসীর বিররিওয়াহর ক্ষেত্রে তাফসীরে ইবনে কাসীর সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য কিতাব।
আর ড. আবু শাহবার আলইসরাইলিয়াত ওয়াল মাওযূআত ফী কুতুবিত তাফসীর, তো একটি অনন্য কিতাব। কোনো এক অবসরে এটি অথবা এর আলোকে ‘আসির আদরবী’ লিখিত উর্দূ কিতাবটি পড়ে নিলে আপনার এই পেরেশানী অনেকটাই লাঘব হয়ে যাবে বলে আশা রাখি।
তবে যে রেওয়ায়েতগুলো তাফসীরে ইবনে কাসীরে পাবেন না বা রেওয়ায়ত পেলেও এই সম্পর্কে ইবনে কাসীর রাহ.-এর কোনো আলোচনা পাবেন না সেসব রেওয়ায়েতের শুদ্ধাশুদ্ধি কোনো আহলে ফনের শরণাপন্ন হয়ে যাচাই করে নিবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোন। আমীন